ওয়সার গুদাম থেকে কোটি টাকার স্ক্র্যাপ চুরির অভিযোগ

news paper

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ২৫-১১-২০২২ দুপুর ২:৬

19Views

চট্টগ্রাম ওয়াসার নাসিরাবাদ গোডাউন থেকে নিলাম করা স্ক্র্যাপ মালামালের সাথে অবৈধভাবে কোটি টাকার মালামাল চুরি করে পাচারের অভিযোগ ওঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ভান্ডার বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আতিয়ার রহমান।
জানা যায় চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) গুদামে থাকা স্ক্র্যাপ আইটেম নিলামে বিক্রয়ের জন্য টেন্ডার আহবান করলে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগীতা করে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয় খাজা স্টোর নামের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসিয়াল নিয়ম কানুন সমাপ্ত করে গত রোববার থেকে মালামাল নেওয়া শুরু করে। তবে তাদের ক্রয়কৃত মালামাল ছাড়াও অতিরিক্ত মালামাল পাচার করতে থাকে। এসময় ওয়াসার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও এই অনৈতিক কাজে তাদের বাঁধা না দিয়ে উল্টো সহযোগীতা করে যাচ্ছে। সকালের সময়ের বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে এমন সংবাদ পেলে মঙ্গলবার সকালে নাসিরাবাদ গুদামে গিয়ে ট্রাকে বিভিন্ন মালামাল তোলা অবস্থায় দেখতে পায় প্রতিবেদক। এসময় গুদামে উপস্থিত থাকা ওয়াসার উসহকারী প্রকৌশলী কাজল চন্দ্র নাথ এবং গুদামের ইনচার্জ সামসুল আলমের সাথে মালামাল চুরির বিষয়ে কথা বললে তারা বিষয়টি অস্বীকর করেন। এসময় তারা বলেন আমাদের এখান থেকে চুরির কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি মালের গায়ে নাম্বার লেখা রয়েছে এর বাইরে কোন মালামাল বের হবেনা। তবে গাড়িতেও নাম্বারিং ছাড়া অর্থাৎ চোরাই মালামাল রয়েছে বলে এই প্রতিবেদক দাবী করলে তারা অস্বীকার করলেও  উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যদি গাড়িতে চোরা মাল না থাকে তাহলে তা তেখাতে সমস্যা কোথায় জানতে চাইলে কাজল চন্দ্র নাথ বলেন স্যারের নির্দেশ আছে কাউকে ভেতরে প্রবশ করতে না দেওয়ার। তাহলে কি আমি ধরে নেব মালামাল চুরির অভিযোগ সঠিক ? এমন প্রশ্নে তিনি বলে আসলে আমার কিছু করার নেই, বসের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। আপনারা  এসময় ভান্ডার বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আতিয়ার রহমান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
সুত্র জানায় নাসিরাবাদ গুদামের অকেজো মালামালের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সাইজের পাইপ, ট্রান্সফরমার, কন্ট্রোল প্যানেল বোর্ড, পাম্প মটর, সিলিন্ডার ও অন্যান্য মালামাল। এসব মালামাল গুদামে প্রচুর পরিমানে রয়েছে তবে নিলাম দেওয়া হয়েছে কম। বাকিগুলোর মধ্যে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারি ও খাজা স্টোরের গঠিত সিন্ডিকেট চুরি করে পাচার করবে। এর বিনিময়ে ওয়াসার কর্মকর্তারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ গ্রহণ করবেন। আর যে পরিমান টাকা  নিবেন তার কয়েকগুন পরিমান মালামাল তাদেরকে চোরাইভাবে বের করার সুযোগ দিবেন।
উল্লেখ্য সাংবাদিকের উস্থিতির কারনে মালমাল লোড করার কাজ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয় এবং সাংবাদিক চলে আসার পর আবার তাদের কাজ শুরু করে।
এব্যপারে কথা বলতে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহর মোবাইলে কল এবং প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন জবাব দেননি।


আরও পড়ুন