সকালের সময় টপ ১০ কর্পোরেট সংবাদ

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৮-১০-২০২২ দুপুর ১২:২৭

19Views


১. খাদ্য নিরাপত্তায় বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস
ঝুঁকিতে দক্ষিণ এশিয়া, মূল্যস্ফীতি হবে ৯.২ শতাংশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণে হবে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এই অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তাকে আরও ঝুঁকিতে ফেলেছে। এ অবস্থায় চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২ শতাংশ ছাড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।এই মূল্যস্ফীতি মানুষের প্রকৃত আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে এই অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও বিপাকে পড়বে। কারণ এই অঞ্চলের মানুষ তাদের আয়ের একটি বড় অংশ খাদ্যের জন্য ব্যয় করে।

‘দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক নজিরবিহীন ধাক্কা, বাড়িয়ে দিচ্ছে চ্যালেঞ্জ এবং প্রবৃদ্ধি কমছে’ শীর্ষক এক প্রবন্ধে এই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।বিশ্বব্যাংক জানায়, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট, পাকিস্তানের বিপর্যয়মূলক বন্যা, বিশ্বব্যাপী স্থবিরতা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়াকে কোভিড-১৯ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি কমছে। এজন্য টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিতে বলেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। গত জুনে করা প্রাক্কলন থেকে ১ শতাংশ কম। অর্থনৈতিক মন্দা যখন সব দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ভারসাম্যহীন করছে। ভারতের রপ্তানি এবং পরিষেবা খাত এই অঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনেতিক খাত। ভারতের অর্থনীতিই দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে শক্তিশালীভাবে পুনরুদ্ধার করছে। এছাড়া পর্যটনে মালদ্বীপে এবং নেপালে গতিশীল পরিষেবা খাত প্রবৃদ্ধিতে এই অঞ্চলে অবদান রাখছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে কোভিড-১৯ এর সম্মিলিত প্রভাব এবং পণ্যের রেকর্ড-উচ্চমূল্য শ্রীলঙ্কার অনেক বেশি ক্ষতি করেছে। দেশটির ঋণের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে বৈদেশিক রিজার্ভ কমে গেছে। এ অবস্থায় সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রকৃত জিডিপি এই বছর ৯ দশমিক ২ শতাংশ কমে যাবে। ২০২৩ সালে এটি আরও ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
বৈশ্বিক এ সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, উচ্চ দ্রব্যমূল্য পাকিস্তানের বাহ্যিক ভারসাম্যহীনতাকে আরও খারাপ করেছে এবং রিজার্ভ কমিয়ে এনেছে। বিধ্বংসী জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি সংকট ও বন্যার ফলে পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ জলমগ্ন হওয়ার পর দেশটির অর্থনীতি অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশ অর্থনীতির বেহালদশা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, যদিও কয়েকটি দেশ তুলনামূলক ভালো করছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ভারতের সেবা খাত ও রপ্তানি আয় খুব শক্তিশালী রয়েছে। অথচ একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে টানাপোড়েনে আছে অধিকাংশ দেশ। অন্যদিকে মালদ্বীপ ও নেপালে পর্যটন খাত আবার চাঙা হওয়ায় এই দুই দেশে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার বলেন, মহামারি, বিশ্বব্যাপী তারল্য, পণ্যের দামের আকস্মিক পরিবর্তন এবং চরম আবহাওয়া বিপর্যয়ের ফলে এ অঞ্চল ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ধাক্কা সামলেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে শক্তিশালী অর্থনীতি এবং আর্থিক বাফারগুলো তৈরি করতে হবে। নিজ দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হলে দেশগুলোকে টেকসই উন্নয়ন করতে হবে।

