ভিন্ন স্বাদের সেরা কেবারের সমাবেশ শেফ পনির এর কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুরে
প্রকাশিত: ৮-৭-২০২৫ দুপুর ১:১৩
কেবাবের কথা শুনলে কার না জিভে পানি আসে! এদেশে কেবাবের জনপ্রিয়তার সূত্র ধরে বাহারী, মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের কেবাবের পসরা সাজিয়েছে কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর। পাঁচ তারকা হোটেলের শেফ পনির হোসাইন এর হাতের জাদুতে প্রতিটি কেবাব হয়ে ওঠে অনন্য মোহনীয়। মোট ১১ প্রকার কেবাব পাওয়া যাচ্ছে এখানে, যার মধ্যে চিকেন শিক, পেশোয়ারী মালাই, হারিয়ালী, আদানা, টিক্কা, হাউজ স্পেশাল কেবাব এবং কয়েক পদের বারবিকিউ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সাথে থাকে কয়েক প্রকার ঘিয়ে ভাজা নরম পরোটা। গরম গরম পরোটার সাথে মোলায়েম উষ্ণ কেবাবগুলো মুখে তৃপ্তির পরশ মেখে দেয়। কেবাবের সাথে প্রদত্ত পুদিনা-ধনিয়া পাতার চাটনী ও পেঁয়াজ মাখা সালাদ বিশেষ স্বাদের অবতারণা করে। প্রতিটি আইটেম তাৎক্ষণিক প্রস্তুত করা হয়, সতেজ ও টাটকা খাদ্য উপকরণ ব্যবহৃত হয়।
সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয় কেবাব এক্সপ্রেস এর কর্ণধার শেফ পনির হোসাইন এর সাথে। ইউরোপে কাজের অভিজ্ঞতা, পরে দেশের নামকরা পাঁচ তারকা হোটেল ও কিছু বিখ্যাত রিসোর্টে কাজ করা শেফ কেন এই লাইনে? উত্তরে বিখ্যাত গ্রীক শেফ এন্থনিওস ও শেফ লেফতেরিসকে দেখে অনুপ্রাণিত পনির আমাদের বলেন- “শুরু থেকেই নিজের ব্র্যান্ড করার অভিলাষ ছিল আমার। একদম অথেনটিক এবং ভিন্ন ঘরানার মানসম্মত কেবাব আয়োজনের চিন্তা থেকে ২০২২ সালে শুরু হয় কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর। কেননা, বাংলাদেশে কেবাব মার্কেট আশানুরূপ বিকশিত হয়নি। এই শূন্যতা পূরণের অভিপ্রায় থেকে ভিন্ন এবং ভালো কিছুর প্রতিশ্রুতি নিয়ে গ্রীসে কাজ করা অবস্থায় সেই অভিজ্ঞতার প্রয়োগ দেখাতে কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুরের সব আয়োজন। তার্কিশ, গ্রীক, মরক্কো ঘরানার রেসিপি দিয়ে আমরা কেবাবগুলো আগত খাদ্যপ্রেমীদের জন্য প্রস্তুত করছি। চারকোল বা কয়লাপোড়া হয় এই কেবাবগুলো। কৃত্রিম ফুড কালার, প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল কিছুই ব্যবহার করা হয় না। দৈনিক খাবার দৈনন্দিন শেষ হয়ে যায়। ন্যায্য মূল্যে মুখরোচক ও স্বাস্থ্যসম্মত কেবাব খেতে কেবাব এক্সপ্রেসে তাই ভোজন রসিকদের আসতে হবে।” তিন বছর ধরেই কেবাব এক্সপ্রেসের কাবাব ও পরোটা কেন এত সুস্বাদু? উত্তরে জানা যায়- মানসম্মত মশলার সংমিশ্রণ এবং দৈনিক ক্রয় করা উপাদানের সাথে শেফের যত্নশীল রেসিপি- সব মিলে এই আইটেমগুলো অনন্য। নব্বই ভাগ মশলা বিদেশী ব্র্যান্ডের, এজন্য কেবাবের রূপ এবং স্বাদ একদম ব্যতিক্রম। আরও কিছু বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়, যেমন- তাপমাত্রা, হিট ইত্যাদি। ফলতঃ কেবাবগুলো হয়ে ওঠে গুণমান সম্পন্ন এবং তৃপ্তিদায়ক। প্রতিটি কেবাব খুব নরম তুলতুলে হয়, আর উপরে বারবিকিউ আস্তরণ থাকে। কামড় দিলেই গালের ভেতর মাখন সদৃশ মিলিয়ে যায় একদম।”
মাঝেমাঝেই বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে নতুন আইটেমের ঘোষণা আসে। যেমন- আগামী সেপ্টেম্বরে শেফ পনিরের হাত ধরে আসবে এমন একটি কেবাব যা বাংলাদেশে আগে কেউ করেনি। দেশের সব জেলা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভাল মানের খাবার এবং নতুন কিছু আইটেম ক্রমাগত ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস রয়েছে শেফ পনির হোসাইনের। দেশের প্রথিতযশা সব অঙ্গনের মানুষ কেবাব এক্সপ্রেসের কেবাব চেখে দেখেছে বা দেখছে প্রতিনিয়ত। বিদেশী অতিথিরাও ভীড় করেন এখানে সারা বছর। খাদ্যপ্রেমীদের অতিরিক্ত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে তাজমহল রোডে আরেকটি আউটলেট খোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, মিরপুর শাখার অবস্থান মিরপুর ২ থেকে ১ এর দিকে যেতে, সনি সিনেমা হলের পাশে। বিকেল ৩ টা থেকে মধ্যরাত অবধি প্রতিদিন খোলা থাকে কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর। নীচ তলা এবং ছাদখোলা তৃতীয় তলা মিলে ১২০ জন বসে খাদ্য উপভোগ করতে পারে। ডাইন-ইন ও পার্সেল সুবিধা আছে কেবাব এক্সপ্রেসে, তবে অনলাইন অর্ডার বা হোম ডেলিভারী হয় না।
ঢাকার নিকটবর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জে বেড়ে ওঠা শেফ পনির ২০০৪ সালে তুরস্কে যান, পরের বছর গ্রীসে গমন করেন ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়। সেখানে কঠোর পরিশ্রম করে বাজিমাত করেন এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে পাঁচ তারকা সব প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক ক্যারিয়ার গড়েন। দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নিয়মিত কুকিং শো করেছেন শেফ পনির। এই তারকা শেফের হাতের মায়াবী সব কেবাব খেতে তাহলে আর দেরী কেন? কেবাব নিয়ে যে কোন আপডেট, মূল্য, অফার ইত্যাদি জানতে কেবাব এক্সপ্রেস মিরপুর ও মোহাম্মাদপুর শাখার ফেসবুক পেজ দ্রষ্টব্য।