চসিক মেয়রের ১ শ দিন

মূল বিষয়গুলোর সুফল সন্তোষজনক : দাবি মেয়রের

news paper

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ২৮-৫-২০২১ বিকাল ৫:২০

33Views

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের লক্ষ্যসীমা নির্ধারণ করে জনগুরুত্বপূর্ণ প্যাচওয়ার্ক কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এ কার্যক্রমের আওতায় মশক নিধন, পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, বেহাল সড়কগুলোর সংস্কার এবং সড়ক আলোকায়নসহ চসিকের সেবামূলক পরিধিতে গতিশীলতা আনায়ন এবং আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই ও উপায় অন্বেষণ করেছি। এই ১০০ দিনের সময়সীমার মূল লক্ষ্য ও বিষয়গুলোর সফলতা ও সুফল সন্তোষজনক। তবে চলমান কার্যক্রম পরিচালনায় বেশকিছু সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, বিধায় ক্ষেত্রবিশেষে শতভাগ সাফল্য হয়তো অর্জিত হবেনা। তবে না হওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা গেছে। তাই অভিজ্ঞতার আলোকে চিহ্নিতকরণ ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন সম্ভব হলে চসিকে ভবিষ্যতের পথ সুগম হবে। তিনি বৃহস্পতিবার (২৭ মে) নগরীর টাইগার পাসস্থ সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী ভবনে তার দপ্তরে ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের চতুর্থ সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরগণ, সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদসহ বিভাগীয় প্রধানগণ জুম অ্যাপের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন। 

তিনি নগরীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জিরো টলারেন্স থাকার ঘোষণা দিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মশক নিধনে যতটুকু সফলতা আসার কথা তা আসেনি, কারণ নগরবাসীর অসচেতনা। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেয়ায় জমাট পানি মশক প্রজননের উৎসক্ষেত্র হওয়ায় এবং সংগৃহীত তরল ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি। ওই তরল ওষুধের গুণাগুণ যাচাই করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই তাদের পরামর্শ মোতাবেক মশক নিধনের কাজ আবার শুরু করা হবে।

তিনি ‍আরো বলেন, নগরীর ভাঙ্গাচোরা রাস্তা মেরামতে প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা গেছে। এখন আবর্জনা পরিষ্কারের বিষয়টি দৃশ্যমান। ১০০ দিনের কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নগরীর ৩০টি রাস্তার ৭৬ কিলোমিটার অংশে পোল বসিয়ে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। ফলে বিস্তীর্ণ নগরীর অনেকটাই আলোকায়নের আওতায় আনা গেছে এবং বাকি স্থানগুলোতেও আলোকায়নের কাজ চলমান থাকবে।

মেয়র বলেন, এই নগর আমার একার নয়, এটা সবার। তাই নিজ স্বার্থে নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তিনি তার নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী চট্টগ্রামকে সর্বসাধারণের বাসযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের নগরীতে পরিণত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, কর্পোরেশনকে স্বনির্ভর ও সুদঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো প্রয়োজন। যত সীমাবদ্ধতাই থাকুক, তার মধ্যেই পরিকল্পনামাফিক পরিচালনা করতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদেরও আন্তরিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ে তোলা সম্ভব। 

তিনি কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ স্ট্যান্ডিং কমিটি শুধু নামমাত্র না হয়ে বাস্তব বিবেচনায় কার্যকর হতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি কাউন্সিলরদের আন্তরিকতা প্রত্যাশা করেন।

সভার শুরুতে নগরীতে ইতোমধ্যে যে সকল বিশিষ্টজন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা ‍এবং করোনা থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


আরও পড়ুন