শিশু হাসপাতালের সামনে মধ্যবয়সীকে পিটিয়ে হত্যা

news paper

নিজাম উদ্দিন

প্রকাশিত: ২৬-৩-২০২৩ রাত ৮:২৭

15Views

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর ঢাকা শিশু হাসপাতালে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় হাসপাতালটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জড়িত বলে জানা গেছে। রবিবার ২৬ মার্চ দুপুর ১২ টা ৫৪ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। তবে নিহত ব্যক্তির নাম মো. মামুন। তিনি মিরপুর এলাকার বাসিন্দা।
 
ঘটনার সময়ে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি সাড়ে ১২টার দিকে শিশু হাসপাতালের গেটের বাইর থেকে নিহত মামুনকে ধরে হাসপাতালে ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মিলে তাকে মারধর করে। মারধর করার কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। 
 
অন্য এক তথ্যে জানা যায় ওই ব্যক্তি কোনো এক কাজে শিশু হাসপাতালের গেটের ভিতর প্রবেশ করেন এসময় আনসার সদস্যদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় পরবর্তীতে তিনি দৌড়ে পালিয়ে জেতে চাইলে আনসার সদস্যরা চোর চোর করে ডাক দিলে জনতা তাকে দৌড়ে দরে আবারও শিশু হাসপাতালের ভিতর নিয়ে আসে এবং সেখানে উপর্যুপরি মারধর করে আনসার সদস্য ও বহিরাগতরা একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এবিষয় অনেকেরই প্রশ্ন যেখানে আনসার সদস্য নিরাপত্তা দিবে সেখানে তারাই যদি অপরাধের সাথে জড়িত থাকে তাহলে জনগণের সেবা দিবে কে? শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে আনসার সদস্য রয়েছে সেখানে যদি কোনো ঘটনা ঘটেও থাকে তাহলে পাশেই তো শেরেবাংলা নগর থানা ছিলো, থানা পুলিশ কে,কেনো কল দেওয়া হলোনা? আনসার সদস্যদের সামনেই কেনো এভাবে একটা মানুষকে হত্যা করা হলো। 
 
মারধরের সময়ে শিশু হাসপাতালের আনসার সদস্য মোস্তাকিম ও কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ও হেলপার ছিলো বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।খবর পেয়ে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পরে ঘটনাস্থল শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন শেরে বাংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পরে তিনি বলেন, এখন কিছু বলা যাবে না। আমরা কাজ করছি তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। মারধরের কারণ ও নিহতের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি বলেন, নিহতের পরিচয় জানতে আমরা কাজ করছি। তবে মারধরের কারণ সম্পর্কে জানা যায় নি। শুনেছি জনতা গণ ধোলাই দিয়েছে। আনসার সদস্যরা ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মারধর করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কিছু পেলে আপনাদের জানাবো। সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে,এ বিষয় তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। কিন্তু এখন তদন্তের স্বার্থে আপনাদের দেওয়া যাবে না। কিছু পেলে জানানো হবে।
 
বিকেল চারটার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধারকারী শেরে বাংলা নগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) এএসএম আল মামুন নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত মামুন মিরপুর পল্লবী এলাকায় বসবাস করতেন। তার পিতার নাম মৃত ফজলুল হক। পেশায় সে একজন চা বিক্রেতা। রবিবার সকালের দিকে সে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে তার মা ও স্ত্রীর সাথে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। এরপর শেরেবাংলা নগর থানার শিশু হাসপাতালের সামনে ঘোরাফেরা করার সময় তাকে চোর সন্দেহে মারধর করলে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।

আরও পড়ুন