২.নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতা 

বাণিজ্য ডেস্ক
বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকায় এবং খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা দরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই মাছ, ডিম ও সবজির দাম চড়া। সেগুলো আগের মতোই রয়েছে।শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বাজারে প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল, ঢেড়স ও শসা ৬০ টাকা করে, টমেটো ১৪০, গাজর ১২০-১৩০, পেঁপে, কাচকলা ও আলু ৩০ টাকা করে এবং বরবটি ৬০-৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।

বাজারে শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত শিমের দাম কমেছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ১ কেজিতে শিম বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়, যা এ সপ্তাহে নেমেছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা ও মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সবজির মতো শাকের দামও চড়া। প্রতি আঁটি লালশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা আর পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৭০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিমের দাম ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত থাকলে ৫ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। মপ্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ২৫০ টাকা, পাঙাস ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, কৈ ২২০-২৫০ টাকা, শিং মাছ আকার ভেদে ৫০০-৭৫০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি মাছ ৬০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা কেজিতে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা। এছাড়া লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আটাশ চালের কেজি ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫৫ টাকা, স্বর্ণা ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা কেজি। মশুর ডাল (মোটা) প্রতি কেজি ১১০ টাকা, চিকন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া পেঁয়াজের কেজি জাত ও মানভেদে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা ১৯০-২০০ টাকা হয়েছে।অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। গরুর মাংস ৭০০ টাকা আর খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


৩.বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ 


নিজস্ব প্রতিবেদক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জিএম আবুল কালাম আজাদ। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (এক্স-ক্যাডার পাবলিকেশনস) ও সহকারী মুখপাত্র ছিলেন। 

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম অবসরে যাওয়ার পর জিএম আবুল কালাম আজাদকে মুখপাত্র করা হয়। এছাড়া অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের পরিচালক মো. আনোয়ার ইসলাম ও কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশনের পরিচালক সাঈদা খানমকে সহকারী মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। 

আবুল কালাম আজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি গবেষণা, মনিটরি পলিসি, গভর্নর সচিবালয় ও কমিউনিকেশনস বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের গাজী পরিবারের সন্তান। তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খাতুন বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। আবুল কালাম আজাদ দুস্থদের সহায়তায় কাজ করা যশোরের ভাটাই-নূরজাহান অরফ্যান্স ফ্রেন্ড সংগঠনের নির্বাহী উপদেষ্টা ও ডোনার।


৪.১৫ অক্টোবর থেকে ফের চালু হবে ইভ্যালি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন করে ব্যবসা চালু করতে যাচ্ছে ইভ্যালি। পুরোনো গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের আগেই আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন সার্ভার থেকে পণ্য বেচাকেনা শুরু করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ইভ্যালির বর্তমান পরিচালক শামীমা নাসরিন। 

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল কারাবন্দী থাকায় পুরোনো সার্ভারের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যাচ্ছে না। সার্ভারের তথ্য ছাড়া পুরোনো গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করাও সম্ভব নয়।শামীমা নাসরিন বলেন, রাসেলকে ছাড়া টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁকে ছাড়া পুরোনো সার্ভার সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়েই নতুন সার্ভার থেকে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছি।

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিন। এ বছর এপ্রিলে শামীমা নাসরিন জামিনে মুক্তি পেলেও মোহাম্মদ রাসেল এখনো কারাবন্দী। সংবাদ সম্মেলনে শামীমা নাসরিন জানান, তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে থেকেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে মোহাম্মদ রাসেল একাই সার্ভারের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের দায়িত্ব নেন। একটি কাগজে লিখে অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে পাসওয়ার্ডটি রাখা হয়। 

শামীমা নাসরিন অভিযোগ করেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব ইভ্যালি অফিসে প্রবেশ করে এবং অফিস অরক্ষিত অবস্থায় রেখেই চলে যায়। এরপর কয়েক দিন অফিসের প্রবেশপথগুলো খোলা ছিল। অফিস তছনছ হয়েছে। তাঁরা পরে আর পাসওয়ার্ড পাননি। মোহাম্মদ রাসেলও পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন। তিনি আমাজনের সঙ্গে বসলে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা সম্ভব, অন্যথায় নয়। 

