সকালের সময় টপ ১০ কর্পোরেট সংবাদ

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫-৯-২০২২ দুপুর ১২:০

13Views

১.ডেবিট ক্রেডিট কার্ডে রেকর্ড লেনদেন


নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যাংকে গিয়ে টাকা তোলা বা জমা দেয়ার দিন শেষ হয়ে আসছে। পণ্য বা সেবা পেতেও এখন আর প্রয়োজন হয় না নগদ টাকা। ব্যাংকের কার্ডে স্বাচ্ছন্দ্যে পরিশোধ করা যায় অর্থ। যতই দিন যাচ্ছে ততই জনপ্রিয় হচ্ছে ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ড।সবশেষ হিসাব বলছে, কার্ডে একক মাস জুনে লেনদেন হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ডেবিট কার্ডে লেনদেনের পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। আর ক্রেডিট কার্ডে হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন। অথচ করোনা আসার আগে এবং করোনার মধ্যে কার্ডে মাসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি।খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, করোনার প্রকোপ কমে আসায় জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক ধারায় ফিরেছে। আবার ধীরে ধীরে কর্মচঞ্চল হচ্ছে অর্থনীতি। এমন অবস্থায় মানুষ খরচ বাড়িয়ে দেয়ায় বাড়ছে কার্ডের ব্যবহার। এখনও দেশের বড় অংশের মানুষের ব্যক্তিগত লেনদেন নগদ টাকায় হয়। কিন্তু আধুনিক জীবনব্যবস্থায় দিনকে দিন লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদ টাকার ব্যবহার কমছে।গ্রাহকরা বলছেন, নগদ টাকা ঝুঁকি বেশি। কিন্তু কার্ডে টাকা থাকলে সে ক্ষেত্রে তুলনামূলক ঝুঁকি কম। এ ছাড়া পকেটে টাকা রাখার চেয়ে কার্ড রাখা বেশি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক।

২.পূবালী ব্যাংক পারপেচ্যুয়াল বন্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা


নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পূবালী ব্যাংক পারপেচ্যুয়াল বন্ড প্রথম অর্ধবার্ষিকে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশ (রিটার্ন) ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ের জন্য এই বন্ডের বিনিয়োগকারীরা ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ হারে রিটার্ন তথা মুনাফা পাবেন। বুধবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বন্ডের ট্রাস্টি কমিটির সভায় প্রথম বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকের রিটার্ন অনুমোদন করা হয়। মুনাফা প্রাপ্তির যোগ্যতা নির্ধারণে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর।

 

৩.আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম পুনঃনির্ধারণ


নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, মঙ্গলবার আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিক্রয়মূল্য ছিল ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা। আর আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১০১ টাকা ৬৭ পয়সা। তবে এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দর নয়, ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে লেনদেন করা ডলারের দাম এটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কেনাবেচা করবে, সেটিই হবে আন্তঃব্যাংক দাম। সেটাই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই দামে বিক্রি করবে না।গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ডলারের বিক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছিল ৯৫ টাকা। গত সোমবার ডলারের দাম ১ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ টাকা করা হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটে ডলারের বিক্রয়মূল্য দেখানো হচ্ছে ১০৬ টাকার বেশি। আর ক্রয়মূল্য দেখানো হচ্ছে প্রায় ১০২ টাকা। তবে আজও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাড়ে ৪ কোটি ডলার বিক্রি করেছে ৯৬ টাকা দরে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, টাকা ও ডলারের বিনিময়মূল্য ব্যাংকগুলো নির্ধারণ করেছে। জোগান ও চাহিদা এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) দামের ভিত্তিতে ডলারের এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দৈনন্দিন ভিত্তিতে ডলার কেনাবেচার মধ্যে নেই। তবে বাজার বিবেচনায় প্রয়োজন হলে কেনাবেচা করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ডলারের দাম গতকাল বাড়িয়ে ৯৬ টাকা করা হয়েছে। আজও এই দামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে। তবে ওয়েবসাইটে কেন ডলারের দাম এত বেশি দেখানো হচ্ছে, তা এখনো জানতে পারিনি।

এদিকে স্থিতিশীলতা আনার জন্য ডলারের দর বেধে দেওয়ায় বাজার উল্টো অস্থির হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে এতদিন যে স্থিরতা এসেছিল সোমবার তাও উড়ে গেল। ফলে ডলারের বাজারে বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার নতুন দর কার্যকর হওয়ার পর আমদানি পর্যায়ে ডলারের দাম বেড়ে যায়। একই সঙ্গে একেক ব্যাংকে একেক দরে ডলার বিক্রি হয়েছে।

