আজ থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত: ৭-১০-২০২২ বিকাল ৫:৩৮
আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। বৈরী আবহাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এ নিষেধাজ্ঞায় হতাশা নেমে এসেছে জেলেপল্লীতে। জেলেদের দাবি, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঘাটে নোঙর করে থাকতে হয়েছে। এর মধ্যেই আবার এসেছে নিষেধাজ্ঞা। এ কারণে বিপর্যস্ত জেলে পেশার সাথে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সংসারের ব্যয়ভার বহন ও দাদনের ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাগর উপকূলের হাজার হাজার জেলে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার হাসান মাঝি (৫৩) দৈনিক সকালের সময়কে জানান, খারাপ আবহাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো শুরু হয়েছে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নদী ও সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
২৩ জুলাই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর হতে গত দুই মাসের সিংহভাগ সময়ই বৈরী আবহাওয়া ছিল। সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুই মাসে দুই-তিন সপ্তাহ মাছ শিকার করতে পারেনি। এরমধ্যেই আবার শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এতে বেকার সময় কাটাতে হবে সাগর উপকূলের জেলেদের। তাই সংসারের ব্যয়ভার বহন ও দাদনের ঋণ পরিশোধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
কলাপাড়ার মহিপুরের হানিফ মাঝি (৩৮) জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সরকারের দেয়া খাদ্য সহায়তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়।
মৎস্য ব্যবসায়ী জুয়েল মীর (৪৫) জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ে বাংলাদেশি জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে। তাই দুই দেশের সমন্বয়ে নিষেধাজ্ঞার সময়কাল নির্ধারণের দাবি তাদের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম দৈনিক সকালের সময়কে জানান, নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে বেকার জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। সেই সাথে নিষেধাজ্ঞার সময়ে যাতে কেউ মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছ। পটুয়াখালী জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৭৯ হাজার। এর বাইরেও লক্ষাধিক জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন বলে জানান তিনি।