বিজিবির অভিযানে ১৩৬ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ
প্রকাশিত: ১৪-৭-২০২৫ বিকাল ৫:৫
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জুন মাসে দেশজুড়ে সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৩৬ কোটি ৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৪ কেজি ৩৩৮ গ্রাম স্বর্ণ, ১৩ হাজার ৩৩২টি শাড়ি, ৩ হাজার ৫০০টি থ্রিপিস ও শার্টপিস, ৫৪৮টি তৈরি পোশাক, ২ হাজার ১৪৭ মিটার থান কাপড়, ২ লাখ ২৫ হাজার ৯৬টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪ হাজার ৫৭৮টি ইমিটেশন সামগ্রী, ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫০৮টি আতশবাজি, ৬ হাজার ৩৪৫ ঘনফুট কাঠ এবং ৪ হাজার ৯০৩ কেজি চা পাতা।
এছাড়াও, ৩১ হাজার ৯৭৪ কেজি সুপারি, ১৭ হাজার ৭৬৯ কেজি সার, ১০ হাজার ৫৪০ কেজি কয়লা, ১৯ হাজার ২০৪ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ১ হাজার ৩২৮টি মোবাইল ফোন, ১ হাজার ৮৫০টি মোবাইল কভার, ৩৭ হাজার ৫৪১টি মোবাইল ডিসপ্লে, ১৫ হাজার ৫১৯টি চশমা, ২ হাজার ১৮২ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৫ হাজার ৮৪৪ কেজি ভোজ্য তেল, ১ হাজার লিটার ডিজেল, ৩ হাজার ১৮২ কেজি জিরা এবং ১ হাজার ৩৩৬ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ৭ হাজার ৪৯২ পিস চিংড়ি মাছের পোনা, ১ হাজার ১৫০ কেজি কফি, ৫ লাখ ৪৭ হাজার ২৪৬ পিস চকলেট, ৭৭৭টি গরু/মহিষ, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৩টি বাস, ১০টি ট্রাক, কভার্ড ভ্যান, ৩টি পিকআপ ও মাহিন্দ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ৭টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৩৮টি নৌকা, ২৭টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৬৪টি মোটরসাইকেল এবং ৩৯টি বাইসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
জব্দকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি দেশীয় পিস্তল, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় একনলা বন্দুক, ৩টি শটগান, ৩টি মর্টারের শেল, ১৯টি গুলি এবং ৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড। মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে জব্দ করা হয়েছে ১২ লাখ ৬৮ হাজার ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭ কেজি ৯২৫ গ্রাম হেরোইন, ১ কেজি ৪৩০ গ্রাম কোকেন, ৮ হাজার ২৭২ বোতল ফেনসিডিল, ১০ হাজার ৯৪০ বোতল বিদেশি মদ, ৩৯৩.৫ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ৪৩৫ বোতল ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৬৯৮ কেজি ৭০৭ গ্রাম গাঁজা, ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৮৭ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২ হাজার ৬৪৯ কেজি তামাক পাতা, ৫৩ হাজার ৯৩৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ইনজেকশন ছাড়াও ৪ হাজার ৭৭০ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১৭ বোতল এলএসডি, ১২ হাজার ৩২৬টি ইয়ানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৯ লাখ ৬১ হাজার ৩৩টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি'র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৫৫ জন বাংলাদেশি ও ৭ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৩৩৫ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।