তরুণ উদ্যোক্তা মাহমুদূল হাসান সাকিবের এগিয়ে চলা

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫-৪-২০২৩ সকাল ৯:৫১

43Views

মাহমুদূল হাসান সাকিব। একজন তরুণ  উদ্যোক্তা।  তার পেইজের নাম GENTLE M। এক্সপোর্ট গ্যাবার্ডিন প্যান্ট,ফরমাল প্যান্ট,জিন্স প্যান্ট,2 কোয়ার্টার প্যান্ট,3 কোয়ার্টার প্যান্ট,4 কোয়ার্টার প্যান্ট,ট্রাউজার,জগার্স,শার্ট •• ফুল হাতা/হাফ হাতা,টি-শার্ট,পাঞ্জাবি, কাবলি, পায়জামা,বেল্ট,মানিব্যাগ, জুতা,কাপল ড্রেস (পাঞ্জাবি + শাড়ি+বেবি পাঞ্জাবি/শাড়ি) নিয়ে কাজ করেন।

সম্প্রতি দৈনিক সকালের সময়ের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন  আবিদ রহমান। 

প্রথমেই আপনার  উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প শুনি?
 
আমি GENTLE  M এর স্বত্বাধিকারী মাহমুদূল হাসান সাকিব । ২০১৯ সাল থেকে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করি এবং বর্তমান  আমার একটি শোরুম আছে । প্রথমত পারিবারিক সহযোগিতা ছাড়ায় আত্ম ভরসায় উদ্যোগ শুরু করি বিনা পুঁজিতে। উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা মুলত ই-কমার্স বিষয়ক ইউটিউবের বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখে ।আমি একজন অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ার। শুরুতে আমি চাকুরীর পাশাপাশি অন‍্য জনের প্রোডাক্ট সেল করতাম। অনলাইনে আমার পেইজ এ নো-ইনভেস্টৈ। প্রতিনিয়ত আমার সেল এতো বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছিলো যে উদ্যোক্তা  হতে  আত্মভরশা আরো বেড়ে যায়। হাজার হাজার মানুষ অনলাইনে বিজনেসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে পরিবার চালাচ্ছে, কর্মসংস্থান তৈরি করছে, আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও পেরেছি। সামনে আরো বড় কিছু করার চেষ্টায় আছি।

কি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন?

পুরুষদের গ‍্যাবার্ডিন প‍্যান্ট এবং ফরমাল প‍্যান্ট দিয়ে শুরু করি। কারণ , এই প্রোডাক্ট এ আমি অনেক বেশি সাড়া পাই কাস্টমারদের কাছ থেকে এবং আমি এই প্রোডাক্ট এর ব‍্যপারে ভালো বুঝতাম। অফিসে বা কোনো জবে পুরুষরা গ‍্যাবার্ডিন বা ফরমাল প‍্যান্ট ব‍্যবহার কোরে থাকে। চাহিদা বেশি থাকায় এটা দিয়েই শুরু করি। এরপর প‍্যান্ট এর পাশাপাশি শার্ট, টি-শার্ট,পাঞ্জাবি,পায়জামা, বেল্ট,জুতো ইত‍্যাদি আইটেমের অর্ডার গুলো আসতে থাকে। এখন আমার মুল ফোকাস মেনস আইটেম নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার উদ্যোগ নিয়ে সফলতা পেয়েছি যতটুকু আশা করেছি তার থেকেও বেশি।

আপনার পণ্য দেশে বাইরে যায় কি না?

আমি যখন প্রথম দিকে কাজ শুরু করি তখন দেশের মধ্যেই বিক্রি সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১৯ সালে যখন আমি খুচরা সেল এর পাশাপাশি হোলসেল করা শুরু করি , তখন থেকেই বিদেশী বায়াররা আমার প্রোডাক্ট প্রতিনিয়তই নিচ্ছে । এর পর আমার প্রোডাক্ট সারাদেশে এবং বিদেশে ছড়িয়ে যেতে থাকে। আমার ব্রান্ডিংটা হোলসেল বিজনেস থেকেই। এখন তো নিয়মিত বাইরে প্রোডাক্ট কুরিয়ারে পাঠাচ্ছি, অনেক বায়ারের আত্নীয়-স্বজনও দেশে এসে আমার পন্য কিনছে।

একজন উদ্যোক্তা হতে কি কি গুন থাকা দরকার বলে মনে করেন?

 উদ্যোক্তা হতে সাহসটা মেইন ফোকাস। সাহস করে শুরু করতে হবে। আর শুরু হলে আমাদের চারপাশ থেকে নানা প্রতিবন্ধকতা আসে। প্রথম প্রতিবন্ধকতা আসে পরিবার থেকে। অনেকের পরিবার সাপোর্ট করে না। আশেপাশের লোকজন  কি বললো সেই ভয় থাকে। যারা গ্রামে কাজ করে তাদের কুরিয়ারটা যদি দুরে হয় , তাহলে পণ্য পাঠানোটা রিস্ক হয়ে যায়। এরকম প্রতিবন্ধকতা আছে। আমার বেলায় যা হয়েছে তাহল আমি পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলাম, আসপাশের মানুষে কথা শুনেছি কিন্তু  আমি থেমে যাইনি, উদ্যোক্তাদের শত বাঁধা আসবেই,  সেই বাঁধা পেরিয়ে উদ্যোক্তা ধরে রাখতে পারলেই সফলতা আসবেই।

পড়াশুনা ও ব্যক্তি জীবন সম্বন্ধে বলেন?

আমার জেলা মাদারীপুর,বয়স ২৪ কিন্তু আমি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং খুলনা ম‍্যাগ্রোভ ইনিস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে কমপ্লিট করেছি। এরপর আমি ঢাকা উত্তরা মটরস এ জব করি ৬ মাস, এরপর অটো এক্সপ্রেস  এ জব অফার আসে সেখানেও ৮ মাস জব করি, সর্বশেষে আমি গোল্ডমার্ক কোম্পানিতে ট্রান্সপোর্ট অফিসার পোষ্ট এ জব করতে থাকি এবং পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে মেকাট্রনিক্স ডিপার্টমেন্ট এ বিএসসি করতেছি সাথে অনলাইন বিজনেস তো আছেই।

আগামী ভাবনা কি-

আগামী নিয়ে ভাবছি নিজেকে সফল একজন বড় ব্যবসায়ী   হিসেবে গড়ে তুলবো। নিজেকে আত্বপ্রকাশ করতে আরো স্কিল ডেভোলপ করবো। উদ্যোক্তাকে আরো ডেভোলপ করবো। এই ব্যবসার সঙ্গে  আরো অনেক ধরনের ব্যবসা  করার ইচ্ছা আছে।


আরও পড়ুন