একটি  অবিশ্বাস্য গোধূলি সন্ধ্যা

news paper

হাতীবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩-৩-২০২২ বিকাল ৫:৫৬

28Views

একটি  অবিশ্বাস্য গোধূলি সন্ধ্যা
নাম : সাদিয়া নওশিন বিনতে ইমাম
সকাল থেকে আকাশটা মেঘাছন্ন হয়ে আছে,বিকেল পেরিয়ে এখন সন্ধ্যা।জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখি আকাশ জুড়ে  গোধূলি লগ্ন। হঠাৎ,কি যেন একটা কামড়ালো পায়ে। তাকিয়ে দেখি একটা বড় মশা। রক্ত ভরা মারতে  গিয়ে পারলাম না মারতে। একটা মশার স্প্রে নিয়েছে মশার গায় স্প্রে করতে করতেই রাফি বলল "তোমার দ্বারা হবে না "

একটু উঁচু গলায় বললাম নীলুকে "কতবার বলেছি বিকাল হলে জানালা লাগিয়ে দিতে কিছুতেই শোনে না আমার কোন কথা" । নিলু টেলিভিশন বন্ধ করে ,হুরমুড়িয়ে গিয়ে জানালা বন্ধ করলো।

নিলু :"দেখো দেখো শিং বের হয়েছে " ।"এ কি !!সত্যিই তো এমন মশা তো আগে দেখিনি "।সাথে সাথে রাফি আর নীলুকে শিং দিয়ে গুতা মেরে দিল মশাটা ।আমরা মশাটাকে তিনজন মিলে কোনরকম আটকালাম একটা কাচের স্বচ্ছ গ্লাসে ।রেখে দিলাম টেবিলের এক কোনায়। টেবিলে বসে মশাটার কি করা যায় আলোচনা করছিলাম আমরা।

আলোচনার মাঝে দেখি নিলু আর রাফির শরীর কেমন জানি সবুজ এবং জেলির মত একটি আকৃতিতে পরিণত হল। ওদের দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোন গ্রহের কোন প্রাণী। এক মিনিট পর আবার তাদের শরীর ঠিক হয়ে গেল। এগুলা কি দেখলাম আমি ?নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। নীলুকে এ বিষয়ে বলাতে ও বলল "আমার তো এমন কোনোকিছুই অনুভূতি হয়নি আম্মু "রাফি এর ও একই অবস্থা ,তারও এমন কিছুই অনুভূতি হয়নি।

অনেক চিন্তা ভাবনার পর আমরা ধারণা করলাম মশাটির শরীরে এমন কিছু ছিল যার জন্য মশাটি মশার স্প্রে এর সংস্পর্শে এসে এমন কোন এক ভাইরাস তৈরি করেছে যার জন্য মশাটি মশার স্প্রে এর সংস্পর্শে এসে এমন কোন এক ভাইরাস তৈরী করেছে যার জন্য মশাটার একটি শিং তৈরি হলো এবং যখন শিংটি রাফি এবং নীলুকে ফুটালো তখন ওরা এমন সবুজ জেলিতে রুপান্তরিত হল কিছুক্ষনের জন্য। যদি এমন কোন ব্যাপার না হয় তাহলে কেন আমারও একই অবস্থা হলো না। আলোচনার মাঝেই ভূমিকম্প শুরু হল। এত জোরে ভূমিকম্প আগে কখনো দেখিনি। ভূমিকম্পের জন্য দেয়ালের টুকরো গুলা খুলে খুলে পড়ছিল।আমরা সবাই বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম।

আমার চোখ খুলে দেখি আম্মুর রুমের দরজা ধাকাচ্ছে এবং বলছে "উঠে পড়ো সকাল হয়ে গেছে " । স্বপ্নটা সত্যি চমৎকার ছিলো ।

 
 

আরও পড়ুন