ডা. এনামুল হক টিটু

রোজা রাখার উপকারিতা

news paper

নিশাত শাহরিয়ার

প্রকাশিত: ৪-৪-২০২৩ বিকাল ৫:৩

11Views

রোজা হল ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। প্রতিবছর পবিত্র মাহে রমজানে প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান মহান সৃষ্টিকর্তার সম্তুষ্টি লাভের জন্য রোজা পালন করে থাকেন। এতে করে ধর্মীয় ইবাদত পালনের পাশাপাশি শারীরিকভাবে উপকারিতাও পাওয়া যায়।পবিত্র মাহে রমজানে রোজা রাখার উপকারীতা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন ইয়র্ক হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক টিটু।
 
রোজার সময় দিনের বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এতে করে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট ও চর্বি কমে যায়।  শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিন কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায়।
 
শরীরকে বিষমুক্ত করার একটি কার্যকরী উপায় হলো রোজা। ওজন কমাতে  আগ্রহীরা এ সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ, রোজা রাখার পাশাপাশি ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর খাবারের প্রাধান্য দিলে খুব সহজেই এই সময়ে আপনি আপনার ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন। 
 
রমজানে রোজা রাখার ফলে  বিভিন্ন সমস্যা লাঘব হয়। যেমন: উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদ্‌রোগ ও স্থূলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। রোজায় পেট খালি থাকার কারণে খাবার হজমের অ্যাসিড এই সময় ধীরগতিতে নিঃসরিত হয়, যা হজম শক্তিজনিত নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
 
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোজার কোনো বিকল্প নেই। কারণ দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়। তাছাড়া যেকোনো নেশাদ্রব্য থেকে মুক্তি পেতে রোজা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
 
রোজার শারীরিক উপকারিতার পাশাপাশি মানসিক কিছু উপকারিতাও রয়েছে। রোজা যেহেতু ধর্মীয় একটি ইবাদত তাই নিয়মিত রোজা রাখার ফলে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করা যায়। এ সময় স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, যা ব্রেনের কর্মক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।
 
দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার অভ্যাসের ফলে নিজেকে সংযত রাখা যায়। এই সময়টাতে নিজের আত্মপর্যালোচনা এবং চিন্তা-চেতনাকে উন্নত করার সুযোগ পায় রোজদারী মানুষ। রোজা রাখার ফলে শরীর নানা ধরনের চাপ নিতে সক্ষমতা অর্জন করে। যার ফলে রোজাদার ব্যক্তি কখনো মানসিক অস্থিরতার মুখোমুখি হন না। মোটকথা, জীবনদর্শনের জন্য রোজার গুরুত্ব অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

আরও পড়ুন