চলে গেলেন পবিপ্রবির বরেণ্য শিক্ষক প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান

news paper

মারসিফুল আলম রিমন, পবিপ্রবি

প্রকাশিত: ২৪-১-২০২৩ বিকাল ৫:৪৪

12Views

বরেণ্য শিক্ষক,  শিক্ষাবীদ,গবেষক ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের  প্রফেসর  ড. হাবিবুর রহমান আর নেই। মঙ্গলবার(২৪ জানুয়ারী)  বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে  ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস এবং কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। 

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩বছর। তাঁর মৃত্যুতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন। এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।এছাড়াও পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন তার এ অকাল মৃত্যুতে শোকবার্তা প্রকাশ করে। তাঁর জানাজার নামাজ মাগরিবের নামাজের পর ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসিলা গার্ডেন সিটি ৮নং রোড ব্লক সি মোল্লা মেডিকেল নিকটস্থ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। 

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর মোঃ রুবেল মাহমুদ বলেন, প্রফেসর ড. হাবিব স্যার আমার সরাসরি শিক্ষক এবং সহকর্মী  থাকার সুবাদে তাকে খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। আমাদের বিভাগীয় শিক্ষকদের  মধ্যে যে  আন্তরিকতা এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় আছে তা ধরে রাখতে তিনি ছিলেন বদ্ধ পরিকর। একই সাথে গবেষক হিসেবেও তিনি ছিলেন অনন্য। বিশ্ববিদ্যালয় তার মৃত্যুতে আদর্শিক  শিক্ষক এবং বুদ্ধিজীবী হারালো।প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এ ১৯৬০ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে  ১৯৭৫ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৭ সালে এইসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়।১৯৮১ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি  কৃষি তে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৪সালের ১৫ জানুয়ারী তৎকালীন পটুয়াখালী কৃষি কলেজে তিনি প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে ক্রোপ প্রটেকশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরবর্তীতে উচ্চতর ডিগ্রি পিএইচডি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

তার মৃত্যুতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের মাঝেই শোকাবহ বিরাজ করছে।  মৃত্যুকালে তিনি তার পরিবার, সন্তানাদি, দেশবরেণ্য শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য গুণীজন রেখে যান।


আরও পড়ুন