হাটিকুমরুল ফুড ভিলেজ হোটেলে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার বিক্রি

news paper

কাইয়ুম মাহমুূদ, উল্লাপাড়া

প্রকাশিত: ১৯-১-২০২২ বিকাল ৫:১৬

14Views

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার তথা উল্লাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত ফুড ভিলেজ প্লাস খাবার হোটেল। নামিদামি  এই খাবার হোটেল রেস্তোরাঁয় অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে পচা-বাসি খাবার। এমনকি রেস্টুরেন্টের রান্না করার জায়গাটিও সব সময় থাকে অপরিচ্ছন্ন। খাবার রাখার স্থানে সারাক্ষণ মশা-মাছি উড়তে দেখা যায় বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন পরিবহন যাত্রীরা।  
 
এত অনিয়ম আর দুর্নীতির পরও পার পেয়ে যাচ্ছেন ফুড ভিলেজ প্লাস-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত জিএম সাগর হোসেন। তার অনিয়মের পাহাড়ের বিষয়ে এমটােই অভিযোগ স্থানীয় সচেতন মহলের। ফুড ভিলেজ হোটেলে অনিয়মের সাথে নিম্নমানের খাবার বিক্রি, নেই মূল্য তালিকা ও খাবারের মূল্য বেশি নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
 
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিন নামিদামি হোটেল রেস্তোরাঁ ফুড ভিলেজ প্লাসে গিয়ে দেখা যায়, খাবারের টেবিলগুলোতে সারাক্ষণ উড়ছে মাছি। রান্নাঘরের বসে চলছে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া। রান্নার জায়গাটিও অপরিচ্ছন্ন, পানির পাত্রেও পাওয়া যায় মশা-মাছি। হোটেলবয়দের হাতে নেই গ্লাবস এবং মাথায় নেই হেডপট। ফলে প্রায় ভোক্তাই খাবারে চুল ও মাছি পাওয়ার অভিযোগ করছেন কর্তৃপক্ষকে।
 
ফুড ভিলেজ প্লাস খাবার হোটেল রেস্তোরাতে  শাহ ফাতে আলী পরিবহনে খেতে আসা  রাসু  নামে এক যুবক জানান, ফুড ভিলেজ  হোটেলে গলাকাটা দাম রাখা হচ্ছে ও বিপুল পরিমাণ ভ্যাট রাখা হচ্ছে । খাবারের মানও ভাল নয়। রেস্তোরার বয়দের হাতে লেগে থাকে ময়লা। মাথায় হেড পট ও হাতে হ্যান্ড গ্লাবস থাকে না। প্রায় সময় খাবারে চুল ও মাছি দেখা যায়। রান্নার পরিবেশও অত্যন্ত নোংরা। ফুড ভিলেজ প্লাস খাবার হোটেল রেস্টুরেন্টে ব্যবসা করতে পারলে অনেকেই গাড়ি বাড়ির মালিক হয়ে যান। একটি  থেকে অনেকে ২ থেকে ৩টি রেস্টুরেন্টের মালিক হয়ে গেছেন।  
 
ফুড ভিলেজ প্লাস রেস্তোরা‍ঁয় গেলে দেখা যায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের অবাধে আড্ডা দিচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শিক্ষার্থীরা আড্ডা দিতে থাকেন রেস্তোরাঁগুলোতে। হোটেল কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেন না বলেও জানা যায় ।
 
ফুড ভিলেজ প্লাস খাবার হোটেল রেস্তোরাঁতে অবাধে চলছে শিশু শ্রম। এ বিষয়ে হোটেলের জি এম সাগর ও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিছে না। তাছাড়া হোটেলের জিএম সাগরের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ। রাতারাতি হয়েছেন অগাধ সম্পদের মালিক, হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। 
 
ফুড ভিলেজ প্লাসের জিএম সাগরের সাথে কথা হলে তিনি এসব  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিশু শ্রমিক নেই। সবাই ১৪ বছর বয়সের উপরে কাজ করছে। কোনোকিছুর দাম বাড়াইনি। আমার কথা বলে জানতে হবে কোনটার বিষয়ে অভিযোগ করেছে। 
 
উওরবঙ্গের ভেতরে বৃহত্তর এই ফুড ভিলেজ হোটেলে প্রতিদিন নামি-দামি কোম্পানি পায় দুই তিন হাজার গাড়ি খাওয়া-দাওয়া করে।
তাদের মধ্য ন্যাশনাল ট্রাভেলস, একতা পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, পাবনা এক্সপ্রেস, সুপার সনি,মানিক এক্সপ্রেস, গ্রামীন ট্রাভেলস,সি লাইন,  জে আর পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী। ‍এছাড়া নামে বেনামে গাড়ি পার্কিং করে এই হোটেলে। নামিদামি এই হোটেল যেন প্রতিদিন মানুষ ঠকানো হাতিয়ার। 
 
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,  শীঘ্রই অপরিচ্ছন্ন রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান চালানো হবে। আমাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন