বাকলিয়া জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের বিবৃতি
কোষ্টগার্ডের গণহারে হামলার নিন্দা ও পোনা ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি
প্রকাশিত: ২৬-৫-২০২১ দুপুর ২:১৯
কোষ্টগার্ড কর্তৃক বাকলিয়ার ক্ষেতচর এলাকায় জেলেদের ওপর নির্বিচারে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাকলিয়া থানা মৎস্য শিকারি জেলে শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-চট্ট, ২৭৪২)-এর সভাপতি মো. আহম্মদ উল্ল্যাহ কালু ও সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম রাব্বানী। একই সাথে প্রকৃত পোনা ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। গত সোমবার (২৪ মে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা জানান, বাকলিয়া থানা মৎস্য শিকারী জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা বাকলিয়া এলকায় কর্ণফুলীর খালে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। কারণ, জেলেদের কর্মস্থল কর্ণফুলীর খালে এবং বাসস্থান কর্ণফুলীর পাড়ে হওয়ায় কতিপয় পোনার গদি ব্যবসায়ী নিরীহ জেলেদের জিম্মি করে প্রকৃতি সৃষ্ট রিজিক হাজারো প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস করে প্রতি মৌসুমের ন্যায় এবারো স্থানীয় প্রভাবশালীরা অনৈতিক সুবিধায় তাদের আশ্রয়ে বহিরাগত মৌসুমি জেলেদের নিয়ে নতুন ব্রিজ ও বাস্তুহারা ক্ষেতচর এলাকায় অস্থায়ী গদি খুলে কর্ণফুলী থেকে যারা গলদা চিংড়ি পোনা আহরন করছে তাদের সাথে ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ তথা সদস্যদের কোনো সম্পর্ক অতীতেও ছিল না, বর্তমানেও নেই।
সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও কতিপয় স্থানীয় ও বহিরাগত মৌসুমি পোনার গদি ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তারা আরো বলেন, পোনা ব্যবসায়ীদের গদি উচ্ছেদ কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে অপারেশন অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া গদি উচ্ছেদের আড়ালে গত ২২ মে (শনিবার) রাতে সোর্স দুলাল গংদের মিথ্যা তথ্যে গণহারে ক্ষেতচর এলাকায় বসবাসকারী নিরীহ জেলে পরিবারের সদস্যদের অতর্কিতভাবে ছদ্মবেশে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কায়দায় শারীরিক নির্যাতন ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ কর্ণফুলীতে নিয়মিত টহল অব্যাহত রাখুক সেটা আমরাও চাই। কারণ, প্রশাসনের নজরদারিতে কর্ণফুলী তথা সাগরে মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধি হয়, তাতে আমাদের আয়ের উৎস্য বাড়ে। আমারা দীর্ঘদিন দাবি করে আসছি কর্ণফুলী খালে কোষ্টগার্ড-নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রাখলে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ ও নিধনসহ সকল প্রকার বেআইনি কর্মকাণ্ড শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আসবে। পরবর্তী সময়ে কথিত সোর্স দুলাল গংদের ব্যক্তি ফায়দায় মিথ্যা তথ্যে যাতে অভিযান পরিচালনার আড়ালে রাষ্ট্রীয় কোনো বাহিনী কর্তৃক বাকলিয়া ক্ষেতচর এলাকার নিরীহ জেলেদের অন্যায়ভাবে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।