অবসরের আগে মরণ কামড়
রংপুর জেলা রেজিস্ট্রারের ঘুষের রমরমা বাণিজ্য
প্রকাশিত: ১৩-৭-২০২৫ দুপুর ১০:৫৪
পীরগঞ্জ সাব- রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের নকল-নবীশগণের গ্রেডেশন তালিকায় অবৈধভাবে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৎকালীন দূর্নীতিবাজ অফিস সহায়ক শাহজাহান, জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সাবেক প্রধান সহকারী স্বপন কুমার রায়ের মাধ্যমে তৈরী করা হয়েছে।
আর পরীগঞ্জে কর্মরত আসাদ ও অন্যান্য নকল নবীশ তাদের কাজ না করে ডায়েরী সৃজন করে সাব-রেজিস্ট্রারের সাথে আতাত করে ঘুষ দুর্নীতি চালিয়ে আসছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রংপুর জেলার জেলা রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম যোগদানের পর থেকেই অত্র জেরায় বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম ও দূর্নীতি ঘুষ বাণিজ্যের শেষ সীমানায় পড়েছে। ফলে বিভিন্ন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী, দলিল লেখক ও নকলনবীশদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে। তাদের সার্টিফিকের, ভোটার আইডি কার্ড ও যোগদান সঠিকভাবে যাচাই করে নতুন গ্রেডেশন তালিকা তৈরী করে পদোন্নতি দেওয়া হলে প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরাই প্রমোশন পাবেন বলে ভুক্তভোগিরা দাবি করেছেন।
তার প্রমাণ হিসেবে জানা গেছে, রংপুর পীরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত অফিস সহায়ক মো. আবউদল রহমান তার দৈনিক মুজুরী ভিত্তিতে নৈশ্য প্রহরী পদে ১৯৯৫ সালে নিয়োগ পান। তখন তার অষ্টম শ্রেণীর সার্টিফিকেটের জন্ম তারিখ মোতাবেক চাকরির মেয়াদ ছিল দেড় বছর। কিন্তু গত ১৯৯৭ সালে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী নেওয়অর সময় তিনি জাল সার্টিফিকে সৃজন করে।
অবৈধভাবে এখনও কর্মরত রয়েছে। যা সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়া যাবে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার কাউনিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত অপিস সহায়ক মো. আব্দুল রহমান তার দৈনেক মুজুরী ভিত্তিতে নৈশ প্রহরী পদে যোগদানের সময় সার্টিফিকে তার জন্ম তারিখ মতে চাকুরীর মেয়াদ উর্দ্ধে ১ থেকে ২ বছর। কিন্তু তিনি সহকারী চাকুরী নেওয়ার সময় তার নতুন সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করছেন। সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, তার নিজের বয়সের চেয়ে তার মেয়ের বয়স বেশী। এ বিষয়টি তদন্ত কার্যক্রম চলমান অবস্থায় দীর্ঘ দিন তার বেতন ভাতা বন্ধ ছিল। কিন্তু বিপুল অংকের টাকার ঘুষের বিনিময়ে ভুল তথ্য দিয়ে ভোটার আইডিকার্ড দিয়ে সাব রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বেতন ভাতাদি পুনরায় চালু করা হয়েছে। যা সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিখষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তাছাড়া বর্তমান জেলা রেজিস্ট্রার এতই দুর্নীতিগ্রস্থ যে তিনি টাকার বিনিময়ে সকল অবৈধ কাজ বৈধ হিসেবে সম্পূর্ন করে দেন। এই জেলা রেস্ট্রিারের সিন্ডিকেটের অধিনয়ক হিসেবে পরিচিত রংপুরের গংগাচড়া মোহরার মশিউর রহমান। অবসরপ্রাপ্ত সাবেক অফিস সহায়ক শাহজানান, মোহাম্মদ হোসেন বাবলুর মাধ্যমে প্রতিটি অফিসে ঘুষ লেনদেন করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, রংপুরের গংগাচড়া ও পীরগঞ্জ অফিসের কর্মচারীরা অভিযোগে বলেছেন, জেলা রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম আগামি ৪-০৯-২০২৫ ইং তারিখে পি.আর.এল- এ যাবেন। তার আগে তিনি বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে সিন্ডিকেটের সদস্যদের মাধ্যম্যে আব্দুর রউফ, রফিক মুন্সি, আঙ্গুরা বেগম, শ্রীকান্ত এবং নকলনবীশ নাজমুল পদোন্নতি এবং সহকারী মোহরার ভাল জায়গায় বদলীর নামে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লেনদেনের পায়তারা করা হচ্ছে।
বর্তমান জেলা রেজিস্ট্রার পিআরএল এ না যাওয়া পর্যন্ত অবৈধ নিয়োগ, বদলী এমনকি অবৈধভাবে গ্রেডেশনের মাধ্যমে পদোন্নতি না দিতে পারেন সেই ব্যাপারে আইন-উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কমানো দাবি করা হয়েছে ।