হাটহাজারীতে সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে খাস জমি দখল ও সরকারি গাছ নিধনের অভিযোগ
প্রকাশিত: ১৫-৭-২০২৫ বিকাল ৫:৪১
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল, বনায়নে ক্ষতি এবং সরকারি গাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের জনসাধারণে পক্ষে জামাল, জসিম উদ্দিন ও রাশেদ নামের তিন ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এবং অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুরে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের কথিত আবুল কাশেম মেম্বার ও তার পুত্র মানিক, রাশেদ এবং সাহেদ টাকার জোরে গ্রামবাসীর মতামতকে অগ্রাহ্য করে কৃষি জমির মাটি কেটে তার দখলকৃত সরকারি জায়গা ভরাট করেন। এরপর তাতে পাকা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের জন্য অন্তত দশটি সরকারি গাছ কেটে রাতের আঁধারে চুপিসারে সরিয়ে ফেলেন, যা ওই গ্রামবাসীরা পরে জানতে পারেন। গ্রামবাসীরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাশেম ওরফে কাশেম মেম্বার সহ তার ছেলেরা অভিযোগকারীদের বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় সড়কের পাশে টিএন্ডটি বোর্ডের অধিগ্রহণ করা বেশ কিছু জায়গা রয়েছে। গত ২০২৩ সালের শেষের দিকে এবং ২০২৪ সালের শুরুর দিকে উক্ত জায়গার অংশে দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে খবর পেয়ে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেই জায়গাগুলো রক্ষার্থে দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কাশেম (সাবেক কাউন্সিলর)-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, "কৃষি জমি থেকে মাটি আমি কাটিনি, আমি মাটি কিনে মসজিদ তৈরি করার জন্য ভরাট করেছি। আর সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি বলেন, ওই সড়কের পাশে ঠাডা বজ্রপাতে বেশ কয়েকটি গাছ মরে গেছে। আপনি এলাকায় গেলেই রাস্তার পাশে মরা গাছ দেখবেন। এখনো আমার বাড়ির গেটের পাশে একটা গাছ আছে। আমি পৌরপ্রশাসকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বলেছি গাছটা কেটে নিয়ে যেতে, যদি ভেঙে পড়ে তাহলে আমার লাখ লাখ টাকার গেইটটাই ভেঙে যাবে কিন্তু তারা কেউ কোনো ব্যবস্থা এখনো নেননি।" তিনি আরও জানান, "এলাকায় কিছু লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার সুনাম নষ্ট করতে আমার ব্যাপারে মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে।"
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিন বলেন, "বিষয়টি আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।"
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র মুহুরী মঙ্গলবার বিকালের দিকে জানান, "আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি, বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।"
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামানের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি, সেহেতু ঘটনাটি পৌরসভার আওতাধীন তাই অভিযোগটি সুপারিশ দিয়ে পৌর প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।"