ঈশ্বরদীতে গুলি করে রিক্সাচালককে হত্যা মামলার আসামি ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ও ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
প্রকাশিত: ৬-১-২০২৩ রাত ১০:৩৪
পাবনার ঈশ্বরদীতে গুলি করে রিক্সাচালক মামুন হোসেনকে হত্যা মামলার আসামি ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ও ছাত্রলীগ সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এখনো নামীও দু’আসামি পলাতক রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১২ পাবনা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার ও কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া বারো কোয়ার্টার মহল্লার মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে কামাল উদ্দিন (৪৮) এবং তার ভাতিজা একই মহল্লার জামাল উদ্দিনের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৪)। কামাল উদ্দিন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি। আর হৃদয় হোসেন একই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি কিলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও কামাল উদ্দিনের ভাতিজা।
তৌহিদুল মবিন খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ পাবনার একটি দল শুক্রবার ভোররাতে ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া বারো কোয়ার্টার এলাকায় বসতবাড়ি থেকে মামুন হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি কামাল উদ্দিন ও তিন নম্বর আসামি তার ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় র্যাব।
গত বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত নছিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় লোকজনর জানান, তাদের মধ্যে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক নিহত হন। একই ঘটনায় গুলিতেবিদ্ধ হয়ে আহত রকি ও ছুরিকাঘাতে আহত সুমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত মামুনের মা লিপি আক্তার বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩ থেকে ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। অন্য আসামিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলবাহিনী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়।