সকালের সময় টপ ১০ কর্পোরেট সংবাদ

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮-৯-২০২২ দুপুর ১১:৪৯

7Views

১.বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন
শহরের তুলনায় ঋণ ও আমানত বাড়ছে গ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদন 
দেশে সম্প্রতি শহরের তুলনায় গ্রামে আমানত ও ঋণ দুই-ই বাড়ছে। অন্য সময়ে শহরের চেয়ে গ্রামে আমানত বেশি বাড়লে ঋণ বাড়ত কম হারে। ঋণের বড় অংশই শহরকেন্দ্রিক। যে কারণে শহরে ঋণ বাড়ত বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার বাইরে যত ব্যাংক আছে, ব্যাংকের দৃষ্টিতে সেগুলো গ্রামীণ ব্যাংক।

অবশ্য সরকার করোনার ক্ষতি মোকাবিলা এবং বিদ্যমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গ্রামে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে। যে কারণে এখন গ্রামে ঋণপ্রবাহ বেশি বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই-এই ছয় মাসে গ্রামে আমানত প্রবাহ বেড়েছে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং শহরে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে আমানত বেশি বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ে গ্রামে আমানত প্রবাহ বেড়েছিল ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। একই সময়ে শহরে বেড়েছে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ওই সময়েও শহরের চেয়ে গ্রামে আমানত বেশি বাড়ে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে গ্রামে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। একই সময়ে শহরে বেড়েছে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ওই সময়ে শহরের চেয়ে গ্রামে ঋণপ্রবাহ বেশি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে গ্রামে ঋণ বেড়েছিল ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং শহরে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। ওই সময়ে গ্রামের চেয়ে শহরে ঋণপ্রবাহ বেশি বৃদ্ধি পায়।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফা কে মুজেরী বলেন, এটি আশার কথা যে গ্রামে ঋণপ্রবাহ বেশি বাড়ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে গ্রামকে অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় শহর থেকে। যে কারণে শহরে ঋণ ও আমানত দুটোই বেশি। কিন্তু কৃষি বা শিল্প উৎপাদন সবই গ্রামকেন্দ্রিক। কেননা শিল্পের বেশির ভাগ কারখানাই গ্রামে। কৃষি উৎপাদন তো পুরোটাই গ্রামভিত্তিক।

তিনি আরও বলেন, আগে গ্রামে আমানত বেড়েছে; কিন্তু ঋণ বাড়েনি। ফলে গ্রামের টাকা শহরে চলে এসেছে। এখন গ্রামে আমানত বাড়ার পাশাপাশি ঋণও বাড়তে শুরু করায় গ্রামে টাকার প্রবাহ বাড়বে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে সহায়ক হবে। তবে এই গতিতে ছেদ পড়লে এর প্রকৃত সুফল মিলবে না।
সূত্র জানায়, করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় গ্রামে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাড়নো যাচ্ছিল না। কারণ গ্রামে ঋণের চাহিদা কম। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে যায়। খাদ্য আমদানি করতে গিয়ে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে পড়ে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এজন্য কৃষিভিত্তিক পণ্য উৎপাদনে কম সুদে ঋণ দিতে ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। তৈল বীজ উৎপাদনে গঠন করা হয়েছে আরও ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল। এছাড়া চলতি অর্থবছরে ৩১ হাজার কোটি টাকার পল্লি ও কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আরও কিছু তহবিলের আওতায় গ্রামে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো হচ্ছে।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, মোট আমানত ও ঋণের সিংহভাই ঢাকা বিভাগে। এর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের অবস্থান। মোট আমানতের ৭৯ শতাংশই শহরের। গ্রামের আমানত ২১ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬২, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১, খুলনা বিভাগে ৪ দশমিক ২২, রাজশাহী বিভাগে ৪, বরিশাল বিভাগে ১ দশমিক ৮৭, সিলেট বিভাগে ৩ দশমিক ৭৬ এবং রংপুর বিভাগে ২ শতাংশ আমানত রয়েছে। সবচেয়ে কম আমানত ময়মনসিংহ বিভাগে মাত্র দেড় শতাংশ।
মোট ঋণের ৮৯ শতাংশই শহর এলাকায় বিতরণ করা হয়। গ্রামে মাত্র ১১ শতাংশ। ঋণের ৬৮ শতাংশই ঢাকা বিভাগে। চট্টগ্রামে সাড়ে ১৮, খুলনায় ৩ দশমিক ৮১, রাজশাহীতে ৩ দশমিক ৭১, সিলেটে ১ দশমিক ১৪, রংপুরে ২ দশমিক ৩৮ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সবচেয়ে কম ঋণ বিতরণ করা হয় বরিশাল বিভাগে ১ দশমিক ১২ শতাংশ।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ব্যাংকের সেবা গ্রামেও বেশ সম্প্রসারিত হয়েছে। শাখার প্রায় অর্ধেক এখন গ্রামে। গ্রামীণ শাখাগুলো থেকে আগে ঋণ বিতরণের ক্ষমতা কম থাকলেও এখন বেড়েছে। সারা দেশে ব্যাংকগুলোর মোট শাখা রয়েছে ১০ হাজার ৭৯৩টি। এর মধ্যে শহরে শাখা ৫ হাজার ৫৫৪টি এবং গ্রামীণ শাখা ৫ হাজার ২৩৯টি। মোট শাখার সাড়ে ৫১ শতাংশ শহরে এবং গ্রামে সাড়ে ৪৮ শতাংশ।


