সকালের সময় টপ ১০ কর্পোরেট সংবাদ

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২-৯-২০২২ দুপুর ১:২১

6Views

১. স্বর্ণের রেকর্ড দাম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকা হয়েছে।
রোববার থেকে স্বর্ণের এই নতুন দাম কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে কখনো দেশের বাজারে স্বর্ণের এতো দাম হয়নি।

ভালো মানের স্বর্ণের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের স্বর্ণের দাম। মান অনুযায়ী প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৮৩ টাকা পর্যন্ত। তবে রুপার দামে কোনো অপরিবর্তিত আসেনি।বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি শনিবার বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূইয়া লিটন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।এর আগে গত ২২ আগস্ট স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ১৮ আগস্ট স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছিল। তবে তার আগে ৪ ও ৭ আগস্ট এবং ২৭ ও ২৯ জুলাই স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকা করা হয়েছে। এর আগে দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ওঠে সর্বোচ্চ ৮৪ হাজার ৩৩১ টাকা। অর্থাৎ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে এখন সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ।


এদিকে ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৭১৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯ হাজার ১৬৮ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৫৭ হাজার ৩৮৭ টাকা করা হয়েছে।স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার আগের নির্ধারিত দামই বহাল রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ আগস্ট সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৮৩ হাজার ২৮১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৪৯০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯২ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৫৬ হাজার ২২০ টাকা করা হয়।

তার আগে ১৮ আগস্ট সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২৭৫ টাকা কমিয়ে ৮২ হাজার ৫৬ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৫৮ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৩২৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৬৭ টাকা কমিয়ে ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৯২ টাকা কমিয়ে ৫৫ হাজার ২৮৭ টাকা করা হয়।

এই দাম কমানোর আগে গত ৭ আগস্ট ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ৩৩১ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ৪৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ হাজার ৯৯৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৫৬ হাজার ৯৭৯ টাকা করা হয়।

তার আগে ৪ আগস্ট ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৩৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৬১৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ হাজার ৪১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫২৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ৬৯৬ টাকা করা হয়।

এছাড়া ২৯ জুলাই ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ২৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৫৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯২৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ৪৮৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৪৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ১৭১ টাকা করা হয়।

এর দুদিন আগে ২৭ জুলাই সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৪১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৫৫৭ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৪১ টাকা বাড়িয়ে ৬৪ হাজার ৫৬০ টাকা করা হয়। সে সময় অপরিবর্তিত রাখা হয় সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম।তার আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সে সময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে করা হয় ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা কমিয়ে ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা করা হয়। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৩ হাজার ২১৯ টাকা করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫৮ টাকা কমিয়ে করা হয় ৫২ হাজার ৭২১ টাকা।গত ৭ জুলাই আরেক দফা স্বর্ণের দাম কমায় বাজুস। ওই সময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে করা হয় ৭৮ হাজার ৩৮২ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৪ হাজার ১৫২ এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫৯ টাকা কমিয়ে ৫৩ হাজার ৪৭৯ টাকা করা হয়।তার আগে মার্কিন ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার দাম নিম্নমুখী এবং আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৬ মে আর এক দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়।সে সময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯১৭ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭৯৯ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৯৩৩ এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪৯৯ টাকা কমিয়ে ৬৫ হাজার ৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮২ টাকা কমিয়ে করা হয় ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকা।

২.বন্ড ছাড়বে ন্যাশনাল ব্যাংক


নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ফরেন কারেন্সি ডেনোমিনিটেড সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি ১০ কোটি টাকার বন্ড ইস্য করবে।রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডটির মেয়াদ হবে ৭ বছর। ব্যাংকটির মূলধন শক্তিশালী করার জন্য ব্যাসেল-৩ এর অধীনে এ বন্ড ইস্যু করা হবে।ব্যাংকটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মতি নিয়ে ফরেন কারেন্সি ডেনোমিনিটেড সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করতে পারবে।

৩.‘শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কর্মীদের ফলপ্রসূ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ’


চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের ‘একুশ শতকের লিডারশিপ’ শীর্ষক কর্মশালা হয়েছে। কর্মশালা হয় মহানগরীর স্টেশন রোডে এশিয়ান এস আর হোটেলে।
শনিবার এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক সাকিফ আহমেদ সালামের নির্দেশনায় উচ্চ প্রোফাইল ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ সঞ্চালনা করেন ড. কার্তিক এবং নাইজুর রহমান।শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন কৌশল কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় এশিয়ান গ্রুপের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকরা।শিল্পপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কর্মীদের মধ্যে ফলপ্রসূ সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে এশিয়ান গ্রুপের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন বলে আমার বিশ্বাস।


