বাগমারায় পল্লী বিদ্যুৎ মিটার চুরি: আতঙ্কে গ্রামবাসী
প্রকাশিত: ১৩-৭-২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ মিটার চুরির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গ্রাম ও বাণিজ্যিক স্থানে মিটার চুরি হলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো চোর চক্রের কাউকে ধরতে পারেনি। এসব চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। চুরির পর চোরেরা নিজেদের মোবাইল নম্বর রেখে যাচ্ছে এবং ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে টাকা দাবি করছে। টাকা দিলে মিটার ফেরত দেওয়া হবে—এমন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের শংকরপৈ মোড়, বকপাড়া মোড়, নারায়ণপাড়া ও মুগাইপাড়া এলাকার একাধিক রাইস মিল এবং গভীর নলকূপের মোট ছয়টি মিটার চুরি হয়। প্রতিটি ঘটনায় চোরেরা মিটার চুরির স্থানে একটি মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। নম্বরটি একই হলেও প্রতিটি স্থানে ভিন্ন ভিন্ন অঙ্ক যোগ করা ছিল, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, সংঘবদ্ধ একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।
ভুক্তভোগী শংকরপৈ মোড়ের রাইস মিল মালিক আপন সরকার জানান, ভোর পাঁচটার দিকে মিল খুলতে গিয়ে দেখেন তার মিটার চুরি হয়ে গেছে। মিটারের পাশে পাওয়া একটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তাকে ৬ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ভবিষ্যতে বারবার মিটার চুরি করার হুমকিও দিয়েছে অপর প্রান্তের ব্যক্তি।
এ বিষয়ে তিনি বাগমারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একইভাবে অন্যান্য ভুক্তভোগীরাও থানায় পৃথকভাবে অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগমারা জোনাল অফিসের ডিজিএম আসাদুজ্জামান জানান, বাগমারায় মিটার চুরির ঘটনা বাড়ছে। সর্বশেষ রাতে ছয়টি মিটার চুরির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ভবানীগঞ্জ এলাকার একটি মিটার উদ্ধার করা হলেও বাকিগুলোর খোঁজ মেলেনি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্ত চলছে এবং মিটার চোর চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, "বিভিন্ন এলাকা থেকে মিটার চুরির ঘটনায় একাধিক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ অবস্থায় দ্রুত সময়ে মিটার চোর চক্রকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ও সচেতন মহল।