শামীম আহমদ
প্রকাশিত: ১৯-৫-২০২২ দুপুর ১১:২৬
ভারতীয় সেনাকর্মকর্তা বীর চক্র কর্নেল অশোক তারা বলছেন শামীম আহমদ আমার পারিবারিক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলছেন অশোক তারা আমার পুত্র। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও বলছেন অশোক তারা আমার পুত্র। ভাইয়ের খোঁজ খবর নিতে শেখ রেহেনা বহুবার ভারতে অশোক তারার কাছে পত্র লিখছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা অশোক তারাকে দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বলেন- উনি আমাদের ফ্যামিলি রক্ষা করেছিলেন। অশোক তারা বাংলাদেশের সত্যিকারের রাজপুত্র। তিনি বাংলাদেশের জনগণের একান্ত আপন মানুষ। ১৯৭১ সালে ভালোবাসার খাতিরে বঙ্গবন্ধু তার হৃদয়ের দরজা এবং তার বসত বাড়ি দরজাটা খুলে দিয়ে বলেছিলেন- "যখন খুশি তুমি তুমি এই বাড়িতে আসবে, তুমি এই বাড়ির পুত্র, তুমি আজ থেকে আমার সন্তান।" আজও আপনি বেঁচে আছেন। তবে, সেদিন বঙ্গবন্ধুর পরিবার আপনার জন্য বাড়ির যে দরজা খুলে দিয়েছিলেন, সেই বাড়িতে আজ প্রাণসঞ্চারণের চিহ্ন নেই। স্মৃতির জাদুঘর হিসেবে আজ সেই বাড়ির দরজা বিশ্ববাসীর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আমি সেই বাড়ির কথা বলছি। যে বাড়িতে অশোক তারার মতো কোন পুত্র এসে উৎস বা আনন্দ করবে না। ওই বাড়িতে গেলে সকলেই শোকাহত হয়। ৭৫রের ১৫ আগষ্টের হত্যাকাণ্ডে সেই বাড়িতে কোন প্রাণ অবশিষ্ট ছিলো না। দেশজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা ছাড়া সকলকেই হত্যা করা হয়েছে সেই বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে যেদিন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকলে শহীদ হন। সেই দিন অশোক তারার মতো কোন বীর যোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভারতীয় সেনাকর্মকর্তা অশোক তারার জন্য সবসময় খোলা। খোলা সেই বাড়িতে নেই কোন উৎসব, আছে শুধু শোকের ছায়া। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আত্মার আত্মীয় অশোক তারা। যেদিন অশোক তারা এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেদিন নূতন প্রজন্মের অতিথিকে নিয়ে যে উৎসব হয়েছিল, সেটা তার নিজের উৎসব নয়। ১৯৭১ সালে আমাদের সদ্য বিজয়ী নতুন রাষ্ট্রের আবির্ভাবকে যাঁরা একটি পরমলাভ বলে মনে করেছিলেন, উৎসব তাঁদেরই। অশোক তারা তাদেরই একজন। আমি মনে রাখতে চাই সেই দিনের আনন্দ। শত্রুদের হাত থেকে উদ্ধারের পরে যে আনন্দ উপভোগ করেছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যরা। আনন্দলোক থেকে একটি আনন্দ-উপহার পেয়ে তাঁরা আত্মার আত্মীয়তার ক্ষেত্রকে বড়ো করে উপলব্ধি করেছিলেন, তাই অশোক তারাকে নিজের পুত্র বলে সম্বোধন করছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। এই উপলব্ধি চিরকাল সকলের কাছে সমান নবীন থাকেনি। ঠিক সেই কারনেই আজ অশোক তারাকে অনেকেই চেনেন না। যারা চেনেন তারা খুব একটা মনেও রাখেননি। যতক্ষণ মানুষের মধ্যে নব নব সম্ভাবনার পথ খোলা থাকে, ততক্ষণ তাকে আমরা নূতন করেই দেখি; তার সম্বন্ধে ততক্ষণ আমাদের আশার অন্ত থাকে না, সে আমাদের ঔৎসুক্যকে সমান জাগিয়ে রেখে দেয়। অশোক তারার বীরত্বের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবার উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে আমি একখানা গ্রন্থ রচনা করছি। বইটি পেয়ে অশোক তারা মূল্যায়ন বলেছেন- "বঙ্গবন্ধু ও অশোক তারা" গ্রন্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক মহান উদ্ধার অভিযানের দলিল। এই বইয়ে মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ত্যাগের ইতিহাস চিরস্থায়ী হবে"।
নিজের প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে হঠাৎ সংশয়হীনতা অনুভব করবার যে পরিতৃপ্তি তাকে অহংকার বলা ঠিক না। ছেলের প্রতি মা-বাপের প্রথম যে আনন্দ সে ছেলে সুন্দর বলে নয়, ছেলে যথার্থ নিজের বলেই সেই আনন্দ হয়। তার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের গুণ স্মরণ করে তাঁরা গর্ব অনুভব করতে পারেন, কিন্তু সে আর-একটা জিনিস। বাংলাদেশের এই স্বাধীনতার আনন্দ বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে অশোক তারা। স্বাধীনতা কেবল আমাদের বলেই আমরা এতো আনন্দ উপভোগ করছি। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়ের পরের দিন তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদেরকে শত্রুদের হাত থেকে একটি মহান উদ্ধারের মাধ্যমে আমাদের আনন্দের গতি নদীর স্রোতের মতোই বাড়িয়ে দিয়েছেন। নদী যেমন কাটাখালের মতো সিধা চলে না, আঁকিয়া বাঁকিয়া নানা মূর্তি ধারণ করে চলতে থাকে, আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন তেমনি আঁকা বাঁকা চলছিল। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর ধানমন্ডির বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছিলেন ভারতীয় সেনাকর্মকর্তা কর্নেল অশোক তারা। ধানমন্ডির ১৮ নাম্বার রোডের ২৬ নাম্বার বাড়িতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুর পরিবার বন্দী করে রেখেছিলো। এই ইতিহাস বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মানবতার ইতিহাস, বীরত্বের ইতিহাস, দেশপ্রেমের ইতিহাস লেখার মধ্যে এই সময়টাই আমার পক্ষে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয়। কাব্যের ভেতর দিয়ে অশোক তারার প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। আসলে কাব্যের ভিতর দিয়ে মানুষ নিজের হৃদয়কে ভাষায় প্রকাশ করতে চেষ্টা করে; সেই হৃদয়ের কোনো অবস্থার কোনো পরিচয় যদি কোনো লেখায় ব্যক্ত হয় তবে মানুষ তাকে কুড়িয়ে রেখে দেয়। ব্যক্ত যদি না হয় তবেই তাকে ফেলে দেয়। অতএব হৃদয়ের অব্যক্ত আকূতিকে ব্যক্ত করায় পাপ নাই।