৪.আমরা সবাই পেট ভরে ভাত খেতে পারি: খাদ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দীর্ঘদিন পরেও হলেও মঙ্গা কাটিয়ে আমরা সবাই পেট ভরে ভাত খেতে পারি। কিন্তু আমাদের এখন প্রয়োজন পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্যের। রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) কার্নিভাল ও হারমোনি হলে বাংলাদেশে প্রথম ‘ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপো ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিটিএফ (বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন) প্রকল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বিএফএসএ (বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি) এর সার্বিক সহায়তায় এই এক্সপোর আয়োজন করা হয়। পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যা খেলে রোগ বৃদ্ধি পায়। বিরল রোগে আক্রান্ত হয় সেটাকে খাদ্য বলতে আমরা রাজি নই। সেই কারণে খাদ্য ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে। ঠিক মত খাদ্য পরীক্ষা করতে পারলে বিদেশের বাজারেও আমরা প্রসার লাভ করবে।

খাদ্য পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে সচেতনতা ও নীতি নৈতিকতা মানার আহবান জানান তিনি বলেন, খাদ্যে আমরা অনেক সময় রং মেশাই। সেটা খাদ্যের রং কিনা দেখতে হবে? কেন না খাদ্যের রং টা অনেক দামী। খাদ্যের রংটা ব্যবহার না করে সাধারণ রং ব্যবহার করি। তখন সেটা অনিরাপদ হয়ে যায়। তিনি বলেন, খাবার ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার আগে মনের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করতে হবে। কি করছি, মানুষের মুখে যাওয়ার মত খাবার প্রস্তুত করছি কিনা। আমাদের সঠিক পথে, সঠিক মন নিয়ে আগাতে হবে।খাদ্য পরীক্ষায় দেশে ভালো ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, খাবার নিরাপদ করতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে কিন্তু শুধু জরিমানা বা আইন প্রয়োগ করে খাদ্য নিরাপদ করা সম্ভব নয়।

উদ্বোধনী অধিবেশনের পর ল্যাবরেটরীর প্রদর্শনী ও  আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের সাথে খাদ্য নিরাপত্তা ও পরীক্ষা নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপোর মাধ্যমে সরকারি ও বানিজ্যিক ল্যাব বা পরীক্ষাগারের সেবাসমূহ প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে জনসচেতনতা গড়ে তোলা হবে।  
 পাশাপাশি এই এক্সপোর মাধ্যমে, সমস্ত খাদ্য ও কৃষিপন্যের পরীক্ষাগারগুলোকে একটি সাধারণ প্লাটফর্মে নিয়ে আসা সহ আলোচনা এবং পরীক্ষণ সুবিধা সহজলভ্য হবে। ভোক্তা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারগণ এর মাধ্যমে ল্যাবের সার্বিক সেবা সম্পর্কে জানতে সক্ষম হবে। সরকারি, অ্যাকাডেমিক, গবেষণাভিত্তিক ও বেসরকারি পর্যায়ের ৪৪ টি ল্যাব এক্সপোতে অংশ নেয়। প্রতিটি ল্যাবের সেবাসমূহ উপস্থাপন করার জন্য প্রত্যেকের আলাদাভাবে প্রদর্শনী স্টলের ব্যবস্থা করা হয়। দিনব্যাপি এই এক্সপোটি তিনটি ভিন্ন অংশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম সরকারের সভাপতিত্ব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চীফ অব মিশন হেলেন লাফেইভ।