শামীমা নাসরিন বলেন, ব্যবসায়িক কৌশলে ত্রুটি স্বীকার করে তা সারিয়ে ওঠার জন্য ছয় মাস সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হাইকোর্টে আমরা আবেদন করেছিলাম ব্যবসা পরিচালনার। ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে মুনাফা না করে একটি পণ্যও বিক্রি করব না।হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির সাবেক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিভিন্ন মন্তব্য অসত্য বলে দাবি করেন শামীমা নাসরিন। তিনি বলেন, মানিক সাহেব বলেছেন আমরা মানি লন্ডারিং করতাম, প্রতি মাসে দুবাই যেতাম। আমরা মাত্র দুবার দুবাই গিয়েছি। ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করলেই এটা জানা যাবে। ইভ্যালির সামগ্রিক তথ্য হয় তিনি বুঝতে পারেননি, নয়তো তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে অসত্য বলেছেন।

শামীমা নাসরিন জানান, ইভ্যালির ৪৫ লাখ গ্রাহক রয়েছে। গত বছর ব্যবসা পরিচালনাকাল পর্যন্ত তাঁদের দেনা ৪০০ কোটি টাকার মতো। এক বছর ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পেলেই এই পাওনা পরিশোধ করতে পারবেন। গত বছর মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিন গ্রেপ্তারের পর সে বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন উচ্চ আদালত। এই বোর্ডকে ইভ্যালির দায়-দেনা নিরূপণ করে প্রতিষ্ঠানটি চলবে নাকি দেউলিয়া ঘোষণা করা হবে সে ব্যাপারে মতামত জানাতে নির্দেশ দেন। তবে ইভ্যালির সার্ভারের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করতে না পারায় দায়-দেনার হিসাব জানা সম্ভব নয় জানিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব ছাড়ে মানিকের বোর্ড।

আদালতের নির্দেশে বর্তমানে পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড ইভ্যালি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। বোর্ডে রয়েছেন- শামীমা নাসরিন, তাঁর মা এবং বোনের স্বামী, ই-ক্যাবের সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী কামরুন নাহার। গত ২২ সেপ্টেম্বর এই বোর্ড দায়িত্ব নিলেও এখন পর্যন্ত বোর্ড মিটিং হয়নি। আগামী সপ্তাহে বোর্ডের প্রথম মিটিং হতে পারে বলে জানিয়েছেন শামীমা নাসরিন।


৫.পুঁজিবাজারের সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু সোমবার


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সরকারি সিকিউরিটিজ পুঁজিবাজারের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন প্ল্যাটফর্মে প্রথমবারের মতো আগামী ১০ অক্টোবর (সোমবার) সরকারি সিকিউরিটিজ পরীক্ষামূলক লেনদেন শুরু হবে।মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এমআই) মডিউলে (পদ্ধতিতে) ট্রেজারি বন্ড ও বিলসমূহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন হবে। এ বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বিএসইসিকে আলাদাভাবে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর বিএসইসির পক্ষ থেকে ঢাকা ও চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও মুখপাত্র শফিকুর রহমান বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজ আগামী ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি শেষ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, স্টক ব্রোকারসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগেই লেনদেন শুরু হবে।

গত ৩ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, পুঁজিবাজারের দুটি পার্ট। এর মধ্যে একটি ইক্যুইটি মার্কেট, আরেকটি ডেপথ মার্কেট। ইক্যুইটি মার্কেটই হলো শেয়ার মার্কেট। বাংলাদেশে এই শেয়ার মার্কেটই উন্নয়ন করেছে। শেয়ার মার্কেটের আরেকটা অংশ যেটা আসলে বড় হওয়া উচিত সেটা হলো বন্ড মার্কেট। সেটা কিন্তু খুব বেশি গড়ে ওঠেনি। সেকারণে সেকেন্ডারি মার্কেট আসলে ততটা ভালো কাজ করছে না। বন্ড মার্কেটকে বড় করতে যে সাপোর্ট দরকার সেটা গভর্নর হওয়ার পর বেশি অনুভব করলাম।

গভর্নর বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন- ভারত, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় উদ্যোক্তা ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে পুঁজি তোলে। অন্যান্য প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে লোন নেয়। আর আমাদের দেশে হচ্ছে ঠিক এর উল্টো। সবাই ব্যাংক থেকেই লোন নিচ্ছে। কাজেই এখানে যদি লোন পরিশোধে কোয়ার্টার মিস করেন তাহলেই তিনি ডিফল্টর হয়ে যাচ্ছেন। কাজেই আমি মনে করে বন্ড মার্কেটকে যদি ডেভলপ করতে পারি, আরও ভালো করতে পারি, তাহলে সবাই বন্ড মার্কেটে যাবে। সেখান থেকে তারা টাকা তুলবে। আর ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করবে।

গভর্নর আরও বলেন, আমাদের অনেক ব্যাংক টায়ার-২ বন্ড ইস্যু করছে। সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। আমি যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রেন্ড ছিল এক ব্যাংক বন্ড ইস্যু করলে আরেক ব্যাংককে তা নিতে হতো। আমি যোগ দেওয়ার পর নিয়ম করে দিয়েছি ফিফটি পার্সেন্ট বন্ড বাইরে বিক্রি করতে হবে। ব্যাংকের বন্ড তো সব সিকিউরড বন্ড। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যাংক ফল্ট করেনি। আগামী ৫০ বছরেও ফল্ট করবে না বলে আমি মনে করি। তাহলে সব বন্ড সিকিউরড। তারা কেন মার্কেটে আসবে না। সেটা কেন সাধারণ মানুষ কিনবে না। আমার কাছে এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ৬টি ব্যাংক এসেছে। সবাইকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি যে ফিফটি পার্সেন্ট বন্ড ক্যাপিটাল মার্কেটে ইস্যু করতে হবে। আমরা পুঁজিবাজারে বন্ডগুলোকে বড় করার চেষ্টা করছি।

৬.বিশ্ব অর্থনীতিতে ধাক্কার প্রভাব ভারতে


বাণিজ্য ডেস্ক
করোনার ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব অর্থনীতি। এর মধ্যে যোগ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার প্রভাব পড়েছে মূল্যবৃদ্ধিতে। বিশ্ব অর্থনীতির এ পরিস্থিতির হাওয়া লাগছে ভারতের অর্থনীতিতেও। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক। ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি’ নিয়ে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

গত জুনে গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস শীর্ষক যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল বিশ্ব ব্যাংক সেই রিপোর্টে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। এ বারের পূর্বাভাসে তা আরও ১ শতাংশ কমানো হলো। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে গত অর্থবছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। 

গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবছরেও ভারতে প্রবৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু গত এপ্রিলে বিশ্ব ব্যাংকের সংশোধিত রিপোর্টে ভারতে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়। জুনের রিপোর্টে তা আরও ০.৫ শতাংশ কমানো হয়েছিল। এ বার কমলো আরও ১ শতাংশ।
 বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ভালো। তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধির হারও বেশি।


৭.এক ওয়েবসাইটেই মিলবে সব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের তথ্য


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
দেশের সব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আর্থিক হিসাবসহ অন্যান্য তথ্য অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডের (এএএমসিএমএফ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এ জন্য সংগঠনটির নেতাদের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মিজানুর রহমান।

বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ- ২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এএএমসিএমএফ আয়োজনে ‘রোল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইএসজি অ্যানালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।মিজানুর রহমান বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ লাভজনক। এ খাত ১২, ১৩ ও ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নতির ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এ খাতের বেশিরভাগ তহবিল ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ করেছে। তবে গত দশ বছরে উন্নতি হয়েছে। আমরা সংস্কারে কাজ করছি।

