লালমনিরহাটে সার লুটের ঘটনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

news paper

জামাল বাদশা, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ১৫-১২-২০২৪ দুপুর ৩:৪১

377Views

লমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পিকআপ ভ্যান থামিয়ে ৫৩ বস্তা সার লুট করার অভিযোগে উপ-সহকারীর কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিনসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামী উপ-সহকারীর কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন, ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজসহ ১৮ জনকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল-মামুন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বড়খাতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় ওই লুটের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার থানা পাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকার শাহজাহান নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে ৮০ বস্তা বিভিন্ন সার বিক্রি করেন। সেই সারগুলো নিয়ে একটি পিকআপযোগে পাটগ্রাম থেকে কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে হাতীবান্ধার বড়খাতা দোয়ানী মোড় এলাকায় শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিনের উপস্থিতে ছাত্রদলের রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন গাড়ি থেকে ৫৩ বস্তা সার লুট করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সবুজের বাড়ি থেকে ১১ বস্তা ও তার দেওয়া তথ্যমতে আরো ৩৬ বস্তাসহ মোট ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে পুলিশ।

হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুবেল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় ছাত্রদলের রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলামকে তাদের সকল পদপদবী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

অভিযুক্ত উপ-সহকারীর কৃষি অফিসার শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।

হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী বলেন, লুট হওয়া ৫৩ বস্তা সারের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়েছে। সার লুটের ঘটনায় থানায় ১৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আঃ গাফফার বলেন, সামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন আমার উপজেলা উপ- সহকারীর কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। আমি শুনেছি তার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন