বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়

news paper

একেএম আজীমুল হাই

প্রকাশিত: ১০-১-২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

6Views

আজ মঙ্গলবার ১০ শে জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বাংলার মাটিতে পা রেখে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  সেই মাহেন্দ্রক্ষণে রচিত হয়েছিল আরেক ইতিহাস। যা প্রজ্বলিত হয়ে থাকবে যুগ যুগান্তরে বাংলার হৃদয়ে। 

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এক প্রাক ঐতিহাসিক দিবস নিয়ে স্মৃতিচারণ কালে, চেয়ারম্যান (লাইসেন্স), বিজিএমইএ এবং উত্তরা পশ্চিম থানা আ'লীগের  সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী  একেএম আজীমুল হাই একান্ত সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার ১০শে  জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিনটি ছিল বাংলার গণমানুষের আনন্দের দিন।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশে ফিরে আসাতে উৎসব মুখর হয়ে উঠেছিল বাংলার হৃদয়। বাংলার মহানায়কের ফেরার সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় প্রতিবছর স্মরণ করেন বাঙালী জাতি। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে স্বাধীনতাকামী বাঙালী জাতির ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আক্রমণ শুরুর পরই ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। বীর বাঙালীদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক চাপে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ শে জানুয়ারী দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই দিনের অপরাহ্ণে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি যখন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে, তখন অগণিত জনতা মুহুর্মুহু হর্ষধ্বনি ও গগনবিদারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে স্বাগত জানান প্রিয় নেতাকে।বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান)। সেখানে লাখো মানুষের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু।

আজ বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের বিজয় মানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বিজয়। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যার্তন দিবসটি সোনার বাংলা গড়ার তরুণ সমাজের জন্য পাথেয় আর এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে যুগ যুগ ধরে।


আরও পড়ুন