গোয়েন্দা প্রধানসহ লুটপাটের অভিযোগে চার কর্মকর্তা ক্লোজড

news paper

আব্দুল লতিফ রানা

প্রকাশিত: ১২-৭-২০২৫ দুপুর ৪:১৩

216Views

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদকবিরোধী অভিযানের নামে লুটপাটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শুধু তাই নয়, মাদকবিরোধী অভিযানে জব্দকৃত মাদকের বেশিরভাগই জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করে নিজেদের কাছে রেখে সুকৌশলে বিক্রি করে আসছিল। ফলে শেখ হাসিনা সরকারের সময় দেশের প্রতিটি গ্রাম এমনকি পাড়া-মহল্লায় মাদক ছড়িয়ে পড়ে। আর এই মাদক ব্যবসার মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ মাদক কর্মকর্তারা কোটিপতি বনে গেছেন।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলে অভিযানের নামে এক বাড়িতে প্রায় কোটি টাকা লুটের অভিযোগে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজ ও তার সহকারী পরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদাউস, সহকারী উপ-পরিদর্শক আতাউল হক ও সিপাহী সোহেল রানার বিরুদ্ধে অভিযানের নামে কোটি টাকার চেক বইয়ের পাতা, নগদ টাকা ও দখলে রাখা বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের তথ্য পাওয়া গেছে। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে লুটপাট ও ২৩ লাখ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ জব্দকৃত মাদকদ্রব্য আত্মসাতের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা প্রধানসহ চার গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেক নজর নিয়ে সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই আবার তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ রক্ষায় স্ব-উদ্যোগে চাকরি ছেড়ে দেশ থেকে পালানোর উপায় খুঁজছেন বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন পিএএ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গত বুধবার রাতেই তাদের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তির আদেশ করা হয়। উক্ত আদেশে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কারণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজ, একই কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদাউস, সহকারী উপ-পরিদর্শক আতাউল হক ও সিপাহী সোহেল রানাকে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলো। বর্ণিত কর্মকর্তারা ৯ জুলাই অপরাহ্ণে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি গ্রহণ করবেন এবং ১০ জুলাই পূর্বাহ্ণে প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে এ আদেশ কার্যকর করা হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের গোয়েন্দা প্রধান সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজের নেতৃত্বে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযানের নামে লুটপাট ও আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম বেশ কয়েকদিন ধরেই নজরদারিতে রাখে। এই নজরদারির বিষয়টি মাদকের দুর্নীতিবাজ ও বেপরোয়া কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজ আত্মগোপনে চলে যান।

অপরদিকে, সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে মাদকের মহাপরিচালকের নির্দেশে ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা সহকারী পরিচালকের অফিস কক্ষটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রথমে সিলগালা করে। কিন্তু সহকারী পরিচালক আত্মগোপনে থাকায় তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (অপারেশন) অতিরিক্ত ডিআইজি বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) বদরুদ্দিন, বিভাগীয় পরিচালক ও উপ-পরিচালক এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সিলগালা করা অফিস কক্ষটি গত বুধবার বিকেলে খোলা হয়। এ সময় অফিসের প্রতিটি কাগজপত্র ও দ্রব্যদি ইনভেন্টরি করে উদ্ধারের পর পুনরায় সেগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২৩ লক্ষ টাকার চেক, নগদ ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উক্ত কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গত ২২ জুন সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ঢাকা বিভাগীয় সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) মারফিয়া আফরোজের নেতৃত্বে গাজীপুরের টঙ্গী থানার ৭৩/৪ দক্ষিণপাড়া জুয়েল হুসাইন বাসার তৃতীয় তলার উত্তর পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া রমিজ উদ্দিনের বসত ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযান শেষে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলার এজাহারে বাদী সহকারী পরিচালক মারফিয়া উল্লেখ করেন যে, উক্ত অভিযানের সময় তিনটি প্যাকেট থেকে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার আসামি রমিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ইয়াবা ট্যাবলেট সংরক্ষণ ও বহন করে বিক্রির অভিযোগ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজ উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করে অফিসে নিয়ে যান। এই ঘটনার পরপরই আসামি পক্ষ ও পরিবারের সদস্যরা মামলার এজাহার দেখে অভিযানের সময় উদ্ধারকৃত সব মালামালের অনেক কিছুই এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি বলে জানতে পারেন। এরপর সহকারী পরিচালক উদ্ধারকৃত চেক ও অন্যান্য মালামাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নিজ জিম্মায় অফিসে জমা রেখেছেন।