২.আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সনদ পেলো প্রিমিয়ার ব্যাংক

বাণিজ্য ডেস্ক
ইনফরমেশন সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইএসএমএস) বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং মর্যাদাপূর্ণ আইএসও ২৭০০১: ২০১৩ সার্টিফিকেট অর্জন করেছে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড।সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও এম রিয়াজুল করিমের (এফসিএমএ) কাছে সফটয়্যার শপ লিমিটেড (এসএসএল) এর গ্রুপ অ্যাডভাইজর আহমেদ কামাল খান চৌধুরী আইএসও ২৭০০১:২০১৩ সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী। সার্টিফিকেট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নওশের আলী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবুল হাশেম এবং সিআরএম প্রধান এ ওয়াই এম নাইমুল ইসলাম. এজিএম অ্যান্ড হেড অব বিএফএস মহিউদ্দিন তৌফিকসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

৩.২০২৩ সালে মন্দার দিকে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি

বাণিজ্য ডেস্ক
বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যেভাবে একই সময়ে সুদের হার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় ২০২৩ সালে বিশ্বে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব ব্যাংক।বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একইসঙ্গে যে মাত্রায় সুদের হার বাড়িয়েছে, গত পাঁচ দশকে তা দেখা যায়নি। এই প্রবণতা আগামী বছর পর্যন্ত চলতে পারে।

বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণায় দেখা গেছে, সরবরাহ ব্যাহত না হলে এবং শ্রম বাজারের চাপ কম না হলে সুদের হার ওই পরিমাণ বৃদ্ধিতে আগামী বছর বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা গড়ে করোনা মহামারি শুরুর আগের পাঁচ বছরের গড়ের প্রায় দ্বিগুণ।বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মুদ্রানীতিতে সুদের হার প্রায় ৪ শতাংশে উন্নীত করবে, যা ২০২১ সালের গড় তুলনায় ২ শতাংশ পয়েন্টের বেশি।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ মন্দায় পড়ার কারণে তা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আমার উদ্বেগ হল, এই প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এর দীর্ঘস্থায়ী ফল উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির মানুষের জন্য ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠবে।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত এবং বিশ্বব্যাপী মন্দার ঝুঁকি না বাড়িয়েই সেটা করা সম্ভব। সেজন্য বিভিন্ন নীতিনির্ধারকদের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। আর উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশল শক্তিশালী করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

এর আগে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফও এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির চাকা আরও শ্লথ হয়ে যাওয়ার ইংগিত দিয়েছে।
তবে আইএমএফ এর মুখপাত্র গেরি রাইস বলেছেন, কিছু দেশ আগামী বছর মন্দার কবলে পড়লেও সেটা বিশ্ব মন্দার রূপ পাবে কি না, তা  বলার সময় এখনও আসেনি।

৪.৩৭ বছরে পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন  

বাণিজ্য ডেস্ক
একদিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে, আরেক দিকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন চলছে। আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় কমে যাওয়ার কারণে দেশটি ইতিমধ্যে মন্দার কবলে পড়ে গেছে, এমন আশঙ্কায় ৩৭ বছরে পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। এ হার ১ শতাংশের বেশি।  
এর আগে আগস্ট মাসে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দরপতন হয়েছে ৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে পাউন্ডের বড় ধরনের পতন হয়েছিল। তারপর এটিই ছিল সর্বোচ্চ দরপতন। এরপর গতকাল ৩৭ বছরের মধ্যে পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন হয়ে গেল।