৪.ব্যাংক ঋণের নামে সোয়া ৬ কোটি টাকা লুটপাট


নিজস্ব প্রতিবেদক
থ্যা তথ্য দিয়ে সোয়া ৬ কোটি টাকা ঋণের মাধ্যমে লুটপাটের অভিযোগে স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেডের তিন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেডের ক্রেডিট ইনিসিয়েশনের ম্যানেজার আবু মো. শাহারিয়ার, ব্যাংকটির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. আরিফ নূর আরেফিন, ক্রেডিট এনালিস্ট আব্দুর রাজ্জাক ও খন্দকার ট্রেডিং করপোরেশন, এস টিভি বাংলা ও পদ্মা ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক সাইফুল কবির।এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভূয়া তথ্য প্রদান এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আগে বন্ধক রাখা ফ্ল্যাট ও সম্পত্তির তথ্য গোপন করে ঋণ নিয়েছেন। স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড থেকে ঋণ নেওয়ার সময় দলিলের সার্টিফায়েড কপি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিজনেস ইনস্টলমেন্ট লোন হিসেবে ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৫৬ টাকা ও ফাইন্যান্স এগেইনেস্ট প্রোপার্টি বাবদ ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬২১ টাকাসহ মোট ৬ কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৭ টাকা ঋণ হিসেবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের দায় এড়িয়ে আসামিকে অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। প্রাপ্ত রেকর্ডে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আবেদনে আসামি সাইফুল কবির তার প্রতিষ্ঠান খন্দকার ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবসার কাঁচামাল (ইলেকট্রিক ক্যাবল) ক্রয়ের জন্য ফাইন্যান্স এগেইনেস্ট প্রপার্টি ঋণ হিসেবে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ও বিজনেস ইনস্টলমেন্ট লোন সীমা ১ কোটি টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন। ওই বছরেই ৬ কোটি ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭৭ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল।


৫.জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাচ্ছে বাংলাদেশ


বাণিজ্য ডেস্ক
আসন্ন জি-২০ সম্মেলনসহ আগামী শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকগুলোতে অতিথি দেশ হিসেবে যোগ দিতে আমন্ত্রণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সংগঠনটির আগামী সভাপতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে আসন্ন সম্মেলনে দায়িত্ব নেবে ভারত।

কৌশলগত বহুপক্ষীয় সংগঠন জি-২০। বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো এর সদস্য। এ সংগঠনের আগামী শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনসহ সাইড বেঞ্চের বৈঠকগুলোতেও অতিথি দেশ হিসেবে যোগ দিতে আমন্ত্রণ পাচ্ছে বাংলাদেশ।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জি-২০ এর বর্তমান সভাপতি ইন্দোনেশিয়া। আর আগামী ২০২২ এর ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ এর নভেম্বর পর্যন্ত এর সভাপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে ভারত। ভারতের সভাপতিত্বে কমপক্ষে ২০০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ এর সদস্য রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলন হবে।

প্রথা অনুযায়ী, এ সংগঠনের সভাপতি বেশ কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বিভিন্ন বৈঠক ও শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়। বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সভাপতি হিসেবে ভারত অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবে। এছাড়াও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), সিডিআরআই মতো সংগঠনকেও অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

বৈঠকগুলোতে আন্তর্জাতিক সংগঠনের মধ্যে জাতিসংঘ, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, ডব্লিউএইচও, ডব্লিউটিও, আইএলও, এফএসবি ও ওইসিডি এবং আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে এইউ, এইউডিএ-এনইপিএডি এবং আশিয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং একত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো জি-২০ এর সদস্য।
পুরো বিশ্বের ৮৫ শতাংশ জিডিপি এ দেশগুলো ঘিরে। আর বিশ্বের বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এ দেশগুলোর মধ্যে হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে পুরো বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এ দেশগুলোতে বাস করে।

৬.আসছে নতুন ১০ ও ২০ টাকার নোট


নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নতুন ব্যাংক নোট বাজারে ছাড়ছে। নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের স্বাক্ষর করা এসব নোট আজ থেকে পাওয়া যাবে।বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স এর পরিচালক সাঈদা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান,  বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে নতুন এ নোট দুটি ইস্যু করা হবে, যা পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও ইস্যু করা হবে।

নতুন মুদ্রিত নোটের রং, আকৃতি, ডিজাইন ও সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য আগের মতো অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন মুদ্রিত বর্ণিত নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলনে থাকা ১০ টাকা ও ২০ টাকা মূল্যমানের অন্যান্য নোটও বৈধ নোট হিসেবে যুগপৎ চালু থাকবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার চলতি বছরের ১২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন। তিনি সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরের স্থলাভিষিক্ত হয়ে দেশের ১২তম গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছেন।


