ঢাকা শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩

চট্টগ্রামে সওজ'র টোল আদায়ের ৯ কেটি টাকা আত্মসাত


চট্টগ্রাম ব্যুরো photo চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ২৮-৩-২০২৩ বিকাল ৫:৫১
ইজারার মেয়াদ শেষ তবুও একবছর ধরে পূর্বের ইজারাদারের লোকজন দিয়েই তোলা হচ্ছে চট্টগ্রামের পোর্ট এক্সেস রোডের টোল। আর সেটির নাম দেয়া হয়েছে বিভাগীয় পদ্ধতিতে টোল আদায়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার বিরুদ্ধে এমন অনিয়মে লিখিত অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন জনৈক কারিউল মওলা নামের এক ব্যক্তি। সে অভিযোগ পত্রে দাবি করা হয়েছে ঠিকাদারের লোকবল দিয়ে টোল আদায় করে  প্রতিদিন পোর্ট এক্সেস রোডের টোল থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা করে প্রায় ৯ কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। 
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  ২০২১ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর সেল-বান নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তিন বছর মেয়াদের ইজারা চুক্তি শেষ হয়েছে। তিন মাস মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন নেয়া হয় মন্ত্রণালয় থেকে। নথি অনুযায়ী ২০২২ সালে ২৩ শে মার্চ থেকে বিভাগীয় পদ্ধতিতে সড়কটির টোল আদায় করা হচ্ছে। 
সুত্রমতে, চুক্তির ভিত্তিতে পূর্বের ইজারাদারের লোকবল দিয়ে  টোল আদায় করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী  পিন্টু  চাকমা। নথি অনুযায়ী  ১৯ মাসে (৫৭৯ দিন) পোর্ট এক্সেস রোডের টোল বাবত জমা দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ২১ হাজার টাকা। 
 
অভিযোগ উঠেছে অপারেশন এন্ড মেইনটেইননেস ( O& M) পদ্ধতিতে টোল আদায়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। নথি অনুযায়ী ২০২১ সালের ডিসেম্বর (২৩ ডি) মাসে ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। সেই মাসে আয় দেখানো হয়েছে ৩৫,৮৬,০০০ টাকা। পরিবর্তী বছরের ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আয় দেখানো হয়েছে ২৩,২২,০০০ টাকা। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ৩১৩২০০০ টাকা রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছিলো ; নিজস্ব ব্যবস্থাপনার নামে পিন্টু চাকমা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ২৫,৩৬০০০ টোল আদায় দেখিয়েছেন। ২০২১ সালের অক্টোবর ইজারাদার ৩৫২৫০০০ টাকা টোল আদায় দেখিয়েছিলেন। পরবর্তী বছরের একই মাসে ২৪, ৪৬ ০০০ টাকা আদায় হয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। 
 
অনুসন্ধানে জানা যায়  টোল আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের কোন নথি নেই হিসাব বিভাগে। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার দাবি মাস্টার রোলে কর্মচারীদের নিয়োগ ও বেতন দেয়া হচ্ছে। এই সংক্রান্ত কোন অফিস আদেশে দুইমাস করে অনুমোদন আনা হয়েছে,তবে  কাদের নিয়োগ করা হয়েছে সেটি দেখাতে সক্ষম হন নি তিনি। সুত্রমতে,  টোল আদায়ে অনিয়মের  অভিযোগ উঠার পর  ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী মাসে টোল আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত  কর্মচারীদের বেতন বাবত ভাউচার তৈরি করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর পোর্ট এক্সেস রোড়ের টোল আদায়ে অনিয়ম আড়াল করতে অফিসে বসেই সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করার প্রমাণ মিলেছে। জনৈক কারিমুল মওলা পোর্ট এক্সেস রোড়ের টোল আদায়ে অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেয় বিভিন্ন দপ্তরে। ঠিকাদার নিয়োগ না করে বিভাগীয় ব্যবস্থাপনায় টোল আদায়ের নামে প্রতিদিন এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা লুটপাটের অভিযোগ তুলেন নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার বিরুদ্ধে। 
 