বর্তমানে ১ পাউন্ডে ১ দশমিক ১৩ ডলার মিলছে। এর অর্থ হলো, বিদেশ ভ্রমণে ব্রিটিশ নাগরিকদের ব্যয়ের সক্ষমতা কমে যাওয়া। জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়ায় ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১ শতাংশ, যদিও আগস্ট মাসে তা ৯ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসে। গতকাল বিবিসির সংবাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়।বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, মুদ্রার পতনের পেছনে মূল কারণ অর্থনৈতিক স্থবিরতা। যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছেন। সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলেছে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি।

এ পরিস্থিতিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন ইংল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তাঁর প্রথম ও মূল কর্তব্য হচ্ছে মানুষকে জ্বালানির উচ্চমূল্যের বোঝা থেকে রেহাই দেওয়া। সে জন্য ইতিমধ্যে তিনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।

লিজ ট্রাস পরিবারের জ্বালানি ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাতে পারিবারিক জ্বালানি ব্যয় ২০২৪ সাল পর্যন্ত বার্ষিক ২ হাজার ৫০০ পাউন্ডের বেশি হবে না। স্বাভাবিকভাবেই এ জন্য সরকারকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে। বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, এ জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে ১৫০ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার কোটি পাউন্ড ঋণ করতে হবে। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ভর্তুকির পরিমাণ নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না। ভর্তুকিকে এখনই অর্থের অঙ্কে পরিমাপ করতে চান না তিনি। বলেছেন, এখন সময়টা অস্বাভাবিক, তাই ব্যবস্থাও নিতে হবে সে রকম।

লিজ ট্রাসের এই পদক্ষেপের বড় দিক হলো, শুধু পরিবার নয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও ভর্তুকি পাবে। তবে পরিবারের মতো তাদের দুই বছর ধরে এই ভর্তুকি দেওয়া হবে না, তারা ভর্তুকি পাবে ছয় মাসের জন্য। যদিও অনেকে আশা করেছিলেন, আরও কিছুটা সময়ের জন্য এই ভর্তুকি দেওয়া হবে। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের সবাই এই সহায়তা পাবেন আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য দেওয়া হবে সমপরিমাণ সহায়তা।

এদিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, চলতি বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে মন্দা দেখা দেবে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামগ্রিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অক্টোবর মাসে সে দেশের মানুষের অবস্থার আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ইনভেস্টেকের সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর লরা ল্যাম্বি বলেছেন, বাকি বিশ্বের তুলনায় আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিশেষ ভালো দেখাচ্ছে না। বাজারে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা আছে।

৫.ভারতে পোশাক রপ্তানি বেড়ে দ্বিগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক    
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকপণ্য রপ্তানিতে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও পোশাক রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেশভিত্তিক রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।এই দুই মাসে ভারতে প্রায় ১৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এটি প্রায় দ্বিগুণ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ভারতে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিলেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। সেই হিসাবে ভারতে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশ ৩৪৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে জার্মানিতে রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ, স্পেন এবং ফ্রান্সে রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৫২ ও ৩৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক পণ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ। যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩৫ দশমিক ৬৪ ও ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে চীন ও রাশিয়ায় পোশাক রপ্তানি কমেছে। চীন ও রাশিয়ায় যথাক্রমে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ ও ৫৮ দশমিক ২৯ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।


৬.বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড


নিজস্ব প্রতিবেদক
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ঐক্যমত হয়েছে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড। কূটনৈতিক সম্পর্কের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা শীর্ষক একটি সেমিনারে এই ঐক্যমত হয়েছে উভয় পক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি সরান চারেনসোয়ান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মালেকা পারভীন।সরান চারেনসোয়ান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন মডেলের আওতায় দুই দেশের মধ্যে আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।
মালেকা পারভীন তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দেশ, যারা স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এই সেমিনারের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের উভয় দেশের সরকার প্রদত্ত সেক্টর ভিত্তিক সুবিধাদি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও নিবিড়ভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে।চারটি সেশনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে বক্তারা আলোকপাত  করেন।

