৫ দিনেও মেলেনি চবি শিক্ষার্থী অরিত্রের সন্ধান: ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন
প্রকাশিত: ১৩-৭-২০২৫ দুপুর ১২:৩৬
কক্সবাজার সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। নিখোঁজের পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি, যা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন পরিবার, সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে ছবি তুলতে গিয়ে সাগরে ভেসে যায় অরিত্র ও তার দুই বন্ধু। পরে দুই বন্ধুর মরদেহ একে একে ভেসে এলেও অরিত্র হাসানকে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষে ৪ বন্ধু—কে. এম. সাদমান রহমান সাবাব, অরিত্র হাসান, আসিফ আহমেদ ও ফারহান—কক্সবাজার ঘুরতে যান। গত ৮ জুলাই সকালে ফারহান বাদে বাকি ৩ জন সৈকতে নামলে তিনজনই সমুদ্রের ঢেউয়ের স্রোতে ভেসে যান। সেদিন সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ ছিলেন আসিফ আহমেদ ও অরিত্র হাসান। পরদিন (৯ জুলাই) সকালে কক্সবাজার সমিতিপাড়ার সমুদ্র সৈকতে ভেসে ওঠে আসিফেরও মরদেহ। কিন্তু টানা পাঁচদিন হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি অরিত্রের।
অরিত্রের সন্ধানের কোনো আপডেট আছে কি-না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী বলেন, "অরিত্রের এখনো কোনো আপডেট পাইনি আমরা। প্রশাসন অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং তার পরিবার থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফায়ার সার্ভিস অফিস ও ডিসি অফিসে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তার সন্ধান পেলেই আমরা জানতে পারব।"
অরিত্র হাসানের বাড়ি বগুড়া জেলায়। তার বাবা সাকিব হাসান জাতীয় একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক। ছেলে নিখোঁজ হয়েছে জানার পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করছেন। প্রশাসনের পাশাপাশি নিজেরাও বিভিন্ন উপায়ে ছেলেকে খুঁজছেন।