মনোহরগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা অপসারণ

news paper

আবদুর রহিম, মনোহরগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২-৭-২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

35Views

মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে সরকারি খালের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ ও স্থাপনা অপসারণের কাজ করছে মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়ন, নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন ও উত্তর হাওলা ইউনিয়নের অন্তত ১২টি অবৈধ বাঁধ এবং বেশ কয়েকটি স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, একসময় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলাটি জলা অঞ্চল নামে পরিচিত ছিল। দীর্ঘ এক দশক ধরে বর্ষার সময় পানি তেমন না হওয়ায়, পানি চলাচলের মাধ্যমগুলোতে দখলদাররা অবৈধভাবে বাঁধ ও স্থাপনা নির্মাণ করে ফেলেছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় সমস্যাগুলো পুনরায় পরিলক্ষিত হয়েছিল। চলতি বছরেও গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নাগরিকদের জীবনযাপনের স্বাভাবিকতা রাখতে টানা বৃষ্টিতে মাঠে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি সহ প্রশাসনের পুরো টিম। আজ শনিবার সরকারি ছুটি বাতিল করে মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়ন, নাথের পেটুয়া ইউনিয়ন ও উত্তর হাওলা ইউনিয়নে এস্কেভেটর মেশিনের সাহায্যে অন্তত ১২টি অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ ও বেশ কয়েকটি স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে সরকারি খালের ওপর নির্মিত অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হবে।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম মজুমদার, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন, উপজেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও সচিব এবং ভূমি কর্মকর্তাগণ (তহসিলদারগণ) প্রমুখ।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি বলেন, "আমি মনোহরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা অপসারণে কাজ করে যাচ্ছি। বর্ষার শুরুতে উপজেলাজুড়ে সরকারি সকল খাল ও ডোবা-পুকুরে কচুরিপানা, ভেসাল, অবৈধ স্থাপনা সরানোর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায়, বর্তমান কর্মসূচিটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই অভিযানে সরকারি স্বার্থ বজায় রেখে অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে।" এক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।


আরও পড়ুন