অনুষ্ঠানে চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পিটি শ্রীসাঙ্গাম, বিনিয়োগ বোর্ড, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ, থাই হালাল খাবার উৎপাদক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনেরর প্রতিনিধিসহ থাই সরকারি-বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ উন্নয়ন অনুবিভাগের পরিচালক আরিফুল হক ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হন। তিনি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ, সম্ভাবনা, বিনিয়োগ প্রণোদনা, বিনিয়োগকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগের ক্ষেত্র সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।অনুষ্ঠানে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দূতাবাসের কর্মকর্তা, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট থাই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যাংকক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

৭.জুয়াড়িদের ধরতে ছয় থেকে এক বছর সময় লাগে : বিএসইসি চেয়ারম্যান


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জুয়াড়িদের ধরে শাস্তি দিতে ছয় থেকে এক বছর সময় লাগে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।শনিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কত টাকা ট্যাক্স দেয় এটা সবাই জানে। কারণ তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু ইউনিলিভার ও নেসলে বাংলাদেশে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা কত টাকা ট্যাক্স দেয় তা কেউ জানে না। কারণ তারা তালিকাভুক্ত নয়। ইউনিলিভারের সাবান লাক্স, নেসলের নুডলুস কিনছি, তারা ব্যবসা করে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের মালিকানা দিচ্ছে না। তারা কেন তালিকাভুক্ত হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা যখন বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের দিকে দেখি তখন টপ টেনে (শীর্ষ ১০) ইউনিলিভার ও নেসলে থাকে। তাহলে আমাদের এখানে নেই কেন? ১৭ কোটি মানুষকে কি তারা মূর্খ মনে করে?অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের চেয়ারম্যান ও সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, ড. এম খায়রুল হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) ড. মো. এজাজুল ইসলামসহ অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

৮.বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষে সানলাইফ


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৬৯ টাকা ৯০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম কমা কোম্পানিটি গত আগস্ট ২০২১ সালের সমাপ্ত বছরের লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানায়। সমাপ্ত বছরটিতে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।
দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৪০ হাজার টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮ হাজার টাকা।

সানলাইফের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল সিমেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে ঢাকা ডাইং।এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ফারইস্ট নিটিংয়ের ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, আমান কটনের ৮ দশমিক ১১ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের ৭ দশমিক ১১ শতাংশ, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ৬ দশমিক ৭৪ শতংশ এবং ইফাদ অটোসের ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ দাম কমেছে।

৯.হিলি স্থলবন্দরে সাড়ে ২৮ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি

হিলি প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এ দুই মাসে বন্দরটি থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ছিল ৯১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, সেখানে এসেছে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পণ্য আমদানিতে বিরাজমান সমস্যা নিরসন হলে লক্ষ্যমাত্রার অধিক রাজস্ব পাওয়া সম্ভব।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫০ কোটি টাকা বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরে স্থলবন্দরটি থেকে ৬০৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৪২ কোটি ৭৪ লাখের বিপরীতে রাজস্ব এসেছে মাত্র ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগস্টে তা কিছুটা বাড়লেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ওই মাসে ৪৯ কোটি ৬ লাখের বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ দুই মাসে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকাই ঘাটতি।

এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে অর্থবছর শেষে ৪২৯ কোটি ৯ লাখ টাকা এসেছে। পুরো অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়েজিদ হোসেন বলেন, বন্দরের রাজস্ব আহরণ মূলত পণ্য আমদানির ওপর নির্ভর করে। বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বাড়লে রাজস্ব বাড়বে আর যদি আমদানি কমে তাহলে এমনিতেই রাজস্ব আহরণ কমে যায়। তবে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে নিয়মের মধ্যে থেকে কাস্টমসের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আমদানি করা পণ্য নিয়ম মেনে পরীক্ষণ শুল্কায়ন শেষে আরোপিত শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে দ্রুতই ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে।


১০.এনসিসি ব্যাংকে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

বাণিজ্য ডেস্ক
এনসিসি ব্যাংকে ‘সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভা সম্প্রতি ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের পরিচালক খন্দকার মোরশেদ মিল্লাত প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এনসিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার নাইমুল কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাফাত উল্লা খান, মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম ও এম আশেক রহমান, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানরাসহ মোট ৪০ জন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা আলোচনায় অংশ নেন।

 


আরও পড়ুন