কুতুবদিয়ায় ফায়ার সার্ভিসের ধাক্কায় নারী যাত্রী নিহত, আহত ৩

news paper

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫-৭-২০২৫ দুপুর ১:৫১

125Views

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে একটি মাহিন্দ্রা গাড়ির নারী যাত্রী দিলোয়ারা (৪০) নিহত হয়েছেন। তিনি বাঁশখালী চাম্বল উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের শাহজাহানের স্ত্রী।

এ ঘটনায় আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন হামিদা আক্তার (৩০), আবদুল্লাহ (৩৫) ও রেজিয়া আক্তার (৩৭)। তারা সবাই চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একই এলাকার বাসিন্দা।

আহতদের মধ্যে হামিদা আক্তার ও আবদুল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে দরবার শরীফের পশ্চিম পাশে রাইত্যার ব্রিজের পূর্ব পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রী নিয়ে মাহিন্দ্রা গাড়িটি দরবার থেকে দরবার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। লেমশীখালী ব্রিজের পূর্ব পাশে গাড়িটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

মাহিন্দ্রা গাড়ির যাত্রী আহত রেজিয়া জানান, মাহিন্দ্র গাড়ির পেছন থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুইবার হর্ন বাজায়। মাহিন্দ্র গাড়ির চালক উত্তর পাশে চলে গেলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পাশ থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করেন।

স্থানীয় জসিম সুকদার বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি মাহিন্দ্র গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল আহমেদ জানান, “মাহিন্দ্রা গাড়িটি লেমশীখালী ব্রিজের পূর্ব পাশে নিয়ন্ত্রণ হারায়। উত্তর পাশ থেকে দক্ষিণ পাশে গিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। আমরা তখন চৌমুহনী বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করি। তখন সবাই জীবিত ছিল।” তবে কেন যাচ্ছিলেন সে সম্পর্কে কিছুই জানাননি তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহতদের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দিলোয়ারা নামের নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত দুইজনকে তাৎক্ষণিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ ঘটনায় মাহিন্দ্রা গাড়ির চালক পলাতক রয়েছে এবং তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মাহিন্দ্র গাড়িটি জব্দ করা হলেও ফায়ার সার্ভিসের বিষয়ে কিছুই বলেননি ওসি।

ঘটনা শুনে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা ও এসিল্যান্ড সাদাত হোসেন হাসপাতালে ছুটে যান এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরমান হোসেন জানান, “ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” তবে জানা গেছে, নিহতের আত্মীয় স্বজনরা কক্সবাজার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তরের আবেদন করেছেন।


আরও পড়ুন