'আমরা বাধ্য হয়েই রাস্তায় নেমে এসেছি': সাতক্ষীরায় পল্লী বিদ্যুৎ মিনি ঠিকাদারদের মানববন্ধন

news paper

এম,এম হায়দার আলী, তালা

প্রকাশিত: ১৫-৭-২০২৫ দুপুর ১:৫২

82Views

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড মিনি ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশন আজ (১৫ জুলাই) স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তর পাটকেলঘাটায় বৈদ্যুতিক মিনি ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পুরনো শিডিউল বাতিল করে ৮০% রেট সিডিউল বৃদ্ধির দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি গোলাম সরোয়ার। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মখফুর রহমান জান্টুর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শেখ শাহাবাজ আলী। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সহ-সভাপতি মিজান জোয়ার্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, আবু বকর, প্রচার সম্পাদক আল-আমিন

বক্তারা বলেন, "২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ভ্যাট বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকবার, কিন্তু আমাদের রেট একবারও বৃদ্ধি পায়নি। এটা আমাদের রুটি-রুজির দাবি। ৮০% রেট সিডিউল বৃদ্ধি করার জন্য সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ জুলফিকার রহমানের মাধ্যমে মাননীয় চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।"

বক্তারা আরও বলেন যে, সর্বশেষ দর বৃদ্ধি হওয়ার পর সরকারি মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট প্রতিবছর বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু তাদের কাজের রেট বৃদ্ধি পায়নি। তাদের দৈনন্দিন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে; যেখানে একজন শ্রমিকের মাসিক বেতন ৮ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে ছিল, সেটা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়াও পরিবহন খরচ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে, কোথাও কোথাও তিনগুণ-চার গুণও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু মিনি ঠিকাদারী কাজের রেট অদ্যাবধি বাড়েনি। সরকারি সকল সিভিল সেক্টরগুলিতে কাজের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, তাহলে তাদের অপরাধ কী? "আমরা মানুষকে সেবা দিয়ে মানুষের ঘরকে আলোকিত করে রাখার জন্য নিজেরা দিন-রাত পরিশ্রম করি, তার পুরস্কারস্বরূপ আমাদের ওপর প্রতিবছর ভ্যাট চাপিয়ে দেওয়া হয়। অথচ আমাদের রেট-দর বৃদ্ধি করা হয় না, তাই আজ আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি।"

বক্তারা আরও জানান, তাদের এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রয়োজনে তারা সকল প্রকার দরপত্রে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। এরপরও যদি রেট/দর বৃদ্ধি না হয় তাহলে তারা সকল প্রকার লাইন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন। বক্তারা রেট-দর বৃদ্ধি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখী স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করার ব্যবস্থা করার জন্য চেয়ারম্যান মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।


আরও পড়ুন