বারহাট্টা খাদ্য গুদামে পরিদর্শনে বেরিয়ে এলো নানা অভিযোগ: অতিরিক্ত ধান মজুদ ও বস্তা কম

news paper

বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২-৭-২০২৫ দুপুর ২:৯

73Views

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদর খাদ্য গুদামে গত ২৯ জুন ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জুন ক্লোজিং উপলক্ষে পরিদর্শনকালে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে। বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান এই পরিদর্শন করেন এবং সেখানে অতিরিক্ত ধান মজুদ ও খালি বস্তা কম থাকার অভিযোগ উঠে আসে। এ বিষয়ে খাদ্য গুদামের উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবীরকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খবিরুল আহসান নিশ্চিত করেছেন যে, বারহাট্টা উপজেলা সদর খাদ্য গুদামে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান এবং ৪,৪৬৭টি খালি বস্তা কম ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী খাদ্য গুদামে সরকার নির্ধারিত ১৪৬.০৮ মেট্রিক টন ধান থাকার কথা থাকলেও সেখানে ছিল ১৫৫.৫২ মেট্রিক টন। এছাড়া, ৪২,৯৬৭টি খালি বস্তা থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে পাওয়া গেছে ৩৮,৫০০টি বস্তা। অভিযোগ উঠেছে যে, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর অনিয়মের মাধ্যমে বেশি ধান গুদামজাত করে রাখেন এবং খালি বস্তার হিসাবেও গরমিল করেন। ইউএনও’র পরিদর্শনের পরপরই এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারহাট্টা খাদ্য গুদামের উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক বারহাট্টা খাদ্য গুদাম পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪,৪৬৭টি খালি বস্তা কম পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে তিনি "ভুল করে ফেলেছেন" এবং "এমন ভুল আর হবে না" বলে জানানোর পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ না করারও অনুরোধ করেন।

বারহাট্টা উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, "আমার বারহাট্টা উপজেলা সদর গোদামে ইউএনও মহোদয় পরিদর্শনে গিয়ে ধান বেশি এবং খালি বস্তা কম পেয়েছেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অনিয়মের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা উপজেলা সদর খাদ্য গুদামের উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।"

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খবিরুল আহসান বলেন, "বারহাট্টা খাদ্য গুদামে বাৎসরিক পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত ৯ মেট্রিক টন ৪৪০ কেজি ধান ও ৪,৪৬৭টি খালি বস্তা কম পাওয়া যায়। রিপোর্টটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।"


আরও পড়ুন