এই বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে দৈনিক এই রোডে চলাচল করা প্রকৃত গাড়ির সংখ্যা নিয়ে সার্ভে করার নির্দেশ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সার্ভে টিমের প্রতিনিধিদের টোল প়াজার আশপাশে দেখা যায়  নি। সুত্রমতে, বছর জুড়ে টোল আদায়ের মাধ্যমে লুটপাটের  অনিয়মের তথ্য আড়াল করতে সার্ভে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে সড়ক ও জনপথের কার্যালয়ে বসেই। এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হন নি। তবে তাদের দাবি ২০২২ সালের ২৪ শে এপ্রিল পোর্ট এক্সেস রোড়ের টোল আদায়ের ইজারার মেয়াদ শেষ হবার কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থাপনায় টোল আদায় করা হচ্ছে। শিগ্রই টোল প্লাজার ইজারার জন্য দরপত্র আহবান করা হবে। 
 
বর্তমানে টোল আদায়ের বিষয়টি তদারকি করছেন জনৈক সাদ্দাম হোসেন। তিনি পূর্বের ইজারাদারেরই কর্মচারী।  তিনি জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমার নির্দেশে টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতিদিন হাজিরার ভিত্তিতে পাঁচশ টাকা মজুরী পাচ্ছেন। সওজের ফয়সল আবদুল্লাহ নামের অন্য এক প্রকৌশলী টাকা সংগ্রহ করছেন। ১২ জন কর্মচারীর বেতন হাজিরার ভিত্তিতে দেয়া হচ্ছে। 'সাদ্দাম জানান, আদায়কৃত টোল থেকে গত তিন মাসে দেনিক  গড়ে ৭২ হাজার থেকে ৯৫ হাজার পর্যন্ত রাজস্ব জমা করা হয়েছে। 
 
এবিষয়ে সওজ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ইজারার মেয়াদ শেষ হবার কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থাপনায় টোল আদায় করা হচ্ছে। রাজস্ব কমে যাবার কারণ হিসেবে পাশ্ববর্তী  ইসাক ডিপোর অবৈধ পার্কিংসহ বিকল্প রোড় গড়ে উঠাকে দায়ি করেছেন তিনি। টোল আদায়ের জন্য নিয়োজিত কর্মচারীদের মাস্টার রোলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দাবি করেন তিনি।'
 
টোল আদায়ের জন্য নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও ২০২২ সালের মে মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন প্রদান বাবত ভাউচার দেখানো হলেও বিস্তারিত  কোন হিসাবের তথ্য মেলেনি। সুত্রমতে, অভিযোগ উঠার পর তড়িঘড়ি করে  ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারীর ভাউচার তৈরি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে , চট্টগ্রামের পোর্ট এক্সেস রোডের টোল আদায়ে, কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পুরো প্রক্রিয়ার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমাকে দায়ি করেছেন সংশ্লিষ্টরা । চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ভাড়াটে টোল আদায়কারীরা নানা কৌশলে টোলের সিংহভাগ টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে নিজেদের পকেট ভর্তি করে আসছেন এক  বছরের বেশি সময় ধরে। সুত্রমতে  গত কয়েক বছরে প্রকৃত অংকের অতিরিক্ত  অন্তত নয় কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে ।

এমএসএম / এমএসএম

আগামীতে রাজশাহীকে আরো সুন্দর-কর্মচঞ্চল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই :লিটন

বন্দর আমিনে নানা অপকর্মের হোতা প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার রানা

ওগো লগে আমার বাবার কোন ঝামেলা ছিলো না তাহলে কিল্লাইগা আমার বাবারে মারলো

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মৎস্য আহরণ সুন্দরবন থেকে ৭নৌকাসহ ১৮ জেলে আটক

জুড়ীর তিন শিক্ষককে বিদায়ী সংবর্ধনা

কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সেক্রেটারিকে অব্যাহতি ও কমিটি বিলুপ্ত

পাবনায় বিএনপির মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা

খুলনা জেলা বিএনপি ওজোপাডিকো বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে

বাঁশখালীতে বসতঘর ভাংচুর লুটপাট জবরদখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জামালপুরে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

মিরসরাইয়ে কমিউনিটি পুলিশং এর ওপেন হাউস ডে পালিত

কালিয়াকৈরে তীব্র গরমে হিট স্ট্রক করে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ভবনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি