তিতাসে মাল্টা চাষে সফল প্রবাস ফেরত আনোয়ার

news paper

তিতাস প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩-৭-২০২২ দুপুর ৪:৪১

12Views

কুমিল্লার তিতাসে মাল্টা চাষে সফল হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের কালাইগোবিন্দপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত আনোয়ার ১০ শতক জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন। প্রতিটি গাছে এখন ২শ থেকে ৩শ মাল্টা শোভা পাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন বিদেশ থেকে আসার পর তার পরিত্যক্ত স্থানে মাটি ভরাট করেন। তারপর ভরাট স্থানটিতে কি লাগানো যায় তা নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে তাকে লেবু জাতীয় ফল উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হয়। পরে তিনি ১০ শতক জায়গায় মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। বর্তমানে তার প্রতিটি গাছে প্রচুর মাল্টা ধরেছে।

আনোয়ার হোসেন জানান, আমার নিজস্ব জায়গাটি আড়াই বছর আগে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়। বালুতে কি চাষ করা হয়, এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। তবে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে তারা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাউছার স্যারের যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তার পরামর্শে ও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তাকে আমি মাল্টা চাষ করি।  

কালাইগোবিন্দপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ১০ শতক জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টা ও কিছু কলম্বো জাতের লেবুর চারা দিয়ে বাগানটি করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণে মাল্টা ধরেছে। গাছ প্রতি প্রায় ২শ থেকে ৩ শ মাল্টা আছে যা নভেম্বরেরর মাঝামাঝি সময়ে পরিপক্ব হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আগে কৃষক ভাবতো উন্নত ফল-ফলাদি এলাকায় উৎপাদন হয় না। তবে ক্রমে ক্রমে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সঠিক তথ্য, বীজ আর পরামর্শ পেলে কৃষক যে সফল হয় তার একটি উদাহরণ হলো আনোয়ার হোসেন। তার বাগানে আড়াই বছর বয়সী মাল্টার ৩০টি গাছ রয়েছে। উপজেলার অনেক এলাকা মাল্টা চাষের উপযোগী। কৃষক ইচ্ছে করলে এ চাষে আগ্রহী হলে আমরা আমাদের সাধ্যমতো সেবা দিতে চেষ্টা করবো।


আরও পড়ুন