WURI র্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১১-৭-২০২৫ বিকাল ৬:২৪
কৃষি প্রধান বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবময় অর্জন নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ফর ইনোভেশন (WURI) র্যাঙ্কিং ২০২৫ এর ‘টেকনোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন’ এবং গ্লোবাল টপ ইনোভেটিভ ইউনিভার্সিটিজ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আবারও প্রথম স্থান অর্জন করেছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি)। ১৬টি ক্যাটাগরি সমন্বিত এই র্যাঙ্কিং গতকাল (১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার ২০২৫) WURI তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত র্যাঙ্কিং অনুযায়ী আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে অবদান রাখা শীর্ষ ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গাকৃবির অবস্থান ৭৭তম স্থানে। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় গাকৃবির অবস্থান ৩৩১তম, যা বাংলাদেশের সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম।
WURI র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪ সালেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে টেকনোলজি ইনোভেশনে প্রথম হয়েছিল গাকৃবি। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে টাইমস হায়ার ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সাবজেক্ট র্যাঙ্কিং-২০২৫ এ দেশসেরা হয়েছিল গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে লাইফ সায়েন্স ক্যাটাগরিতে দেশের সকল পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল গাকৃবি। এছাড়া টিএইচই ২০২৫ এর এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে দেশের সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গাকৃবি শীর্ষস্থান অর্জন করে। গত জুন মাসে টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ইউনিভার্সিটি ইমপ্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৫ এ বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি) প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।
তাছাড়াও ২০২১ ও ২০২২ সালে সিমাগো র্যাঙ্কিংয়ে পরপর দুইবার দেশসেরা হয়েছিল গাকৃবি এবং কিউএস এর ২০২৩ র্যাঙ্কিংয়েও গৌরবময় অবস্থানে ছিল গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আকাশচুম্বী অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে গাকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “WURI র্যাঙ্কিং ২০২৫-এ গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গৌরবময় অর্জন কেবল আমাদের নয়, এটি কৃষিবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি। গবেষণা, উদ্ভাবন ও বাস্তব প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি নিরলসভাবে। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকদের সম্মিলিত শ্রম ও নিষ্ঠা।” উপাচার্য আরও বলেন, “আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে, যাদের সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যেতে প্রেরণা যুগিয়েছে। এই অর্জন আমাদের উদ্ভাবনমুখী ও টেকসই কৃষি শিক্ষার ‘গ্লোবাল মডেল’ গড়ার পথে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে।”