ইসরায়েলের ভূরাজনীতি ও একজন নেতানিয়াহু

news paper

রায়হান আহমেদ তপাদার

প্রকাশিত: ১-১-২০২৩ দুপুর ১২:১৬

11Views

ইসরায়েলি ইহুদিবাদের অখণ্ডতা রক্ষায় নেতানিয়াহু অপরিহার্য হিসেবে উপস্থাপন করে এতকাল যাবত ক্ষমতা ধরে আছেন এবং ক্ষমতা পাকা করার কৌশল হিসেবে তিনি অসংখ্য অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে নিজের ব্যক্তিগত লাভের দিকটিও ঠিকই বুঝে নিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি দেশ ইসরায়েলের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উগ্রজাতীয়তাবাদী জোট। এতে ২০২১ সালের পর আবারও ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন সমালোচিত নেতানিয়াহু। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ১২০ আসন বিশিষ্ট ইসরায়েলে সংসদ নেসেটে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৬৪ আসন। তার নিজ দল লিকুদ পার্টি পেয়েছে ৩২ আসন। 

এতে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তারা। গত ১১ নভেম্বর ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে সব দলের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান মন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতানিয়াহুর নাম ঘোষণা করা হয়। এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেন, নেসেটের ৬৪ জন সদস্য লিকুদ পার্টির প্রধান বেনিয়ামিনকে সমর্থন দিয়েছেন। আর বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ পান মাত্র ২৮ জনের সমর্থন। গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন নেতানিয়াহু। ১ নভেম্বর নির্বাচনের পর সরকার গঠনে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই সরকার গঠনে সমর্থ হলেন তিনি। ইসরাইলের ৭৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কট্টর দক্ষিণপন্থি সরকার গঠিত হতে চলেছে। এই জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন নেতানিয়াহু। তার দলই পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় দল। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য নেতানিয়াহুকে হাত মেলাতে হয়েছে অতি-দক্ষিণপন্থি রিলিজিয়াস জিওনিজম পার্টির প্রধান ইতামার বেন গভিরের সঙ্গে। 

নেতানিয়াহুর জোটে আরও দুই শরিক আছে, তারাও কট্টর ডানপন্থি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নেতানিয়াহু অতি-দক্ষিণপন্থি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি সময়সীমার মধ্যে আলোচনা শেষ করতে পেরেছেন। তবে ইসরাইলের সবচেয়ে বেশিদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকা নেতানিয়াহুর সামনের পথ যথেষ্ট কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০২১ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসেন নাফতালি বেনেট। ওই সময় নিজ জোটে আরব, ইসরাইলি দলগুলোকে রেখেছিলেন তিনি। মূলত নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকেই সরানোর উদ্দেশ্য ছিল তার। এতে সফলও হন বেনেট। কিন্তু বেনেট তার জোটকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারেননি। এতে জোট ভেঙে যায়। ফলে ইসরাইলিদের আবারও নতুন নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে হয়। সেই নির্বাচনে দুই বছরের মধ্যে আবারও ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে বসতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। এদিকে ষষ্ঠবারের মতো ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়া নেতানিয়াহু দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন রয়েছেন। একই সঙ্গে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে, টানা ১২ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর গত বছর নির্বাচনে হেরে যান তিনি। এরপর চলতি বছর জুনে ইয়ার লাপিদের মধ্যপন্থি দল ইয়েস আতিদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে ইয়েমিনা পার্টি। তবে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা বেড়ে যাওয়া সব ছাপিয়ে সরকার হিসেবে আবারও কট্টর ডানপন্থি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেই বেছে নিলেন ইসরাইলিরা। নেতানিয়াহু যেসব উগ্রজাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে জোট গড়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন সেসব দল কয়েক বছর আগেও ইসরায়েলের রাজনীতিতে এতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। 

