ঢাকায় বাংলাদেশ-নেপাল শিল্প ও সংস্কৃতি উৎসব

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫-৩-২০২৩ দুপুর ১:৪৫

11Views

বাংলাদেশ ও নেপালের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে ঢাকায় শুরু হল শিল্প ও সংস্কৃতি উৎসব৷ মঙ্গলবার ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ উৎসব উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আশা প্রকাশ করেন, এরমধ্যে দিয়ে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে।

নেপাল দূতাবাস ও শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এই উৎসবটি আয়োজন করছে বাংলাদেশ- নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি। দীপু মনি বলেন, “ভাষা ও সংস্কৃতির বন্ধন দুই দেশের মানুষকে বেঁধে রেখেছে হাজার বছর ধরে৷ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন আমাদের বন্ধুর দরকার ছিল, তখন নেপালের সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। জাতিগত, ধর্মবিশ্বাস, সংস্কৃতি বা সংগীতের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সুদৃঢ় যোগাযোগ গড়ে উঠেছে৷”

নেপাল সপ্তম দেশ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখতে দুই দেশের শিল্প-সংস্কৃতির বিনিময় আরও বাড়াতে জোর দেন তিনি।দীপু মনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ রূপ নিয়েছে৷ সংস্কৃতির বিনিময় বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্ক আরও টেকসই হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, ভাষা, জীবনধারা ও শিল্প সংস্কৃতিতে নেপাল ও বাংলাদেশের মানুষের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে৷ সংস্কৃতিমনা মানুষ বহু মতবাদ ও ধারায় বিশ্বাসী মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করে৷অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাউদ্দিন আহমেদ, নেপালের চিত্রশিল্পী নগেন্দ্রপ্রসাদ পোরেল, বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি মসিউর আহমেদ৷

নেপালের চিত্রশিল্পী নগেন্দ্রপ্রসাদ বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের ভাবাবেগ, আচরণ, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সকল ক্ষেত্রে চমৎকার সাদৃশ্য ও সমঝোতা রয়েছে। এ নিবিড় বোঝাপড়াকে আরও এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে।

উদ্বোধনী আলোচনার পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে নেপাল ও বাংলাদেশের সম্পর্কের নানা অধ্যায় নিয়ে শিল্পকর্ম ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীও উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনী চলবে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত।

উৎসবের আয়োজকরা জানান, বুধবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে দুই দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের পর্দা নামবে আগামী ১৮ মার্চ।

এ উৎসবে যোগ দিতে নেপালের প্রথিতযশা চিত্রশিল্পী, আলোকচিত্রশিল্পী, সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকসহ ২০ জনের প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান আয়োজকরা।

দু'দেশের শিল্প সংস্কৃতি, সাহিত্য বিনিময়ের উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ নেপাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

 


আরও পড়ুন