শৈলকুপায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ আদালতে মামলা

news paper

শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ

প্রকাশিত: ২৫-১-২০২৩ দুপুর ১২:৭

47Views

সাত লাখ টাকা নিয়েও দিতে পারেননি পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদ্রাসার চাকরি। চাকরির আশ্বাসে ৭ লাখ টাকা প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ করলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নে অবস্থিত পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজী। চাকরী দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের মৃত সদরউদ্দিনের ছেলে হেকমত আলী নামে এক ব্যক্তি। হেকমত আলীর আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদনের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে যোগাযোগ করা হলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজী।
বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, ঝিনাইদহ দায়েরকৃত পিটিসন সূত্রে জানা গেছে, ভুটিয়ারগাতী গ্রামের হেকমত আলী তার ছেলে ইমরানের চাকুরীর (এমএলএসএস পদ) জন্য পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকীয়া ফাজিল(স্নাতক) সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজীকে ৭লাখ টাকা দিয়েছেন। ৩দফায় তিনি এই টাকা দিয়েছেন। তবে চাকরী দেয়া হয়নি তার মাদ্রাসায় । এখন টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাত আর তালবাহানা করছেন। 
ভূূূক্তভোগী হেকমত আলীর ভাষ্যমতে,মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজীর সাথে চেনাজানা ছিল। এই সুযোগে আমার বেকার ছেলের তার প্রতিষ্ঠানে এমএলএসএস পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৭লক্ষ টাকা নেন। পরবর্তীতে চাকরী দিতে পারেনি এবং এখন পযর্ন্ত আমার টাকা ফেরত দেননি তিনি। স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক করেও টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাকা দেইনি। উপায়ান্তর না পেয়ে এব্যাপারে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঝিনাইদহ পিটিশন দাখিল করি।পিটিশন নং৭৩৩/
তাং ২৪-১০ ২০২২ ইং। বর্তমানে টাকা ফেরত না দিয়ে অধ্যক্ষ নানা হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন হেকমত আলী। 
পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজী বলেন, বহুবছর ধরে এমএলএসএস পদ ফাঁকা নেই, ফলে সেখানে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি, কারো কাছ থেকে অর্থও নেয়া হয়নি। অভিযোগকারী কে তিনি চেনেন না, জানেন না। মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি তার বিরুদ্ধে নানা মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে জানান অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আ. সাত্তার ফিরোজী। 
এবিষয়ে পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকীয়া ফাজিল(স্নাতক) সিনিয়র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি নূর আলম বিশ^াস জানান, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিৎ, তার সময়ে অতি গোপনে এসব টাকা লেনদেন হতে পারে। সে অনেকের কাছ থেকেই এভাবে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মাদ্রাসায় আমি নতুন আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। এ ঘটনার কোনো কিছু আমি জানি না।’


আরও পড়ুন