হাতীবান্ধায় উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব: পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

news paper

হাতীবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪-১১-২০২২ দুপুর ৪:৪৭

17Views

 লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এডিপি ও টিআর প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন ও দুই ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব। পাল্টা পাল্টি অভিযোগে আ’লীগ সভাপতিও আসামী।
 
প্রাপ্ত অভিযোগ সুত্রে ও উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু সহ অন্যান্যদের ডেকে পরামর্শ করে গত ৭ নভেম্বর ২ ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরু আমার অফিসে গেলে এডিপি ও টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর না দিয়ে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। অফিসের চেয়ার ভাংচুর করে,হত্যার উদ্দেশ্যে নারী ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী সুলতান আহম্মেদ রাজন আমার গলা চিপে ধরে এবং ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু আমার পকেট থেকে জোর পূর্বক ৫০ হাজার টাকা বের করে নেয়। পরে জেসমিন নাহার নিজ অফিসে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিচে ফেলে দেয়। তারপর আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়। এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকেও আসামী করে গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন বলে দাবি করলেও হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম বলছে, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ তিনি পায়নি। 
 
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু সহ আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের অফিসে গিয়ে টিআর-কাবিখা প্রকল্প নিয়ে নিয়ে কথা বলি এ সময় তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন। কিছুক্ষন পর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মেহেদী হাসান মোহন সহ তার লোকজন আমার অফিসে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং সেখানে থাকা চেয়ার দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে এক পর্যায়ে গলা চিপে ধরে শ্লীলতাহানী ঘটায়। তাই আমি মামলা করেছি। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান নিজের দুর্নীতি ঢাকতেই এবং তাকে সামাজিক ভাবে হয়রানী করা উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছে। 

আরও পড়ুন