কেশবপুরে স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে হরিহর নদীর কচুরিপানা অপসারণ

news paper

সোহেল পারভেজ, কেশবপুর

প্রকাশিত: ১৫-৭-২০২৫ দুপুর ২:২০

51Views

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি থেকে সাময়িক রক্ষা পেতে হরিহর নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। নদীতে কচুরিপানা জমে থাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে, যা বর্ষা মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত রোববার থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে হরিহর নদীর কচুরিপানা অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে এবং তা এখনো চলমান রয়েছে। সাধারণ মানুষ এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং অনেকেই এটিকে চলমান রাখার কথা ব্যক্ত করেছেন। নদী পরিষ্কার থাকলে পানি সহজেই সরে যেতে পারবে এবং এলাকা বন্যা প্লাবিত হবে না বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।

স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মিরাজ বিশ্বাস, হৃদয় ব্লাড ব্যাংকের এডমিন বাবু বিশ্বাস, প্রিয় কেশবপুরে এডমিন এনামুল, আশরাফুল, নয়ন, আলীম, ইকরামুল, সারাফাত হোসেন, মোহাম্মদ, সাদ প্রমুখ রয়েছেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বর্ণমালা একাত্তরের পরিচালক, বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সুইট।

তিনি জানান, যশোর জেলার মধ্যবর্তী নদী হরিহরের মাধ্যমে মণিরামপুর থেকে আসা মধ্যকুল, হাবাসপোল, ভোগতী, আলতাপোল, বালিয়াডাঙ্গা, ব্রহ্মকাঠি, রামচন্দ্রপুর, ব্যাসডাঙ্গা, সুজাপুর, কন্দর্পপুর ও রাজনগর বার্কাবরশী গ্রামের পানি প্রবাহিত হয়।

তিনি আরও বলেন, এর আগে নদী খননের কাজ করা হলেও রাজনৈতিক দলের ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ইচ্ছামতো খননকাজ করে থাকেন। খননের নামে শুধু কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করা হয়। এতে ক্ষমতাসীনদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটলেও জনগণের ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন হয়নি। অনেকের বাড়ি এবং পৌর শহরের চারানি বাজারসহ ফসলের জমিতে পানি উঠে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ কারণে সাময়িক পানি নিষ্কাশন করতে হলে আগে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে হবে, তাহলে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হবে বলে আশা করা যায়।


আরও পড়ুন