এদিকে নেতানিয়াহুর জোট যে ক্ষমতায় আসবে-সেটি নির্বাচন শেষে বুথ ফেরত জরিপ থেকেই জানা গিয়েছিল। নির্বাচনে নেতানিয়াহুর সবচেয়ে বড় জোট রিলিজিয়াস জায়োনিজম পার্টি পেয়েছে ১৪ আসন। উগ্রপন্থি এ দলটির নেতা ইতামার বেন-গেভির আপাদমস্তক একজন ফিলিস্তিন বিরোধী মানুষ। তার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু আগের জোট দলগুলো নেতানিয়াহুকে প্রত্যাখান করলে এই উগ্রপন্থি দলের সঙ্গে জোট বাঁধেন তিনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ ফলাফল মেনে নেওয়ায় এখন ইসরায়েলে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ নেতানিয়াহুকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান। নেতানিয়াহুকে আগামী ২৮ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হবে। বলা হচ্ছে ইসরায়েলের রাজনীতির ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে বেশি ডানপন্থিদের নিয়ে সরকার গঠিত হবে। এদিকে নেতানিয়াহু এমন সময় আবারও প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে যাচ্ছেন যখন তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিচার হচ্ছে। এর আগে ২০২১ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জোট গনেতানিয়াহুঠন করে ক্ষমতায় আসেন নাফতালি বেনেট। ওই সময় নিজ জোটে আরব, ইসরাইলি দলগুলোকে রেখেছিলেন তিনি। মূলত নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকেই সরানোর উদ্দেশ্য ছিল তার। এতে সফলও হন বেনেট। ২০২১ সালের নির্বাচনে হেরে গিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর ক্ষমতা হারান নেতানিয়াহু। কিন্তু বেনেট তার জোটকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারেননি। এতে জোট ভেঙে যায়। ফলে ইসরাইলিদের আবারও নতুন নির্বাচনে ভোট প্রদান করতে হয়। সেই নির্বাচনে দুই বছরের মধ্যে আবারও ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে বসতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্র অটোমান সাম্রাজ্যের আরব অঞ্চল দখল করে নেয়। অধিকৃত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এবং সদ্য আবিষ্কৃত তেলের খনির বখরা এবং বিশ্ববাণিজ্যের ধমনি সুয়েজ খাল নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি পাহারাদার নিযুক্ত করে তারা। 

প্রায় একই সঙ্গে জন্ম নেয় সৌদি আরব ও ইসরায়েল। এই ঔপনিবেশিক যমজের জুটি ভাঙা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির প্রধান শর্ত। ইতিমধ্যে ফাটল দৃশ্যমান। আমেরিকার ছাতা ফুটো হতে থাকছে আর তেলনির্ভর সৌদি আরব তার অর্থনীতিকে বহুমুখী করার চেষ্টা করছে। বিনিয়োগ করছে বিভিন্ন দেশের শিল্প ও ব্যবসায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ে দুনিয়াও তেলনির্ভরতা থেকে বেরোতে চাইছে। ইয়েমেনে আগ্রাসন আর কাতার অবরোধের ব্যর্থতা সামলাতে এখন তাদের শান্তি প্রয়োজন। আর শান্তি এলে মার্কিন-ইসরায়েলি অস্ত্রের বাজার চুপসে যাবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে কাবু আমেরিকা ইসরায়েলকে ফি বছর ট্রিলিয়ন ডলারের মদদ দেবে কী করে? তা ছাড়া রুশ-চীনা-তুর্কিরা ভাগ বসাচ্ছে ইসরায়েলি সমরাস্ত্রের বাজারে। ইসরায়েলের বিখ্যাত আয়রন ডোম প্রতিরক্ষার মধ্যেও যে ছিদ্র আছে, হামাসের ছোড়া রকেট তা দেখিয়ে দিচ্ছে হামাস ৯০টি রকেট ছুড়ে আয়রন ডোমকে ব্যতিব্যস্ত করে যাতে অন্তত ১০টি ফিলিস্তিনি মিসাইল লক্ষ্যে আঘাত হানে। যদিও বিশ্ব জনমত আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ইসরায়েলবিরোধী, তবু জায়নবাদ বেপরোয়া। এসব দুর্বলতার লক্ষণ। কারণ তারা জানে, হাতে সময় কম। চীন-রাশিয়াকেন্দ্রিক বিশ্ব বা বিশ্বক্ষমতার ভরকেন্দ্রে যেকোনো ধরনের পরিবর্তনের আগে অন্তত সমগ্র জেরুজালেম ফিলিস্তিনিমুক্ত করা এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিতেই হবে তাদের।ইরাক-মিসর-সৌদি আরব-জর্ডান ও সিরীয় ভূখণ্ড দখল করে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করাই তাদের নিরুপায় পরিকল্পনা। নিরুপায়, কারণ আরব রাষ্ট্রগুলোকে ভেঙে না ফেললে ইসরায়েল কখনো নিরাপদ হবে না। অস্তিত্ব টেকাতে ইসরায়েলকে বর্বর হতেই হবে। তারা ভালো করেই জানে, আরবকে বিভক্ত করে শাসন করার চিরকালীন নিশ্চয়তা নেই। গত কয়েক মাসে সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। একদিকে চীন-রাশিয়া-ইরান-তুরস্কের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে। 

