বিসিএমএর নতুন সভাপতি প্রিমিয়ার সিমেন্টের এমডি আমিরুল হক
প্রকাশিত: ১৬-৭-২০২৫ দুপুর ৩:২৯
বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আমিরুল হক। সম্প্রতি ঢাকায় বিসিএমএর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিনি দুই বছরের জন্য সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
নবনির্বাচিত সভাপতি আমিরুল হক বিসিএমএর পাশাপাশি এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলওএবি) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। চার দশক ধরে তিনি দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তিনি সিকম গ্রুপ এবং প্রিমিয়ার সিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পেট্রোকেমিক্যাল, শিপিং, বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও ভোজ্যতেল শোধনাগার, আটার কল, চিংড়ি হ্যাচারি, ব্যাগ, স্যাক উৎপাদন, আবাসন খাত সহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। এছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন আমিরুল হক। দেশের শিল্প খাতে অবদানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তিনি একাধিকবার সিআইপিও নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক এবং যুক্তরাজ্য থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আমিরুল হকের আগে বিসিএমএর সভাপতি ছিলেন ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির। তিন দফায় দায়িত্ব পালনের পর নিয়ম অনুযায়ী নতুন সভাপতির হাতে সংগঠনের নেতৃত্ব তুলে দেন বিদায়ী সভাপতি।
নতুন সভাপতি হিসেবে আমিরুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্প আরও সংগঠিত, উদ্ভাবনী ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে—এমনটাই আশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। মোহাম্মদ আমিরুল হক শুধু একজন শিল্পপতি নন, তিনি একজন মানবিক, দূরদর্শী ও সমাজদায়ী নেতা, যিনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এক নিরলস প্রেরণা। দেশের শিল্প খাতের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে তিনি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক নীতিমালা গঠনে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। বিশ্বায়নের আলোকে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই অর্থনীতি গঠনে অনবদ্য ভূমিকা রেখে আসছেন। দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করা এবং তাদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকা তার জীবনের অন্যতম নীতিগত লক্ষ্য এবং প্রতিনিয়ত তিনি এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিসিএমএর সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মো. আমিরুল হক বলেন, "সিমেন্ট খাত থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় আসে। তবে এক্সপোর্ট থেকে যে আয় আসে, তা প্রত্যাশিত নয়। আমরা রপ্তানিতে ভবিষ্যতে আরও বেশি ফোকাস করতে চাই। পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টির বিষয়েও আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। মূলত বাংলাদেশের অর্থনীতি চলমান কি না, তা বোঝা যাবে নির্মাণ খাত সচল থাকলেই। আমাদের বেশি কাজ হয় এডিবিতে। তবে এডিবির প্রকল্পগুলো এই মুহূর্তে চলমান রয়েছে বলা যাবে না। ফলে ব্যবসায়ীরা একটি নির্বাচনের অপেক্ষা করছেন, যা হলে নির্মাণ খাতের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সিমেন্ট খাত। সিমেন্ট খাতে বর্তমানে বহু সংকট রয়েছে, সেগুলোর উত্তরণেও আমি ভূমিকা রাখার চেষ্টা করব।"