একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২-৭-২০২৫ বিকাল ৫:২৩

27Views

রাজধানীর পুরান ঢাকায় চাঁদা না দেওয়ায় একজন ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনাকে বর্বর, হৃদয়বিদারক এবং অমানবিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, এই ঘটনায় পুরো দেশের মানুষ স্তম্ভিত, ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় এবং তার বিরোধিতা করায় একজন নিরীহ নাগরিককে জীবন দিতে হবে—এটা কল্পনাতীত। শুধু পুরান ঢাকার হত্যাকাণ্ডই নয়, প্রতিনিয়তই এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমন অমানবিকতা, এমন হিংস্রতা আমাদের মানবিক মূল্যবোধ, সমাজের নৈতিকতা এবং আইনের শাসনকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদ ও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে গুলশানে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ একথা বলেন।

প্রতিবাদ সভায় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, "জাতীয় পার্টি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।"

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও উত্তরে সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় পার্টির উত্তরের নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন পাঠান, আমানত হোসেন, দক্ষিণের নেতা সারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, মাসুক আহমেদ সহ জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

প্রতিবাদ সভায় রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, "দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। যারা পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা শুধু একজন মানুষকে হত্যা করেনি, তারা রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতি আমাদের বিশ্বাসকেই রক্তাক্ত করেছে।"

তিনি বলেন, "সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।" সরকারের উচিত যেকোনো মূল্যে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে দমন করা।


আরও পড়ুন