শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূকে ধর্ষণ মামলায় পলাতক শ্বশুর গ্রেফতার
প্রকাশিত: ১৩-৭-২০২৫ দুপুর ১২:৫৮
শিবগঞ্জে শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূকে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি টুলু আলী (৫০)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
র্যাবের বিশেষ অভিযানে ১৩ জুলাই ২০২৫ রাত ১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন কানসাট ডোবরা এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি মো. টুলু আলীকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়। আসামি মো. টুলু আলী শিবগঞ্জ থানার সালামপুর গ্রামের মো. গাজলুর রহমানের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ১৮ বছর বয়সী ভিকটিমের প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে আসামি মো. টুলু আলীর পুত্র মো. মাসুদ রানার সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই ভিকটিমের শ্বশুর আসামি মো. টুলু আলীর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে পুত্রবধূর ওপর। আসামি টুলু আলী সুযোগ বুঝে বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি ভিকটিম তার স্বামীসহ তার বাড়ির লোকজনকে জানালে আসামি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গত ২ জুন ২০২৫ তারিখে বাড়িতে ভিকটিমের স্বামী ও শাশুড়ি না থাকার সুযোগে আসামি টুলু আলী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় জোরপূর্বক ৪টি ট্যাবলেট ঔষধ ভিকটিমকে সেবন করায়। ঔষধ খাওয়ানোর পরে ভিকটিম তার শয়ন ঘরে বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লে আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। রাত আনুমানিক ১২টায় ভিকটিমের ঘুম ভাঙলে আসামি আবারো জোরপূর্বক ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দফায় দফায় ধর্ষণ করে এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গত ৪ জুন ২০২৫ তারিখে ভিকটিম তার নানা-নানির বাড়িতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনদেরকে আসামির কুকর্মের কথা বলে। একই তারিখে আসামি ভিকটিমকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিকটিমের নানা-নানির বাড়িতে গেলে তাকে আটক করে ৪নং মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেওয়া হয়। ঘটনার বিষয়ে জানাজানি হলে আসামির পরিবারবর্গ ও আত্মীয়-স্বজনরা মীমাংসার কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আসামিকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আসামি আত্মগোপন করে ছিল।
উল্লিখিত ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।