জীবনে একটা বয়স আসে যখন মানুষের সম্বন্ধে আর নূতন প্রত্যাশা করবার কিছুই থাকে না। তখন সে যেন আমাদের কাছে একরকম ফুরিয়ে আসে। সেরকম অবস্থায় তাঁকে দিয়ে আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার চলতে পারে কিন্তু উৎসব চলতে পারে না। কারণ, উৎসব জিনিসটাই হচ্ছে নবীনতার উপলব্ধি- তা আমাদের প্রতিদিনের অতীত। উৎসব হচ্ছে জীবনের কবিত্ব, যেখানে রস সেইখানেই তার প্রকাশ। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বরের ইতিহাস সকলের নিকট প্রকাশ করতে আমি যে বই লিখেছি তা থেকে জানা যাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদরা নতুন জীবন পেয়েছিলেন কিভাবে। সেই দিন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ অনেকেই মুক্তি পেয়েছে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য দিনটি নবীনতার উজ্জ্বলতায় উৎসবের উপযুক্ত ছিল। জগতে আমরা অনেক জিনিসকে চোখের দেখা করে দেখি, কানের শোনা করে শুনি, ব্যবহারের পাওয়া করে পাই; কিন্তু অতি অল্প জিনিসকেই আপন করে পাই। আপন করে পাওয়াতেই আমাদের আনন্দ। তাতেই আমরা আপনাকে বহুগুণ করে পাই। পৃথিবীতে অসংখ্য লোক; তারা আমাদের চারিদিকেই আছে কিন্তু তাদের আমরা পাই নি, তারা আমাদের আপন নয়, তাই তাদের মধ্যে আমাদের আনন্দ নেই। অশোক তারার বীরত্বের ইতিহাস আমাকে আনন্দ দেয়, শিক্ষাও দেয়। আমি অশোক তারাকে আপন করে পেয়েছি।
১৯৭১ সালে মহা বিপদের সময় অশোক তারার মতো একজন পর মানুষকে আপন করে পেয়েছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। সেই থেকে অশোক তারা হয়ে গেলেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য। আসলে আপন করে পাওয়াই হচ্ছে একমাত্র লাভ, তার জন্যেই মানুষের যত কিছু সাধনা। যেখানেই এই আপন করে পাওয়া আছে, সেইখানেই উৎসব। ঘর সাজিয়ে বাঁশি বাজিয়ে সেই পাওয়াটিকে মানুষ সুন্দর করে তুলে প্রকাশ করতে চায়। বিবাহেও পরকে যখন চিরদিনের মতো আপন করে পাওয়া যায়, তখনো এই সাজসজ্জা, এই গীতবাদ্য। ‘তুমি আমার আপন’ এই কথাটি মানুষ প্রতিদিনের সুরে বলতে পারে না- এতে সৌন্দর্যের সুর ঢেলে দিতে হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিনের ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় ভালোভাবে যুক্ত থাকা দরকার। আমাদের দেশের স্বাধীনতাকালীন সময়ে মানবতার নিদর্শন হিসেবে এই ঘটনার তাৎপর্য গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা দরকার। শিশুর প্রথম জন্মে যেদিন তার আত্মীয়েরা আনন্দধ্বনিতে বলেছিল ‘তোমাকে আমরা পেয়েছি’- সেইদিনে ফিরে ফিরে বৎসরে বৎসরে তারা ঐ একই কথা আওড়াতে চায় যে, ‘তোমাকে আমরা পেয়েছি। তোমাকে পাওয়ায় আমাদের সৌভাগ্য, তোমাকে পাওয়ায় আমাদের আনন্দ, কেননা তুমি যে আমাদের আপন, তোমাকে পাওয়াতে আমরা আপনাকে অধিক করে পেয়েছি। এই জীবনে মানুষের যে কেবল একবার জন্ম হয়, তা বলতে পারি নি। বীজকে মরে অঙ্কুর হতে হয়, অঙ্কুরকে মরে গাছ হতে হয়- তেমনি মানুষকে বার বার মরে নতুন জীবনে প্রবেশ করতে হয়।