৫.নভেম্বরের আগে মূল্যস্ফীতি কমবে না : ড. শামসুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে বলে আশা করছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি যদি না বাড়ে এবং আমাদের আমন ধান উঠলে এবং শাক সবজির উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছি। ফলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
তিনি বলেন, আউশ মৌসুমে প্রত্যাশার তুলনায় তিন লাখ টন কম চাল উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া বোরো মৌসুমেও বন্যার কারণে ফলন কম হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিরূপ পরিস্থিতি। ভারত চালের শুল্ক বাড়িয়েছে।  সবমিলে সামপ্রতিক সময়ে দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে চালের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানির চেষ্টা চলছে। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রোববার নিজ কার্যালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের নীতি সুদহার বাড়াতে হবে। এছাড়া রেমিটেন্স হুন্ডির মাধ্যমে আসা বন্ধ করতে হবে। সরকারি চ্যানেলে আসলে রিজার্ভ বাড়বে। তিনি আরও বলেন, আর্ন্তজাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে ্আমাদেও প্রস্তুতি ্আছে। যেমন আমরা করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। রাশিয়া-্ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আগে থেকে আমাদের জানা ছিল না। তারপরও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য বাস্তবাায়নের মাধ্যমে আমরা এই সংকট মোকাবিলা করতে পারবো। জাতি সংঘ প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোতাবিলায় বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা সুযোগ সুবিধা কমে আসবে। সেক্ষেত্রে আমরা স্টাডি করেছি। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক অ্যাকশন প্লাণ আছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, ভারত, নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিবিআইএন বাস্তবায়ন করা হবে। তাহলে বাাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্প তৈরিতে বেশি সময় লাগার বিষয়ে জাতি সংঘের প্রতিনিধি জানতে চান। এর জবাবে বলা হয়েছে যেকোন প্রকল্প নিতে হলে যাচাই বাছাই করেই নিতে হয়। বৈদেশিক অর্থায়ন থাকলেতো সেটি ইআরডির মাধ্যমে আবার যাচাই করা হয়। মন্ত্রণালয় কিছু সময় লাগে। এরপর পরিকল্পা কমিশনে আসলে আরও কিছু যাচাই বাছাই করা হয়। ফলে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ করতে বছর খানেক সময়তো লগবেই। জাতিসংঘের আবাসিক সম্বয়কারি বলেন, মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রকল্প দ্রুত প্রক্রিয়াকরণে অটোমেশনের পরামর্শ দেন তিনি। ডেল্টা প্ল্যাণ বাস্তবায়নে এলসিজি গ্রুপগুলোকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।


৬.বাংলাদেশকে ঋণ দিতে চায় কোরিয়া এক্সিম ব্যাংক


বাণিজ্য ডেস্ক
আইএমএফের পর এবার বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কোরিয়া এক্সিম ব্যাংক। রেকর্ড মূল্যস্ফীতি এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এ সহায়তা দিতে চায় ব্যাংকটি। বিদেশি অংশীদার হিসাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতেও আগ্রহী আন্তর্জাতিক এ ব্যাংক।সূত্র মতে, সম্প্রতি কোরিয়া এক্সিম (এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট) ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইয়ুন হি সং এ সংক্রান্ত প্রস্তাবসহ চিঠি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে।অর্থমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে ইয়ুন হি সং বলেছেন, বিশ্ব এক অভূতপূর্ব অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছে। রেকর্ড মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা এবং করোনাপরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সব দেশের সরকার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ছয় মাস অতিক্রম হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি এবং মুদ্রাবাজারের ওপর। এজন্য নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। 
চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের আর্থিক চাহিদার ভিত্তিতে তা মেটানোর সর্বোত্তম চেষ্টা চালানো হবে। পাশাপাশি টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে অংশীদারত্ব হিসাবে সব ধরনের সহায়তা দিতে তারা আগ্রহী। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। তিনি কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের এই সুবিধা গ্রহণের জন্য অর্থমন্ত্রীকে আহ্বান জানান। ওই চিঠিতে কোরিয়া এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান ইয়ুন হি সং-এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এর আগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কোরিয়া এক্সিম ব্যাংক ৯৫০ কোটি টাকা (১০ কোটি ডলার) ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশকে। এছাড়াও ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পে এ পর্যন্ত ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৯ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। ঋণে সুদের হার শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ এবং ১৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ম্যাচুরিটি সময়কাল ৪০ বছর। কোরিয়া এক্সিম ব্যাংক একটি অফিসিয়াল এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সি। এটি বিদেশি ব্যবসা পরিচালনায় কোরিয়ান এন্টারপ্রাইজগুলোকে সমর্থন করার জন্য রপ্তানি ঋণ এবং গ্যারান্টি প্রদান করে।জানা যায়, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বাজেট সহায়তা হিসাবে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে এ পর্যন্ত ৬৫০ কোটি (৬.৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৪৫০ কোটি (৪.৫ বিলিয়ন) ডলার চাওয়া হয়েছে আইএমএফের কাছে। সংস্থাটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের কাছে ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) এবং এডিপির কাছে ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলার চাওয়া হয়েছে। ঋণ প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।