৭.ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন : অর্থমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন কাজ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।বুধবার দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্বের সব দেশ ব্যাংক ঋণে সুদের হার বাড়াচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ৯/৬ পারসেন্ট ইন্টারেস্ট রেট যেভাবে কার্যকর করেছি, এটা ভালোভাবেই চলছে। আমাদের মতো দেশে ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন কাজ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের ফিসক্যাল ও মনিটরিং এই দুইটিকে অ্যাপ্লাই করে সেই কাজটি করি।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে, এটি কি কমতেই থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ফরেন রিজার্ভ কমছে। তবে আমাদের অবস্থান আগের চেয়ে ভালো। আমাদের এক্সপোর্ট বাড়ছে, ইম্পোর্ট কমছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স অনেক দ্রুত বাড়ছে। আমরা এক বছরে রেমিট্যান্স অর্জন করেছিলাম ২৪ বিলিয়ন ডলার, মাসে ২ বিলিয়ন ডলার করে। এখন কিন্তু মাসে ২ বিলিয়নের উপর চলে গেছে। আমাদের এই ডলারের জন্য কাউকে পেমেন্ট করতে হচ্ছে না। পেমেন্ট করতে হচ্ছে লোকাল যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে, এখানে কোনো ডলার এক্সচেঞ্জ হয় না। আমরা মনে করি, যে পরিমাণ রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ডলার পাচ্ছি সে হিসেবে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অর্জন করতে বেশিদিন সময় লাগবে না।

তিনি বলেন, এক দেশের মুদ্রা আরেক দেশে গ্রহণ করতে হলে ডলার ব্যবহার করতে হয়। আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে কারেন্সি কিছু অফ করে রাশিয়াকে একসেপ্ট করানো। তারা সেটি গ্রহণ করলে আমরা সেটি কাজে লাগাতে পারব।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইন্টারেস্ট রেট নির্ভর করে ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের উপর। আমরা আস্তে আস্তে মার্কেট বেজ লেনদেনে যাব। এতোদিন যেভাবে প্রাইস ঠিক করে দিতাম সেভাবেই যাব। আমরা অ্যাডভানস ইকোনমির দেশগুলো যেভাবে কারেন্সিকে ডিল করে সেভাবে চিন্তা করব। তারা যেভাবে ঠিক করে দেয় সেভাবে ঠিক করে দেব।


৮. টিসিবির জন্য ২২৫ কোটি লিটার তেল কিনবে সরকার


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ২ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার। এ জন্য খরচ হবে ৪২১ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।সয়াবিন তেল ছাড়াও সংস্থাটির জন্য ১৫ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৬৫ কোটি টাকা। সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে এসব পণ্য কিনবে সরকার। এ তেল ও ডাল টিসিবি সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করবে।

বুধবার ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবনাসমূহের বিস্তারিত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক। তিনি বলেন, যেহেতু এসব পণ্য টিসিবির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হবে, তাই সরকার সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে এসব পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টিসিবির জন্য মাসে ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল প্রয়োজন হয়।  

তিনি জানান, ৫টি পৃথক প্রস্তাবে বিপরীতে ২ কোটি ২৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকায় ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব, সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব, মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব এবং ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া উম্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি লিটার পেট বোতলজাত সয়াবিন ১৮২ দশমিক ৯৫ টাকা হিসাবে ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব জানান, এর বাইরে সরকার স্থানীয় একাধিক কোম্পানির কাছ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে ১৫ হাজার মেট্রিকটন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট খরচ হবে ১৬৫ কোটি টাকা। ঢাকার ব্লু স্কাই এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে প্রতি কেজি ১১০ টাকা হিসাবে ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ৫৫ কোটি টাকায়, চট্টগ্রামের মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের কাছ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ৫৫ কোটি টাকায় এবং চট্টগ্রামের রুবি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ৫৫ কোটি টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


