মাটির ব্যবস্থাপনায় খুব দুর্বল কৃষি বিজ্ঞানীরা : কৃষিমন্ত্রী

news paper

সাদিক হাসান পলাশ

প্রকাশিত: ৫-১২-২০২২ দুপুর ৪:৩৬

8Views

দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা মাটির সঠিক ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত দুর্বল ভূমিকা পালন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। পাশাপাশি তিনি দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কারিকুলাম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

সোমবার বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনার, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রাজধানীর কেআইবি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহার করছেন, সেটার জন্য মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটির স্বাস্থ্য ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, মাটির স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সেগুলো ভালো ফল দেবে না। আবার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সারও লাগবে। সবকিছু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সবকিছুর সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সে দিক থেকে আমাদের বিজ্ঞানীরা খুব দুর্বল।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের ব্যাপক গবেষণা প্রয়োজন। নতুন নতুন প্রযুক্তির জন্য মাটির কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে সে ধারণা নিন। কয়েক বছর আগে নতুন প্রযুক্তি ভার্মিকম্পোস্ট এসেছে। আমি অনেক বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করেছি এতে নাইট্রোজেনের মাত্রা কত? তারা জানেন না। সেটা খুব দুঃখজনক। আপনাদের উঁচু মানের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা কৃষিবিদ হয়ে উঠছেন তাদের দুর্বলতা রয়েছে। মাঠের সঙ্গে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাতে কলমে শিক্ষা নিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এত বড় বড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, একটিতেও পোল্ট্রি খামার নেই। ডেইরি ফার্ম নেই। তারা শিখবে কীভাবে। কিন্তু বেসরকারি খাত কত বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা কীভাবে সহায়তা দেবে।’ 

কৃষি গবেষণা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে বসেন। তাদের কারিকুলাম দিন। কীভাবে পড়ানো উচিত।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই বিসিএসের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি নোট পড়ে কোনোভাবে ডিগ্রি নিয়ে আসছে। আমি বলছি না, সবাই সেটা করছে। তবে অধিকাংশরা সেটা করছে। 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সবাই সরকারি চাকরি নিতে ব্যস্ত। মানে মাস গেলে বেতন। কোনো দায়িত্ব নেই। কোনো কাজ নেই। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা খাদ্য উৎপাদন করি। অন্য সম্পদ আমাদের নেই। এখনও অনেক খাদ্য বিদেশ থেকে আনি। সবকিছু অনেক চ্যালেঞ্জ। সত্যিকার অর্থে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।’


আরও পড়ুন