ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক (সাংগঠনিক) রাশেদ সহ ৫১ জনের নামে মামলা

news paper

ইমাম হো‌সেন, ঢাকা

প্রকাশিত: ২-১২-২০২২ দুপুর ৩:৪৪

17Views

গত মঙ্গলবার ২৯ (নভেম্বর)২০২২ ইং তারিখে রাত ১০ টায় সাভার পৌর এলাকার উলাইল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন (RAY) ফ্যাক্টারির সামনে, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশত নেতা-কর্মী সহ ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক (সাংগঠনিক) সম্পাদক রাশেদুল আহসান রাশেদ এর নির্দেশে, সারাদেশে বিএনপি ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও আগামী ১০ই (ডিসেম্বর) ২০২২ ইং তারিখে ঢাকায় গণজামায়াতে সফল করার সমর্থনে, মশাল মিছিল করে জনগনের চলাচলের রাস্তায় প্রতি বন্ধকতা সৃষ্টি করে। 

জানা গেছে উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা এর নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)আব্দুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) নয়ন কারকুন, সাভার মডেল থানাধীন ট্যানারী পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ)পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মোল্লা ও সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ফেরদৌস আহম্মেদ সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে  রাত ১১টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র সহ লাঠি শোটা দিয়ে আক্রমণ শুরু করে,  এলোপাতাড়ি ইটের খোয়া ও ককটেল নিক্ষেপ করে। 

মোট ৬ টি ককটেল নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে ২ ককটেল বিস্ফোরিত হয় ও বাকি ৪টি ককটেল অবিস্ফোরিত থেকে যায়। এসময় নিক্ষিপ্ত  ইটের খোয়ায় (এসআই) ফেরদৌস, (কনস্টেবল) কোহিনুর ইকবাল ও (কনস্টেবল) প্রভাষ চন্দ্র সরকার আহত হয়। জনগণের জানমাল ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে সরকারি কাজে বাধা ও আক্রমণ করায় আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করলে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ, এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলেন, 

১। ঢাকা জেলা যুবদলের (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক),মোঃ শওকত হোসেন খোকন (৪০),তিনি সাভার সদর ইউনিয়নের দেওগাঁও গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে,
২। বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের (আহবায়ক) কবির হোসেন (৪০), তিনি বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাব গ্রামের, শুক্কুর আলীর ছেলে, ৩।তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপির (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)মোঃ আক্কাস আলী (৬৫),তিনি তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর রাজাঘাট গ্রামের, মৃত ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে। আটককৃত আসামীদের কে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করলে পলাতক আরোও ৪৮ জন আসামীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে।এঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে। 

উক্ত ঘটনায়  আটককৃত ও পলাতক আসামীরা পুর্বপরিকল্পিতভাবে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে সরকারি কর্মচারীদের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে আক্রমন ও সাধারণ জখম করে হুকুম প্রদান সহ, বিস্ফোরক দব্য  ককটেল নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটানো ও সংরক্ষণ করায় পেনাল কোড,১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/১৮৬/১০৯/৩৪ ধারা সহ, বিস্ফোরক উপাদানবলি আইন ১৯০৮ এর ৪/৫ ধারায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক(সাংগঠনিক) সম্পাদক, রাশেদুল আহসান রাশেদ সহ ৫১ জনের নামে এবং অজ্ঞাত নামা আরোও ১০০ জনকে আসামী করে (এসআই)  ফেরদৌস আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন সাভার মডেল থানায়।এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, দীপক চন্দ্র সাহা এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঐ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।


আরও পড়ুন