মাদারীপুরে শীতে জমে উঠেছে পিঠা বিক্রির ধুম

news paper

আরাফাত হাসান, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ২১-১২-২০২১ বিকাল ৫:৪৩

42Views

শীতে শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের ওলি-গলিতে জমে উঠেছে ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রির ধুম। মাদারীপুরে শীতের সন্ধ্যার পর পরেই ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রির দোকান গুলোতে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেনী পেশার মানুষ। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে শকুনী লেকপাড়,সদর হাসপাতালের সামনে,চৌরাস্তা,শান্তি নগর, পুরান বাজার,ইটেরপুল বাজারের বিভিন্ন ওলি-গলিতে রাস্তার ফুটপাতে ও মোড়ে মোড়ে চলছে ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম। ভাপা পিঠার পাশাপাশি বিক্রি করছে চিতল (চিতাই) পিঠাও। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরেই জমে উঠে এসব পিঠা বিক্রি। বেশিরভাগ দোকানেই পিঠা বিক্রি করছেন নিম্নবিত্ত পরিবারের পুরুষ,মহিলা ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা।
ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে পিঠা বিক্রেতাদের ঘিরে।
ভালো বেচাকেনায় খুশি বিক্রেতারাও। আবার শীতের মধ্যে গরম পিঠার স্বাদ নিতে পেরে সাধারণ মানুষও খুশি।
 
পিঠা বিক্রেতা লোকমান মিয়া,মালেক মিয়া ও মেহেরুন নেসা বলেন, আমরা সারাদিন ইট ভাটা ও বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত থাকি, অবসর সময় বাড়তি আয়ের জন্য বিকাল বেলা পিঠা বানানো নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। নতুন চালের গুড়ো ও নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে খুব যত্ন সহকারে তৈরী করা হয় ক্রেতাদের জন্য ভাপা পিঠা। পিঠাকে আরো সুস্বাদু করার জন্য নারকেল ও গুড় ব্যাবহার করা হয়। ভাপা পিঠা ছাড়াও ক্রেতাদের জন্য চিতল(চিতাই) পিঠা তৈরী করা হয়। এসব পিঠা প্রতি পিচ ৫ টাকা করে বিক্রি করে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫কেজি পরিমান চালের পিঠা বিক্রি হয়। শীতের চিতল (চিতাই) পিঠার সঙ্গে বাড়তি হিসেবে মরিচ, সরিষা,সুটকি ও ধনেপাতার ভর্তা ফ্রি দেওয়া হয়। পিঠা তৈরির বিষয় জানতে চাইলে লোকমান মিয়া বলেন,পিঠা তৈরীর একটি পাতিল ও ঢাকনা ব্যাবহার করা হয়। জলন্ত চুলার উপর পাতিলে পানি দিয়ে ঢাকনার মাঝখানটা ছিদ্র করে পাত্রের মুখে দিতে হয়। এসময় ঢাকনার চারপাশে আটা,চালের গুড়া ও কাপড় দিয়ে শক্ত করে মুড়ে দেওয়া হয়। যাতে করে গরম পানির ভাব বের হতে না পারে। পরে ছোট একটি গোল পাত্রের মধ্যে চালের গুড়া,নারিকেল ও গুড় মিশিয়ে পাতলা কাপড়ের আবরনে ঢাকনার মুখে রাখা হয়। পানির গরম তাপেই নিমিষেই সিদ্ধ হয়ে যায় নতুন চালের ভাপা পিঠা।
শকুনি লেক পাড় ( হাসপাতালের মোড়ে) পিঠা খেতে সব ধরনের ক্রেতা আসেন। 
পখীরা গ্রামের হারুন বেপারী পিঠা খেতে খেতে বলেন,সব ধরনের ক্রেতাদের দেখা যায় এখানে পিঠা খেতে আসে । আবার কেউ কেউ বাড়িতে ছেলে মেয়েদের জন্য ও পিঠা কিনে নিয়ে যায়। ব্যাস্ততার কারণে বাড়িতে পিঠা খাওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। তাই এখানে সেই স্বাদ নেয়ার চেষ্টা করছি। পিঠা বিক্রেতা আব্দুল হাই মুন্সী জানান,শীত আসতেই দোকানে কাজের চাপ অনেক। পিঠা বানানো থেকে সব কিছু করতে হয়। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যাস্ত সময় পার হয়। আমি ৭টি চুলায় পিঠা তৈরী করি। বর্তমানে প্রতিদিন ১০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করি। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি।

আরও পড়ুন