বিএসইসির এ কমিশনার বলেন, আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা চাই। অ্যাকাউন্টিং রিপোর্টিং বিনিয়োগ নীরিক্ষা সব জায়গায় স্বচ্ছতা জরুরি। আগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্যাম্পেইন ছিল মানবাধিকার এবং সুশাসন নিয়ে। কিন্তু এখন তারা জলবায়ুর ঝুঁকির কথা বলছে। গ্রিনহাউজ অন্যতম।অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ চাই। কিন্তু বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের জন্য পরিবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা ঝুঁকিতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো যদি না এগোয়, তবে চেষ্টা করে লাভ নেই।

তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে, প্রযুক্তি পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশগত প্রচেষ্টা জরুরি। বিএসইসি এরই মধ্যে গ্রিন ও ব্লু-বন্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এটি সফল করতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ভূমিকা রয়েছে।

আরেক কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম বলেন, বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের মূললক্ষ্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা। তবে এ সচেতনতা তৈরি শুধু একটি সপ্তাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা ঠিক হবে না। আমাদের বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

৮.ফিলিপাইনে মূল্যস্ফীতি ৬.৯ শতাংশে উন্নীত


বাণিজ্য ডেস্ক
ফিলিপাইনের মূল্যস্ফীতি চার বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান এ প্রবণতা বছর শেষের আগেই দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার আরো বাড়াতে প্ররোচিত করছে।রয়টার্সের এক জরিপে অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনের মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হবে। কিন্তু দেশটির মূল্যস্ফীতির হার এ জরিপকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। খাদ্যপণ্য ও ইউটিলির বিল বেড়ে যাওয়ায় ফিলিপাইনের মূল্যস্ফীতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

ফিলিপাইনের পরিসংখ্যান সংস্থা জানায়, চলতি বছরের নয় মাস শেষে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ছিল ২ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত।এদিকে প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাওয়া এ মূল্যস্ফীতি সুদের হার বাড়াতে বাঙ্কো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপাইনসের (বিএসপি) ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বিএসপি মোট ২২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়িয়েছে। আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরের বৈঠকে আরো বাড়ানো হবে বলে আশা করছে বিএসপি।


৯.৮৭ হাজার গ্রামে উদ্যোক্তা তৈরির নতুন কার্যক্রম শুরু


বাণিজ্য ডেস্ক
দেশের ৮৭ হাজার ১৯১টি গ্রামে উদ্যোক্তা তৈরির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ইন্ডিক্যাফে গ্লোবাল টি অ্যান্ড কফি বিডি এবং ঐক্য ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানী তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে 'স্বীকৃতি' নামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগটির ঘোষণা দওয়া হয়।

এ সময় ‘স্বীকৃতি’ কার্যক্রমে এসএমই উদ্যোক্তা হতে হটলাইল নম্বরে (+৮৮০৯৬৭৮৩৬৬৬৬৬) ফোন করে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানানো হয়। ইন্ডিক্যাফে গ্লোবাল টি অ্যান্ড কফি বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল আজিজ বলেন, উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে এক বছর আগে ঐক্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এর অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে উদ্যোক্তাদের জন্য একটা প্যাকেজ তৈরি করা হয়। এ প্যাকেজের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলার ৬৪ উদ্যোক্তাকে আমরা সহজ শর্তে কফি মেশিন, এক হাজার কাপ কফির কাঁচামাল এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৬৪ উদ্যোক্তা হবেন আমাদের জেলা প্রতিনিধি। এর সঙ্গে উপজেলা পর্যায়ে দু'জন উদ্যোক্তা প্রতিনিধি থাকবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিক্যাফে গ্লোবালের উদ্যোক্তা আব্দুল আজিজের সফলতা নিয়ে চ্যানেল আইতে প্রচারিত একটি পর্ব সাড়া ফেলে। সেখানে তিনি নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, যে কোনো তরুণ অত্যন্ত স্বল্প পুঁজি নিয়ে কফি তৈরির মেশিন, চা, মালাই চা, মসলা চা, ইন্সট্যান্ট চা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, দেশের জনগোষ্ঠির এক তৃতীয়াংশ যুবক। এখন পর্যন্ত আমরা ৬৬ লাখ যুব-যুব নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এদের মধ্যে ২৩ লাখ আত্মকর্মী হয়েছেন। তারা নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে পণ্য উৎপাদন করে নিজেরাই ওই পণ্য বাজারজাত করছেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে গড়ে ৮ থেকে ১০ জন কর্মী কাজ করছেন। এ উদ্যোগের সফলতা কামনা করেন বাংলাদেশ শিল্প ও কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। ঐক্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও শিল্প উন্নয়নকর্মী অপু মাহফুজ বলেন, দেশের ৮৭ হাজার ১৯১টি গ্রামে নতুন এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি কার্যক্রম 'স্বীকৃতি' আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি ও প্রেরণা।