উল্লেখিত বিষয়টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আলোচিত মামলার আসামি পক্ষ এবং ঘটনার নজরদারিতে নিয়োজিত টিমের অন্যান্য সদস্যগণ কর্তৃক অভিযোগ দেয়। উক্ত অভিযোগের পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা)-এর অফিস কক্ষটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে সিলগালা করেন। এরপর গত বুধবার বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অতিরিক্ত ডিআইজি বশির আহমেদ-এর নেতৃত্বে সিনিয়র কর্মকর্তারা তল্লাশি করেন। অফিস কক্ষটির তল্লাশির পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পুনরায় তা সিলগালা করে রাখা হয়। এ সময় অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) বদরুদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, বহুল আলোচিত টঙ্গীর মাদকবিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজ উল্লেখিত ঘটনার সময় তার কক্ষে ছিলেন না। পরে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদকের একজন কর্মকর্তা জানান, আলোচিত সহকারী পরিচালক মারফিয়া আফরোজ চাকরির পর থেকেই বেপরোয়া ছিলেন। তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী সরকারের পলাতক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রভাব খাটাতেন। তিনি মাদকবিরোধী অভিযানের নামে নিজেই হেরোইন ও ইয়াবা জব্দ করে তা জব্দ তালিকায় না লিখে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতেন। শুধু তাই নয়, তিনি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। ঢাকা মেট্রো উত্তরের একজন নারী ইনস্পেক্টর ও সাবেক একজন ডিডির ক্যাশিয়ার মারফিয়ার সিন্ডিকেটে জড়িত রয়েছে। তবে তাদের অবৈধ আয় কোটিপতি বনে যাওয়ার বিষয়ে গোয়েন্দারা নজরদারি করছেন বলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে উদ্ধার করা একটি কোটি টাকার মোটা অংকের চেক ও বিপুল সংখ্যক মাদক উদ্ধারের মালামাল মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পরেই সহকারী পরিচালকের অফিসটি সিলগালা করার খবরে আত্মগোপনে চলে যান মারফিয়া আফরোজ। তবে একটি সূত্র জানায়, অসুস্থতার কথা বলে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। টঙ্গীর মাদকবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন পরিদর্শক সাহরিয়া শারমিন, উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোহাম্মদ জান্নাতুল ফেরদাউস, সহকারী উপ-পরিদর্শক আতাউল হক, সিপাহী সোহেল রানা, সাইমুম হাসান গান ও লুৎফর রহমান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদকের একজন কর্মকর্তা জানান, গত সরকারের সময় অনেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। তাদের মধ্যে কারো কারো নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে মাদকের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন, যার বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) এবং (১) ধারায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া মো. আদনান (সিপাহী) এর বিরুদ্ধে মামলা নম্বর-৫৫/৬৮৯ তারিখ-২৬/৯/২০১৯ এর চার্জশিটভুক্ত আসামি। আর মুসাইফ মারুফ, মো. সাজ্জাদ হোসেন (সিপাহী, নরসিংদী)-এর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুটের অভিযোগে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৮ জুলাই জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৭ জুলাই রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত এই আদেশ দেওয়া হয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ও জিয়াউর রহমান। টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরে গত ১৮ জুন সাবেক কাউন্সিলর সালেহা বেগমের বাড়িতে অভিযানের নামে লুটের এই অভিযোগটি ওঠে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত অফিসের আদেশে বলা হয়েছে, সালেহা বেগমের বাড়ি থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তপূর্বক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ধারা ১২-এর উপধারা ১ মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। গত ৮ জুলাই দুপুরের মধ্যে তাদের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করার আদেশ করা হয়। এর আগে সাবেক কাউন্সিলর সালেহা বেগম অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

উক্ত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন প্রথমে আমার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাদের গাড়ির তেল খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমি তাদের ১০ হাজার টাকা দিই। পরে আরও ১০ হাজার টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়। তার কিছুক্ষণ পরে তার ঘরে ঢুকে পুনরায় তল্লাশি চালায়। দীর্ঘ সময় তল্লাশির পর ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়। একপর্যায়ে তারা ঘরের আলমারির তালা ভেঙে নগদ ৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা নেন। পরে তাকে ও তার ছেলের স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফের সেল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।


আরও পড়ুন