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পতন তো দৃশ্যমান, ট্রাম্পের কল্যাণে রাজনৈতিকভাবেও দেশটা ভয়ানক বিভক্ত। ইসরায়েলের আরব ও মুসলিম জনসংখ্যা বর্তমানে ২০ শতাংশ। এরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারে না। ৪০ বছরের মধ্যে আরব, মুসলিম এবং জায়নবাদ বিরোধী আলট্রা-অর্থোডক্স ইহুদিরা জনসংখ্যার অর্ধেকে পৌঁছাবে। কোনো গণতান্ত্রিক উপায়ে জনসংখ্যার অর্ধেক কেন, ২০ শতাংশকেও অধিকারহারা করা যায় না। ইসরায়েল তাই একই সঙ্গে জায়নবাদী ও গণতান্ত্রিক থাকতে পারে না। পারছেও না। দুই বছরে পরপর চারটি নির্বাচনে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। টেকসই কোয়ালিশনও গড়ে উঠছে না। এই রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ঢাকতেই তাদের যুদ্ধ দরকার, ঘৃণার রাজনীতি দরকার। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাজনৈতিক ভরাডুবি ঠেকাতে তাই বলি করেছেন আল-আকসা মসজিদ ও তার পাহারাদার ফিলিস্তিনিদের। জায়নবাদীরা ১৯৪৮ সালে অটোমান সাম্রাজ্য ভেঙে গায়ের জোরে ইসরায়েল কায়েম করার সময় বলেছিল, বৃদ্ধরা মরে যাবে আর তরুণেরা ভুলে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। ফিলিস্তিনিরা ৭০ বছর ধরে রক্ত দিয়ে জেরুজালেম ও আরব ভূমির সম্পূর্ণ বেহাত হওয়া ঠেকিয়ে যাচ্ছে। তাদের যে গণহত্যা করেও থামানো যাবে না, তা ২০১৪ সালের গাজা আর ২০০৬ সালের লেবানন দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রতিরোধী আরব একাও বিজয়ী হতে পারবে না। বিশ্বক্ষমতার ভরকেন্দ্র বদলের যে লক্ষণ ফুটে উঠেছে, তার মাঝখানের ফাঁকটাই তাদের দরকার। ১৯৪৮ সালের আগে পৃথিবীতে ইসরায়েল বলে বাস্তব কোনো দেশ ছিল না। পৃথিবীতে ইহুদি নেশন বা জাতি বলেও কিছু ছিল না। ছিল রাষ্ট্র ও ভূখণ্ডহীন ইহুদি সম্প্রদায়। বাইবেল কথিত ‘ল্যান্ড অব ইসরায়েল’ ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা বোঝাত না, বোঝাত ইহুদিদের আধ্যাত্মিক কেন্দ্রকে। 

এটাও ঠিক যে, তিনিই ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যার দুর্নীতির অভিযোগ বিচার বিভাগে পাঠানো হয়েছিল এবং তার মেয়াদকালে তিনি ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন, তার স্ত্রীও। নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক মতবাদকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে সেখানে দুটি প্রধান কৌশল দেখা যায়, যার উপর ভর করেই তিনি ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও রাষ্ট্রের অন্যান্য মন্ত্রণালয় যেমন যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, কৃষি, এমনকি সমাজকল্যাণ ইত্যাদি মন্ত্রণালয় ও অফিসগুলোয় সরাসরি তদারকি করতেন। পরে অবশ্য ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলে তিনি এসব দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তিনি বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের অফিসে নিজের আনুগত্য ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ক্ষমতাকে আরও প্রশস্ত করেছেন। অর্থ্যাৎ, জনগণের সামনে ইসরায়েলি ইহুদিবাদের অখণ্ডতা রক্ষায় নিজেকে অপরিহার্য হিসেবে উপস্থাপন করে তিনি এতকাল যাবত ক্ষমতা ধরে আছেন এবং ক্ষমতা পাকা করার কৌশল হিসেবে তলে তলে তিনি অসংখ্য অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে নিজের ব্যক্তিগত লাভের দিকটিও ঠিকই বুঝে নিয়েছেন, যা প্রায় একযুগ পরে এসে জনগণের সামনে চোখে কিছুটা ধরা পড়লো।বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহু দেশের অভ্যন্তরে ভিন্ন মতকে কঠোর হস্তে দমন করার সাথে সাথে গণমাধ্যমে নিজের নেতৃত্ব ও তার দলের ব্যাপারে নিয়মিত ইতিবাচক প্রোপাগ্যান্ডাও ছড়িয়ে থাকেন।এছাড়া নিজের একচেটিয়া ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ইসরায়েলের অখন্ডতা ও নিরাপত্তার নামে প্রায়শই তিনি ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্বের মাধ্যমে ভীতি ছড়িয়ে থাকেন, এমনটাও ধারণা করেন অনেক বিশ্লেষক।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট 


আরও পড়ুন