ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

news paper

নিজাম উদ্দিন

প্রকাশিত: ২১-৫-২০২৩ রাত ৮:৪৫

24Views

আর নয় শান্তি সমাবেশ,এখন থেকে বিএনপি প্রতিরোধ সমাবেশ হবে সারাদেশে, এমনই নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।রবিবার ২১ মে বিকাল ৪ টায় আগারগাঁও শেরে-বাংলা নগর থানা এলাকায় শাহাবুদ্দিন রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের  শান্তি সমাবেশ চোখে পরার মত,লাখো মানুষের ঢল নামে, এসময় দলে দলে মিছিল নিয়ে সভাসমাবেশে উপস্থিত হন ঢাকা মহানগর উত্তরের সকল থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মী,চোখে পরার মত একটি মিছিল নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হন শেরেবাংলা নগর থানার সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নেয়ামত হোসেন রাজু,মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আরও উপস্থিত হন ঢাকা ১৩ আসনের একাধিক নেতাকর্মীরা।এসময় শান্তি সমাবেশ  উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ওবায়দুল কাদের এমপি, বিশেষ অতিথি মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি,বিশেষ অতিথি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মির্জা আজম এমপি।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএম মান্নান কচি,বিশেষ অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৩ আসনের মাননীয় এমপি সাদেক খান, সভাপতিত্ব করেন শেখ বজলুর রহমান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি। 
 
এসএম মান্নান কচি বলেন,ব্যক্তির বক্তব্য নয়,বক্তব্য হবে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, কোনো ভাইয়ের নামে বক্তব্য হবেনা। তিনি বিএনপির উদ্দেশ্য বলেন বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বেশি করলে তার দাঁত ভাঙা জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।শেখ বজলুর রহমান বলেন,বিএনপির আগুন সন্ত্রাসী আর চলবেনা,তাদের ষড়যন্ত্র এদেশের মানুষ আর মেনে নিবে না। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ বলেন,এই বাংলাদেশের যতটুকু অর্জন হয়েছে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই হয়েছে,আগামীর সরকার আপনার সরকার আমার সরকার ২০২৪ সালে আবারও শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং উন্নয়নের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে বাংলার জনগণ আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
 
২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফোরকান বলেন, আজকের সমাবেশে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি জামাত বলে কিছু নেই। ২০০৪ সালে একুশে গ্রেনেড হামলার শিকার হওয়ার পরেও আওয়ামী লীগ নেতারাই এদেশের উন্নয়ন করে চলছে,তাই আবারও ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ সরকার আসবে এমন মন্তব্য করেন ক্ষমাসীলের নেত্রীবৃন্দ আজিজুল হক রানা বলেন,, ২০০৮সাল থেকে বিএনপি কে,আমরা রাস্তায় নামতে দেইনি,এখনও নামতে দিবো না। আপনারা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হয়ে,গজারী, কাঠের লাঠি রেডি রাখতে বলেন,আগামীতে যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতার আনতে হবে সবাই প্রস্তুত থাকুন। নেতারা,বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন.. তিনি অসুস্থ থাকলেও আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশ দিচ্ছেন তার দলের কর্মীদের। 
এটা আওয়ামী লীগ কখনও মেনে নিবেনা
 
আজ যেখানে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই রাস্তার নাম শাহাবুদ্দিন, শাহাবুদ্দিন কে হত্যা করা হয়েছিল,সাবেক মন্ত্রী কিবরিয়াকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল এবং আহসানউল্লাহ মাস্টারকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই এলাকার নাম ছিলো বিএনপি বাজার বস্তি যেখানে সবসময় সন্ত্রাসী হতো আজ সেখানে আদর্শ মানুষের বসবাস এটাও  আওয়ামী লীগের অবদান। 
 
সাদেক খান এমপি বলেন,এদেশে এখন আর বোমার আওয়াজ পাওয়া যায় না,কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়,তিনি ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে বলেন, অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজ দলকে শক্তিশালী করেছেন, ওবায়দুল কাদের, দলকে এগিয়ে নিতে সারাদেশে একের পর এক সভা করে যাচ্ছেন। আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর পরে তিনি এক মাত্র ব্যক্তি জিনি নিজেকে দলের জন্য সবসময় নিবেদিত রাখেন। সাদেক খান বিএনপিকে হুশিয়ার করে বলেন বোমা হামলা করার চেষ্টা করবেননা।  দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যেতে দিন
 
ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, উত্তরে আওয়ামী লীগের নব জাগরণ হয়েছে। দুঃখ ভরা ক্রান্তি হৃদয় নিয়ে দাঁড়িয়েছি। এর কারণ একটি খবর চাপা পরে গেছে। তা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে বিএনপির এক নেতা খুন করতে চায় তাদের নাকি এক দফ এক দাবি। এখন আর ২৪ দফা ১০ দফা নয়।ওবাদুল কাদের বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে খুন করতে চায় রাজশাহীর বিএনপির নেতা চানঁ।তিনি প্রশ্ন করেন কে এই চানঁ এমন দুঃসাহস দেখানোর সাহস তিনি কোথায় পেলেন,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেও ওবায়দুল কাদের বলেন আপনি তো এখন রাজশাহীতে আছেন,আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি কে এই চানঁ, তাকে খুঁজে বের করে আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেয়া হোক,তিনি আরও বলেন,মির্জা ফখরুল ২৭ দফা থেকে ১০ দফা এখন এক দফা তা হচ্ছে শেখ হাসিনা কে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে এবং বিএনপির এক নেতার দাবি শেখ হাসিনার কবর রচিত করতে চায়। এক দফা নামে শেখ হাসিনা কে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, অথচ তিনি এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি না-কি রাজশাহীর কোন এক উপজেলার নেতা।এই কথার সত্যতা হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের কাছে একটি ভিডিও ও রয়েছে। 
 
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন,আর শান্তি সমাবেশ নয় এখন থেকে বিএনপি প্রতিরোধ সভা করতে হবে। প্রতিটি জেলায় জেলায়, প্রতিটি থানায় থানায়,অপ শক্তির আস্তানা ভেঙ্গে দাও,জঙ্গি গুষ্টির আস্তানা ভেঙে দাও পুড়িয়ে দাও এমন স্লোগান শোনা গেছে  ওবায়দুল কাদেরের মুখে। ৭৫ সালের পর থেকে শেখ হাসিনার মত নেতা এ দেশের মানুষ পায়নি, শেখ হাসিনা কে আমরা হারাতে চাইনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয় বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মারা গেছে। এদেশে আর তত্ত্ববাধয়ক সরকার আর আসবে না। তিনি আরও বলেন,বিএনপির আমলে আমরা অন্ধকারে ছিলাম,মতিয়া চৌধুরী রাজপথে মার খেয়েছে তা কি আপনারা ভুলে গেছেন।এই বলে তার বক্তব্য শেষ করেন। মির্জা আজম এমপি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক  সরকারের চরিত্র আমরা দেখেছি এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার নাই। তিনি বলেন শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, ১৭ কোটি  মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন।
 
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন,, আজ শান্তি সমাবেশ কেনো আমরা দেখছি বাংলাদেশ কে অস্থিতিশীল করে তুলছে বিএনপি,আবারও এ দেশ কে পাকিস্তান বানাতে চায়, তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করতে ২৪ বছর লড়াই করেছে। আর বিএনপি নাকি বলে হটাৎ বাংলাদেশ, এরা কি গদ্যব? খালেদা জিয়া কে নিয়ে তিনি বলেন তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধা এটা কেউ বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্র করে কখনো ক্ষতায় আশা যায়না। ফখরুলের উদ্দেশ্য বলেন ফখরুল বেশি লাফালাফি করবেন না,আপনারা কাগজের বাঘ অতএব ভয় দেখাবেন না।  শেখ বজলুর রহমান বলেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই ডিমসহ অন্যানো খাবার সামগ্রী মানুষের হাতের নাগালে আছে। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের ঐক্য থাকতে অনুরোধ করে ধন্যবাদ দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।শেখ বজলুর রহমান আরও বলেন,বিএনপির আগুন সন্ত্রাসী আর চলবেনা,তাদের ষড়যন্ত্র এদেশের মানুষ আর মেনে নিবে না। আগামীতেও জনগণ আওয়ামী লীগ কে ভোট দিবে।


আরও পড়ুন