বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মানুষের সেবা করতে চাই

news paper

আব্দুর রব সুজন

প্রকাশিত: ২৭-৯-২০২২ দুপুর ৪:৪৪

32Views

১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাদের সমন্বয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি আন্দোলন, সংগ্রাম ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সব সময় মাঠে ছিল। কোভিডকালিন সময়েও থেমে ছিল না কর্যক্রম। বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে ছিল আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বর্তমান ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন এর সাথে দৈনিক সকালের সময় এর কথা হয়।


সকালের সময়: আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন আপনি ছাত্রলীগ রাজনীতি করেছেন। সে সময় ছাত্র রাজনীতি করতে যেয়ে কি কি প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়?
আমজাদ হোসেন: ছাত্র রাজনীতি শুরুর সময়টা ছিল আমাদের দুঃসময়। তখন থেকেই আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শকে বুকে ধারণ করে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে গণতন্ত্র মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছি। অনেক কিছু হারিয়ে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি। এখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। এটাই আমাদের মূল চাওয়া এবং পাওয়া পূরণ হয়েছে।
সকালের সময়: দুঃসময়ে রাজনীতিতে অবহেলিত নেতাকর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল সম্পর্কে জানতে চাই?
আমজাদ হোসেন: এটা বললে বলতে হবে আমাদের প্রিয় নেতা যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। যিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন। আমরা যার পিছনে ছাত্র রাজনীতি করেছি, যাকে কাছে পেয়েছিলাম যিনি আমাদের সাহস যুগিয়েছেন। তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম। যে সময় তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ করতেন, তখন আমরা ছাত্রলীগ করেছি। তখন ছাত্রলীগের নেতাদের নিরাপদ একটি জায়গা ছিল আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যারা ছাত্র রাজনীতি করে অবস্থান নিতে পারেনি বা অবহেলিত, তাদের জন্য তিনি একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন। যেন আমরা সকলে মিলে সংগঠন করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
সকালের সময়: আগামী সংসদ নির্বাচনে উত্তর শাখার আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ কী ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে?
আমজাদ হোসেন: আমাদের সংসদীয় আসন নিয়ে সব সময় আমরা প্রস্তুত থাকবো। আগামী দিনে আমরা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনবো। প্রতিটি এলাকায় সংসদ নির্বাচনে আমাদের শক্তিশালী ভূমিকা থাকবে। আমাদের সংসদীয় আসনে গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু যিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান থাকবে আমাদের সংসদীয় ঢাকা ১৫ আসনে যেন গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু’কে মনোনয়নপত্র প্রদান করেন। তাকে মনোনয়নপত্র প্রদান করলে আশা করছি সর্বাধিক ভোটে আমরা সংসদ নির্বাচনে গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু’কে নির্বাচিত করতে পারব। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের সংসদীয় আসনের গরিব-দুঃখী মানুষের কথা বলতে পারবেন। সকল সমস্যা সমাধান করতে পারবেন, আমরা সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
সকালের সময়: আগামীতে আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ নিয়ে আপনার চিন্তা চেতনার কথা জানতে চাই?
আমজাদ হোসেন: মানুষকে হত্যা করা যায় কিন্তু তাঁর দর্শন, নীতি ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকরা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে হত্যা করে। কিন্তু হত্যা করতে পারেনি তাঁর দর্শন, নীতি ও আদর্শকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমারা পথ চলছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র রাজনীতির শুরুতেই তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। তাঁর গৃহশিক্ষক কাজী আবদুল হামিদ, এমএসসি পরিচালিত 'মুসলিম সেবা সমিতির সক্রিয় সদস্য হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুষ্টি চাল সংগ্রহ করে গরিব শিক্ষার্থীদের বই, পরীক্ষার ফি, জায়গিরের খরচ জোগান দিতেন। ১৯৪৩ সালে যখন কলেজ ছাত্র তখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মারা যান। বঙ্গবন্ধু লঙ্গরখানা খুলে মানুষকে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বেকার হোস্টেলে দুপুর ও রাতে যে খাবার বাঁচতো সেই খাবার ক্ষুধার্থদের মাঝে ভাগ করে দিতেন। বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স সোসাইটিতে কাজ করেছেন। জলোচ্ছ্বাসে বিভিন্নভাবে যারা আহত হয়ে অসহায় ছিলেন তাদেরকে সেবা করেছেন। ঠিক তেমনিভাবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আজকে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তৈরি করেছেন আমরা যেন সকল মানুষকে সেবা দিতে পারি। সাংগঠনিক ভাবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিয়ে চিন্তা চেতনার প্রতিফলন ঘটাতে পারি। এখন আমরা যে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব পেয়েছি তার বর্তমান-ভবিষ্যৎ পুরোটা হচ্ছে মানুষকে সেবা করা। সংগঠন থেকে যেন সকল স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনকে সহযোগিতা করতে পারি এটাই আমাদের মূল লক্ষ। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। আর পরবর্তীতে আমাদেরকে সাংগঠন থেকে যে দায়িত্ব দেবেন আমাদের প্রিয় নেতা গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারন সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু পাশাপাশি মহানগর উত্তর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসহাক মিয়া, সর্বপরি বলতে হয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সবার প্রিয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম আমাদেরকে যেখানে দায়িত্বভার দেবেন আমরা সকল দায়িত্ব¡ ভালোভাবে পালন করব।


আরও পড়ুন