৯.আগামী বছরের শুরুতে বিশ্বে খাদ্যঘাটতি হতে পারে

আর্দ্রতা হারিয়ে ইউরোপের ৪৭ শতাংশ এলাকার মাটি শুকিয়ে গেছে। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে আগামী বছরের শুরুতে খাদ্যস্বল্পতার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ববাজারে খাদ্যমূল্য পাঁচ মাস ধরে কমছে। আগস্ট মাসে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ১৩৮ পয়েন্ট, জুলাই মাসের চেয়ে যা ১ দশমিক ৯ শতাংশ কম। তা সত্ত্বেও গত বছরের আগস্ট মাসের তুলনায় এ বছরের আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যসূচক ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়তি। এ বছর খাদ্যমূল্য বাড়লেও খাদ্যস্বল্পতা নেই। কিন্তু আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে বিশ্ববাজারে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চলতি বছর শুধু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, জলবায়ুগত কারণেও হচ্ছে। এ বছর বিশ্বজুড়েই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। ইউরোপীয় খরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (ইডি) তথ্যানুসারে, আর্দ্রতা হারিয়ে ইউরোপের ৪৭ শতাংশ এলাকার মাটি শুকিয়ে গেছে। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে আগামী বছরের শুরুতে খাদ্যস্বল্পতার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের বে অব বেঙ্গল রিজিওনাল ট্রেড অ্যান্ড কানেক্টিভিটি ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম বা বঙ্গোপসাগর আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ সক্ষমতা নির্মাণ কর্মসূচির অধীনে বৈশ্বিক খাদ্যবাজার নিয়ে আয়োজিত অধিবেশনে এসব কথা বলেন এফএওর জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ উপালি বিক্রমাসিংহে। আলোচনা করেন শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদ নিহাল পিতিগালা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমলেও আঞ্চলিক ও দেশ পর্যায়ে দাম সেই হারে কমছে না। এর কারণ হিসেবে তাঁরা মূলত অনিশ্চয়তাকে দায়ী করেন। সেই সঙ্গে প্রক্রিয়াজাত ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের বিনিময়মূল্য বৃদ্ধিÍএসব কারণেও স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দাম কমার প্রভাব পড়ছে না। সেই সঙ্গে রপ্তানিকারী দেশগুলোর নীতিগত অবস্থানের প্রভাবও আছে, যেমন কিছু অনিশ্চয়তা দেখা দিলেই তারা খাদ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোর করণীয় কী, এমন প্রশ্নের জবাবে উপালি বিক্রমাসিংহে বলেন, বাজার উন্মুক্ত রাখাই সেরা সমাধান। দেখা গেছে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক সময় পরিস্থিতির অবনতি হয়। সে জন্য এই সময় আলোচনার মাধ্যমে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আমদানিকারকদের আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানো উচিত। এ ছাড়া কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধিতে আগ্রহী হন না, এটা আমলে নেওয়া উচিত বলে মত দেন তিনি।

এ ছাড়া এফএওর পক্ষ থেকে সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত দেশগুলোকে এফএওর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান উপালি বিক্রমাসিংহে। সংকটের সময় রীতিমতো অস্ত্রে পরিণত হয় খাদ্যÍএই কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার কথা বলে খাদ্য রপ্তানিতে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, যেমন ভারত বিশেষ কিছু জাতের চাল রপ্তানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এই বাস্তবতায় অনেক দেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে, যদিও তা মোটেও সহজ কাজ নয়।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী নেপালি গবেষক পুষ্প শর্মা বলেন, নেপালের মতো দেশের পক্ষে এটা সম্ভব নয়, কারণ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে গেলে সার তো ঠিকই আমদানি করতে হবে। ফলে এই স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার নীতি সবার জন্য যথাযথ নয় বলে তিনি মত দেন।
এই পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদক অর্থাৎ কৃষকদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করেন উপালি বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, আপৎকালীন সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে শুধু রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে কাজ হয় না।

১০. চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খরচ বাড়ল হাজার কোটি টাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের খরচ ও মেয়াদ দুটিই বেড়েছে। এর মধ্যে খরচ ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা, আর মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। প্রথমে প্রকল্পটির খরচ ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ও মেয়াদ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।

কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের আপত্তি, জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, ট্রাফিক বিভাগের অনুমতি না পাওয়া, লালখান বাজার অংশের নকশা নিয়ে আপত্তি ও বিকল্প সড়ক চালুতে সময়ক্ষেপণ এবং কোভিডের কারণে ধীরগতিসহ নানা কারণে প্রকল্পটি দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে। ফলে সময় ও খরচ বাড়ানো অবধারিত হয়ে পড়ে।

গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে সভায় সভাপতিত্ব করেন। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। সর্বশেষ হিসাবে প্রকল্পটিতে এখন পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। এতে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ শতাংশ। একনেক সভায় এটিসহ ৮ হাজার ৭৩৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার মোট ৬টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে কুমিল্লার ময়নামতি-ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ধরখার) জাতীয় মহাসড়ককে চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ; বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল (চারকাউয়া) থেকে ভোলা (ইলশা ফেরিঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ; ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) মিটফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি; মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাস করা; আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলসংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ) প্রকল্প।


আরও পড়ুন