১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর বঙ্গমাতার এই নতুন পুত্র বাস্তবে ছিলো অনেক বেশি শক্তিশালী। সেই পূর্বজীবনের মধ্যে আজকের এই নবজন্মের সম্ভাবনা এতই সম্পূর্ণ গোপনে ছিল যে, তা কল্পনারও গোচর হতে পারত না। এই লোক আমার কাছে অজ্ঞাতলোক ছিল। সেইজন্যে অশোক তারার এই পঁচানব্বই বৎসর বয়সেও আমি তাকে নতুন করে পেয়েছি; তিনি আমার হৃদয়ে নতুন করে জন্ম নিয়েছেন। আমার সঙ্গে তার সম্বন্ধের মধ্যে জরাজীর্ণতার লেশমাত্র লক্ষণ নেই। তাই আজ আমার সকল আনন্দ-উৎসবের মাঝখানে বসে এই নবজন্মের নবীনতা অন্তরে বাহিরে উপলব্ধি করছি। মানুষের মধ্যে দ্বিজত্ব আছে; মানুষ একবার জন্মায় গর্ভের মধ্যে, আবার জন্মায় মুক্ত পৃথিবীতে। তেমনি আর-একদিক দিয়ে মানুষের এক জন্ম আপনাকে নিয়ে, আর-এক জন্ম সকলকে নিয়ে। পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়ে তবে মানুষের জন্মের সমাপ্তি, তেমনি স্বার্থের আবরণ থেকে মুক্ত হয়ে মঙ্গলের মধ্যে উত্তীর্ণ হওয়া মনুষ্যত্বের সমাপ্তি। বাইরের দিক থেকে এ যেমন, অন্তরের দিক থেকেও অশোক তারার দ্বিতীয় জন্মের সেইরকমের একটি ক্রমবিকাশ আছে। ঈশ্বর যখন স্বার্থের জীবন থেকে আমাদের মঙ্গলের জীবনে এনে উপস্থিত করেন, তখন আমরা একেবারেই পূর্ণ শক্তিতে সেই জীবনের অধিকার লাভ করতে পারি নি। ভ্রূণত্বের জড়তা আমরা একেবারেই কাটিয়ে উঠি নি। তখন আমরা চলতে চাই, কারণ চারি দিকে চলার ক্ষেত্র অবাধ-বিস্তৃত- কিন্তু চলতে পারি নি, কেননা আমাদের শক্তি অপরিণত। এই হচ্ছে দ্বন্দ্বের অবস্থা। শিশুর মতো চলতে গিয়ে বার বার পড়তে হয় এবং আঘাত পেতে হয়; যতটা চলি তার চেয়ে পড়ি অনেক বেশি। তবুও ওঠা ও পড়ার এই সুকঠোর বিরোধের মধ্য দিয়েই মঙ্গললোকে আমাদের মুক্তির অধিকার ক্রমশ প্রশস্ত হতে থাকে।
বাংলাদেশের বরপুত্র অশোক তারা ১৯৭১ সালে নতুন ভাবে জন্ম নিয়েছেন। বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় জন্মভূমি। ১৯৭১ সালে তিনি আমাদের মাঝে এসেছেন নতুন প্রজন্মের মতোই। এখানে তার পূর্বজীবনের অনুবৃত্তি নেই। বস্তুত, সে জীবনকে ভেদ করেই এখানে তিনি ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। এইজন্যেই তার পুরানো জীবনের উৎসব বিলুপ্ত হয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নতুন ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে তারা নিজের আলো পুরোপুরি জ্বালিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের শুরু থেকে যুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি তার বীরত্বের নজির স্থাপন করছেন ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর। দেশলাইয়ের কাঠির মুখে যে আলো একটুখানি দেখা দিয়েছিল, সেই আলো আজ প্রদীপের বাতির মুখে ধ্রুবতর হয়ে জ্বলে উঠেছে।
কিন্তু এ কথা প্রায় সকলের কাছে নিঃসন্দেহই অগোচর রয়েছিলো। অশোক তারার এই নতুন জীবনকে আমি শিশুর মতো আশ্রয় করেছি মাত্র, বয়স্কের মতো একে আমি অধিকার করতে পারিনি। তবু আমার সমস্ত অপূর্ণতার বিচিত্র অসংগতির ভিতরেও আমি অশোক তারার বীরত্বের ইতিহাস সকলের সামনে প্রকাশ করতে এসেছি। সকলের হৃদয়ে যদি অশোক তারা স্থান পায়, তবেই আমি আপনাকে ধন্য বলে মনে করব; সকলের আনন্দের মধ্যে অশোক তারার নূতন জীবনকে সার্থক বলে জানব।