৭.৫৯ কোম্পানির শেয়ার ক্রেতা শূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫৯টি কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়েছেন। রোববার লেনদেন শুরুর পর ওই কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ক্রেতা থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তা হারিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রি করার মতো ক্রেতা পাওয়া যায়নি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ক্রেতা শূন্য থাকা কোম্পানিগুলো হলো- অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এপোলো ইস্পাত, আরামিট সিমেন্ট, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো (বিএটিবি), বিডি ফাইন্যান্স, বিচ হ্যাচারি, বিআইএফসি, ব্র্যাক ব্যাংক, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ক্রাউন সিমেন্ট, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স, ইস্টার্ন কেবলস, এমারেল্ড অয়েল, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, ফরচুন সুজ, ফু-ওয়াং ফুড, জিএসপি ফাইন্যান্স, এইচআর টেক্সটাইল, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, ইনটেক, খান ব্রাদার্স, খুলনা পাওয়ার, কাট্টালি টেক্সটাইল, লিবরা ইনফিউশন, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, এমএল ডাইংয়, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ব্যাংক, নিউ লাইন ক্লোথিংস, নিটল ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবিসি ব্যাংক, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, ফনিক্স ফাইন্যান্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম টেক্সটাইল, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, রিং সাইন, আরএন স্পিনিং, রবি আজিয়াটা, সাফকো স্পিনিং, সালভো কেমিক্যাল, সাভার রিফ্রাক্টরিজ, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, শ্যামপুর সুগার মিলস, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, স্টাইলক্রাফট, তাল্লু স্পিনিং, তুংহাই নিটিং, ইউনিয়ন ব্যাংক, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ও জাহিনটেক্স।

৮.রূপালী ব্যাংকের বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

রূপালী ব্যাংকের বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূলধন ঘাটতি থাকায় ব্যাংকটিকে নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কথা রেখেছি।চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি রূপালী ব্যাংক লিমিটেড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় পরিচালনা পর্ষদ। বিদায়ী বছরের ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১ টাকা ১০ পয়সা।

কোম্পানি ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণার প্রস্তাবটি বাতিল করে বিএসইসি। বিএসইসির আপত্তির কারণে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বোনাস লভ্যাংশ পরিবর্তন করে নগদ লভ্যাংশে পরিণত করা হয়।এরপর কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়। কিন্তু এখন সেই নগদ লভ্যাংশ বাতিল করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে লভ্যাংশ ঘোষণা নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে ব্যাংকটি। এ অবস্থায় বিএসইসি নতুন করে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার পরিবর্তে বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। এখন সেটি বাতিল হওয়ায় ব্যাংকটিকে নতুন করে আবার বিশেষ সাধারণ সভা বা ইজিএম করে লভ্যাংশ পাল্টাতে হবে। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত পেয়েছি। আবার সিদ্ধান্ত নতুন হবে।


৯.বিটিআইয়ের নতুন ৪০০ ফ্ল্যাটের প্রদর্শনী


নিজস্ব প্রতিবেদক
সব বয়সী নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করে, এমন ৪০০ নতুন ফ্ল্যাটের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম শীর্ষ আবাসন প্রতিষ্ঠান বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই)। ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশানে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে নতুন এসব ফ্ল্যাটের প্রদর্শনী হবে। গত শনিবার রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানিটির কমিউনিকেশন ও ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা, প্রধান স্থপতি সাবরিন জিনাত রহমান ও বিক্রয় বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী রাজিবুল হক। ‘বিটিআই গ্র্যান্ড লঞ্চিং ইভেন্ট’ শিরোনামের এই আয়োজনে গ্রাহকদের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৪০০টি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট প্রদর্শন করা হবে।

বিটিআই জানিয়েছে, এই আয়োজন গ্রাহকদের পাশাপাশি জমির মালিকদের জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতে সদ্য অনুমোদিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিয়ে দুটি প্যানেল আলোচনাও হবে। পাশাপাশি দেশের আবাসন খাত–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের অবহিত করা হবে। ড্যাপ বিষয়ে আলোচক হিসেবে থাকবেন ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, স্থপতি রফিক আজমসহ বেশ কয়েকজন আবাসন বিশেষজ্ঞ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিয়ে আলোচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম, ইয়োগা প্রশিক্ষক আনিকা রাব্বানি প্রমুখ।

আয়োজনের বিষয়ে বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান বলেন, করোনার বিধিনিষেধকালে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারিনি। আবার ঘরেও সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা পাইনি। বিষয়টি চিন্তা করে শিশু থেকে বৃদ্ধ- সবার শারীরিক ও মানসিক প্রয়োজনীয় সব সুবিধা নিশ্চিত করে আমরা “ওয়েলনেস কমিউনিটি” নকশার অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেছি। শিশুদের খেলার জায়গা থেকে শুরু করে বড়দের ইয়োগা ও ব্যায়ামাগার সবই থাকবে এখানে। দামও থাকবে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে।


আরও পড়ুন