বাংলাদেশে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে : ডা.ফাওজিয়া মোসলেম

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪-১১-২০২২ দুপুর ৪:৫৮

12Views

ডা.ফাওজিয়া মোসলেম বলেন,বিভিন্ন সমীক্ষা, গবেষণার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ১৩টি জাতীয় to পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র প্রতি মাসে গণমাধ্যমে তুলে ধরে। দেখা যায়, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ বাড়ছে আশংকাজনকভাবে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা এবছরের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের কর্মসূচি তুলে ধরা হবে, পাশাপাশি তরুণরা কেন ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে- এ বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ,নারী ও কন্যা নির্যাতন বন্ধ করি, নতুন সমাজ নির্মাণ করি"শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন,তিনি বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারী অধিকার কর্মীরা ২৫শে নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালন করে আসছে। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনা মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালের ২০শে ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ নারী নির্যাতন দূরীকরণ বিষয়ক ঘোষণা গ্রহণ করে এবং ২০০০ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫শে নভেম্বরকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পরবর্তীতে ২৫শে নভেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত ১৬ দিনের প্রচারণা কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহন করে। বিশ্বের দেশে দেশে সরকারী, বেসরকারী উদ্যোগে নারী নির্যাতন দূরীকরণ দিবস পালনসহ ১৬ দিনের প্রচারণায় নানা কর্মসূচি গ্রহন করা হয়।

মালেকা বানু বলেন, এইবাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রতিবছর এই পক্ষকালে নানা কর্মসূচি গ্রহন করে। এবছর নারী ও কন্যা নির্যাতন বন্ধ করি, নতুন সমাজ নির্মাণ করি' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যন্ত নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। এই পক্ষ পালনের মধ্য দিয়ে নারী ও কন্যার প্রতি দৃশ্যমান ও অদৃশ্য নানা মাত্রার সহিংসতা ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।


আরও পড়ুন