শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ডের অভিযানে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ চা ধ্বংস

news paper

রাজেশ ভৌমিক (শ্রীমঙ্গল)

প্রকাশিত: ১১-৭-২০২৫ রাত ১১:১৫

221Views

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে জব্দকৃত ১২৩ বস্তা নষ্ট ও অবৈধ ভারতীয় চা ধ্বংস করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫) বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) চা ফ্যাক্টরির পিছনে নির্ধারিত স্থানে জব্দকৃত চা ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসকৃত চায়ের মধ্যে ভারত থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত চা ছিল ১১০ বস্তা এবং বাকি ১৩ বস্তা গ্রিন টি ছিল নিম্নমানের ও নষ্ট চা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন, বিটিআরআই-এর পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শোভন কুমার পাল, চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম সহ অন্যান্য বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরে চা বোর্ডের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এই অভিযানে অনুমোদনহীন, নিম্নমানের ও অবৈধভাবে আমদানিকৃত চা বিক্রির অভিযোগে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, একটি মিনি চা কারখানা সিলগালা করা হয় এবং একজন ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সীমান্ত পথে চোরাইভাবে আসা ভারতীয় চা, দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের চা এবং অনুমোদনহীন ব্র্যান্ডে নিলাম বহির্ভূতভাবে বাজারজাত করা চা বিক্রি বন্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। বাজারে ভেজাল ও নিম্নমানের চায়ের ঠাঁই হবে না, এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

চা বোর্ডের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় চা ব্যবসায়ী মহল। তারা মনে করেন, ভেজাল ও নিম্নমানের চা বাজার থেকে অপসারণে এই ধরনের নিয়মিত অভিযান আরও জোরদার করা প্রয়োজন। অভিযানে বিভিন্ন চা দোকান ও কারখানা থেকে জব্দ করা হয় মোট ১২৩ বস্তা চা। এসব চা আদালতের নির্দেশমতে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।


আরও পড়ুন