সংবাদ সম্মেলনে চ্যানেল আইর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (অনুষ্ঠান) আমীরুল ইসলামসহ ঐক্য ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের বিকাশ এবং এ খাতে টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে ঐক্য ফাউন্ডেশন। এ নিয়ে প্রথম টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘উদ্যোক্তা’ পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বৃহৎ অনলাইন মার্কেট িি.িড়রশশড়.পড়স.নফ তৈরি করেছে ঐক্য ফাউন্ডেশন।

১০. ৩২ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন পেয়েছে বেক্সিমকো


বাণিজ্য ডেস্ক
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো, নিট ফেব্রিক ফ্যাসিলিটি সম্প্রসারণে ৩২ দশমিক মিলিয়ন ইউরোর একটি পরিকল্পনা চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এর অধীনে বেক্সিমকো টেক্সটাইলের ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করা হবে, যার মাধ্যমে টেকসই কাঁচামাল একত্রকরণ, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও সম্পূর্ণ সন্ধানযোগ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বেক্সিমকো।

এতে বলা হয়, আইএনজি ব্যাংকের অর্থায়নে উন্নত জার্মান এবং অন্যান্য টেক্সটাইল সরঞ্জাম আমদানি বাস্তবায়িত করেছে যা জার্মানির এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সি (ইসিএ) বীমার অধীনে হবে। এ চুক্তি বৃহৎ পর্যায়ে অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে এবং প্রতিষ্ঠানটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এ ছাড়া এটি বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। পরিবেশ সচেতন উৎপাদন অনুশীলনের প্রচার এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত আমদানির মাধ্যমে রপ্তানির জন্য বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনে সহায়তা করবে।

চুক্তির অধীনে ৩৮টি মেশিনারি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একক রপ্তানি চুক্তি সম্ভব হবে। এ জন্য বেক্সিমকোর আন্তর্জাতিক কৌশলগত আর্থিক উপদেষ্টা ব্লেন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বহুমুখী ভূমিকা চুক্তিটিকে প্রতিযোগিতামূলক করেছে এবং ব্যাংকিং ও শক্তিশালী ইসিএর মাধ্যমে তাদের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক তহবিল সমাধানগুলোকে সংগঠিত করেছে।

বেক্সিমকোর গ্রুপ ডিরেক্টর এবং সিইও সৈয়দ নাভেদ হোসেন বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ লেনদেন ছিল এবং এটি বেক্সিমকোর ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ ও বৃদ্ধির পরিকল্পনার জন্য বিভিন্ন পথ খুলে দিয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশি টেক্সটাইল শিল্পের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বেক্সিমকো লিমিটেডের পক্ষে এর সিওও অনিল কুমার মহেশ্বরী এবং আইএনজি ব্যাংকের এমডি পরিচালক লুকাস স্ট্রচ এবং বি. পন্সিওন, এমডি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।


আরও পড়ুন